আকাশ মিশ্র: বক্স অফিসে দক্ষিণী ছবির দাপট। তা ইতিমধ্যেই মেনে নিয়েছেন বলিউডের পরিচালক, প্রযোজকরা। কিন্তু তা বলে, দক্ষিণী ছবির রিমেক করলে কি আর বক্স অফিসকে হাত করা যায়? অন্তত, পরিচালক শৈলেশ কোলানু তা পারলেন না। রাজকুমার রাও (Rajkummar Rao), সানিয়া মালহোত্রার (Sanya Malhotra) মতো দারুণ অভিনেতাদের সঙ্গে নিয়েও জমাতে পারলেন না ”হিট দ্য ফার্স্ট কেস’।’ (HIT: The First Case )
একই নামের তেলুগু ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ২০২০ সালে, ঠিক দেশজুড়ে লকডাউনের আগে। তাই সেভাবে দর্শকদের কাছে পৌঁছতে পারেনি এই ছবি। তবে মুখে মুখে অল্প দিনেই জনপ্রিয় হয়েছিল সেই ছবি। তখনই পরিচালক শৈলেশ কোলানু ঠিক করে ফেলেছিলেন এই ছবির হিন্দি রিমেক বানাবেন। এই ভাবনাতেই হয়তো ভুল ছিল তাঁর। কারণ, ছবিটি বলিউডি করতে গিয়েই দুর্বল করে ফেললেন তিনি। চিত্রনাট্যে বদল আনলেন। আর সেই বদলেই গণ্ডগোল।
যেহেতু এই ছবি থ্রিলার সেহেতু এর গল্প বলা একেবারেই উচিত নয়। শুধু এটুকু বলা যায় একটি মেয়ের হঠাৎ করে নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করেই গল্প এগিয়ে চলে। আর এই গল্পে প্রচুর টুইস্ট।
‘হিট দ্য ফার্স্ট কেস’ ছবির সবচেয়ে দুর্বল পয়েন্টই হল, এই ছবি শুরু হয় একরকম ভাবে, এগিয়ে চলে আরেক রকমভাবে। অর্থাৎ এই ছবি শুরু হয় হু ডান ইট ঘরানাকে মাথায় রেখে আর ছবি এগোতেই সেটা হয়ে যায় হোয়াই ডান ইট। সব মিলিয়ে গল্প যেন ঘেঁটে ঘ হয়ে যায়। ফলে একটা সময় পড়ে ছবির উদ্দেশ্য ও বিধেয় বোঝা কষ্টকর হয়ে পড়ে।
এই ছবির ভাল দিক হল অভিনয়। রাজকুমার রাও এবারও প্রমাণ করলেন, তিনি যে কোনও চরিত্রেই দারুণ। সানিয়া মালহোত্রাও অল্প পরিসরে বেশ ভাল। ছবির এডিটিং থ্রিলারকে মাথায় রেখে যথাযথ। তবে আসল গণ্ডগোল হল চিত্রনাট্য নিয়েই। কারণ, বেশি টুইস্ট আনতে গিয়ে গল্পকে একাধিক দিকে নিয়ে গিয়েছেন পরিচালক। যা ছবির শেষে বিরক্তিকর হয়ে ওঠে। সিক্যুয়েল তৈরি করার জন্য প্রশ্নের সংখ্যা একটু বেশিই রেখে ফেলেছেন পরিচালক।
শেষমেশ বলা যায়, যাঁরা এই ছবির তেলুগু ভার্সান দেখেছেন তাঁরা হিন্দিটা না দেখলেই পারেন। অন্যরা, বরং দেখে নিন ‘হিট দ্য ফার্স্ট কেস’ ছবির হিন্দি ডাবিং ভার্সান। এতটা খারাপ লাগবে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.