বিশাখা পাল: এ ছবি যে হিটের পর্যায়ে পড়ে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ দুটো। প্রথমত, হৃতিক-টাইগার জুটি; আর দ্বিতীয়ত, অ্যাকশন ছবি। সম্ভবত মারকাটারি অ্যাকশনের জোরেই উতরে যাবে ‘ওয়ার’। অ্যাকশন জ্যঁর যাদের প্রিয়, তাঁদের ছবিটা বেশ পছন্দ হবে। তবে শুধু অ্যাকশনকে সম্বল করেই ব্যবসা করতে নামেননি পরিচালক সিদ্ধার্থ আনন্দ। এমন ছবিতে যে রহস্যের খাসমহলটাও জরুরি, তা মাথায় রেখেছেন তিনি।
গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র দু’জন। কবীর আর খালিদ। বিষয়বস্তু অবশ্য সেই গতানুগতিক। দেশ সংকটে। কোনও এক জঙ্গি দেশের উপর হামলা করতে প্রস্তুত। তাকে আটকাতে হবে। কবীরকে সেই অপারেশনে নিযুক্ত করে গোয়েন্দা সংস্থা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কবীর বিশ্বাসঘাতকতা করে। আচমকাই তিনজনকে খুন করে সে। যাদের খুন করা হয়, তারা বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব। কিন্তু কবীর আচমকা এদের খুন করতে গেল কেন? তার পরের টার্গেটই বা কে? এসব জানতে এবং কবীরকে থামাতে নিযুক্ত করা হয় খালিদকে। এই খালিদ আবার একসময় কবীরেরই ছাত্র ছিল।
টানটান উত্তেজনা আর রহস্যে মোড়া ছবির প্রথমার্ধ্ব। দ্বিতীয়ার্ধ্বে রহস্যন্মোচন ও নতুন রহস্যের আত্মপ্রকাশ। অভিনয়ে হৃতিকের সঙ্গে সমান তালে পাল্লা দিয়েছেন টাইগার শ্রফ। কবীরকে আটকাতে গোয়েন্দাদের তুরুপের তাস খালিদ। কবীর দু-একবার তার হাতের মুঠোয় চলে আসে। কিন্তু খালিদ তাকে গ্রেপ্তার করে না। বরং সে জানতে পারে কবীর কোনও এক বিশেষ কারণে আন্ডারগ্রাউন্ড হয়ে গিয়েছে। দর্শকও জানতে পারে একটি বাচ্চা মেয়ের দেখভাল করে কবীর। মেয়েটি নয়না নামে কোনও এক রমণীর ৬ বছরের শিশুকন্যা। এদিকে খালিদেরও এক রহস্য রয়েছে। আর এখানেই রয়েছে চূড়ান্ত এক সাসপেন্স।
গোটা ছবিতে শুধুই মারামারি আর গাড়ি চেজ করার দৃশ্য। হৃতিক আর টাইগার, দু’জনেই এইসব দৃশ্যে অদ্বিতীয়। এনিয়ে সমালোচনার কোনও জায়গা নেই। বাণী কাপুরের ছবিতে বিশেষ কিছু করার নেই। কয়েক মিনিটের উপস্থিতি নিয়েই খুশি থাকতে হয়েছে তাঁকে। হৃতিকের বিপরীতে তাঁকে নেহাত মন্দ লাগেনি। তবে খালিদকে নিয়ে পরিচালক ছবির শেষের দিকে চমক দিয়েছেন ভালই। বাকিটা আর পাঁচটা অ্যাকশন ছবির থেকে কোনও অংশে আলাদা নয়। তবে হৃতিক রোশন বা টাইগার শ্রফের ফ্যান হলে ছবিটি দেখতে যেতেই পারেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.