Advertisement
Advertisement
Good Luck Jerry

কেমন হল জাহ্নবী কাপুরের ব্ল্যাক কমেডি ‘গুড লাক জেরি’? পড়ুন রিভিউ

শ্রীদেবীকন্যা কি পারলেন ছবিটিকে টেনে নিয়ে যেতে?

Good Luck Jerry movie review। Sangbad Pratidin
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:July 31, 2022 2:48 pm
  • Updated:July 31, 2022 2:48 pm  

বিশ্বদীপ দে: শ্রীদেবীকন্যা জাহ্নবী কাপুর (Janhvi Kapoor) বলিউডে পা রেখেছেন বেশ কয়েক বছর হয়ে গেল। ২০১৮ সালে ‘ধড়ক’ ছবির পরে বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করে ফেলেছেন তিনি। কিন্তু তিনি কি একটি ছবিকে টেনে নিয়ে যাওয়ার মতো স্টার হয়ে উঠতে পেরেছেন? ‘গুড লাক জেরি’র (Good Luck Jerry) মতো ছবি দেখে প্রশ্নটা উঠতে বাধ্য। গোটা ছবিটাই তৈরি হয়েছে জেরিকে মাথায় রেখে। কিন্তু সত্য়িই কি এহেন চরিত্র করার মতো পরিণত হতে পেরেছেন জাহ্নবী? ছবি দেখতে দেখতে একথা মাথায় আসতে বাধ্য।

তামিল ছবি ‘কোলামাভু কোকিলা’র রিমেক এই ছবির প্রধান চরিত্র জয়া কুমারী ওরফে জেরি। বোন চেরি ও মা শরবতিকে নিয়ে তার সংসার। নেহাতই নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার। মা মোমো বানিয়ে রোজগার করেন। কিন্তু জেরি চায় আরেকটু স্বাচ্ছন্দ্য। আর তাই সে মা, বোনের আপত্তি সত্ত্বেও দিব্যি কাজ খুঁজে নেয় এক ম্যাসাজ পার্লারে। এপর্যন্ত সব ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু আচমকাই শরবতির স্টেজ টু ফুসফুসের ক্যানসার ধরা পড়তেই পরিবারে নেমে আসে অন্ধকার।

Advertisement

Good-Luck-Jerry

মায়ের চিকিৎসার জন্য অন্তত ২০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকার প্রয়োজন। রাতারাতি যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে জেরির। কিন্তু অচিরেই সুযোগ জুটেও যায়। অদ্ভুত ভাবে এক ড্রাগ চোরাচালানকারী দলের সঙ্গে যোগাযোগ হয়ে যায় তার। আর এখান থেকেই ছবির গল্পে চমৎকার একটা গতি আসে। এই ধরনের চক্রে একবার ঢুকে পড়লে যে বেরনো কঠিন, তা সকলেরই জানা। জেরিও জানত, কিন্তু খেয়াল ছিল না। আসলে তার উপায়ও ছিল না। ফলে অচিরেই তার পরিবারও জড়িয়ে পড়ে ব্যাপারটার সঙ্গে।

ছবিটাকে ব্ল্যাক কমেডি বলা হলেও ‘কালো’র পরিমাণ ততটাও নেই ছবিতে। বরং বেশ মুচমুচে মজার নানা পরিস্থিতিই গল্পকে এগিয়ে নিয়ে চলে। কিন্তু প্রথমার্ধে যে গতি ছিল, দ্বিতীয়ার্ধে ক্রমশই সেই গতি হারিয়ে যায়। শেষে এসে রীতিমতো একঘেয়ে লাগতে শুরু করে। অযথা ক্লাইম্যাক্সকে টেনে বাড়ানোয় দর্শক হিসেবে বারবার ঘড়ি দেখা ছাড়া উপায় থাকে না। তবুও একথা মানতেই হয়, সব মিলিয়ে ছবিটা দেখতে নেহাত মন্দ লাগে না।

Janhvi Kapoor

মিতা বশিষ্ঠকে চিত্রনাট্যে খুব বেশি জায়গা দেওয়া হয়নি। কিন্তু যতটুকু সুযোগ পেয়েছেন তাতেই তিনি মুগ্ধ করেন। আলাদা করে বলতেই হয় দীপক ডোবরিয়ালের কথা। যদিও কয়েকটি দৃশ্যে কিছুটা অতি অভিনয়ও করেছেন তিনি। কিন্তু চরিত্রটাই এমন বোকা বোকা, বেশ মানিয়ে যায়। ড্রাগ ডিলারের চরিত্রে যশবন্ত সিং দালালকে বেশ ভাল লাগে। ভাল লাগে সাহিল মেহতাকে। সুশান্ত সিং দক্ষ অভিনেতা। তিনি যথাসাধ্য করেছেন।

কিন্তু ছবির নিউক্লিয়াস যিনি, সেই জাহ্নবী কেমন করলেন? একথা মানতেই হবে আগের থেকে খানিকটা পরিণত হয়েছেন তিনি। কিন্তু চিত্রনাট্য বোধহয় আরেকটু বেশিই দাবি করেছিল। জেরিকে আপাত ভাবে মনে হবে নেহাতই সরল সিধে এক তরুণী। কিন্তু প্রয়োজনে সে যে নিষ্ঠুরও হতে পারে, তার প্রমাণও মেলে। অর্থাৎ চরিত্রটা একরৈখিক নয়। জাহ্নবী এহেন চরিত্র হাতে পেয়েও পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারলেন কই? বেশ কিছু দৃশ্যে তিনি বেশ সাধারণ। তবে আকস্মিক বিপদে ঘাবড়ে যাওয়া, ক্যানসার আক্রান্ত মা’কে সান্ত্বনা দিতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ার দৃশ্যগুলি তিনি মন্দ করেননি। তবু একথা মানতেই হয়, জাহ্নবীর জায়গায় অন্য কাউকে হয়তো ভাবা যেতেই পারত। খুব মনে পড়ছিল ভূমি পেদনেকরের কথা। তাঁর মতো শক্তিশালী অভিনেত্রী নামভূমিকায় থাকলে হয়তো ছবিটি আরেকটু উপভোগ্য হতে পারত।

ছবির গান ও আবহ সংগীত মাঝারি। সিনেমাটোগ্রাফি চমৎকার। চিত্রনাট্যে কোথাও কোথাও বেশ মজার মুহূর্ত তৈরি হলেও কোনও দৃশ্য়ই বেদম মজার নয়। তবু মুচকি হাসির নানা মুহূর্তে সময় কেটে যায়। সেই গতি শেষদিকে কিছুটা টাল খেলেও সময় কাটাতে একবার দেখে ফেলাই যায় ‘গুড লাক জেরি’।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement