সুপর্ণা মজুমদার: ফেলুদা সদ্য ওয়েব দুনিয়ায় যাত্রা শুরু করেছে। বড়পর্দায় প্রত্যাবর্তনের অপেক্ষায় কাকাবাবু। ব্যোমকেশ অবশ্য অনেকদিন ধরেই OTT প্ল্যাটফর্ম হইচইয়ের (Hoichoi) দর্শকদের বিঞ্জ ওয়াচের তালিকায় রয়েছে। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন হল ব্যোমকেশ ৬ (Byomkesh 6)। তিনটি এপিসোডে তুলে ধরা হয়েছে শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা ‘মগ্ন মৈনাক’।
ব্যোমকেশের সমার্থক হয়ে উঠেছেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য (Anirban Bhattacharya)। এই চরিত্র যেন তাঁর চেনা হয়ে গিয়েছে। সমান্তরাল সেই গতিতেই এই সিরিজে পাওয়া গেল অভিনেতাকে। অজিতের চরিত্রে সুপ্রভাত দাসের (Suprobhat Das) কণ্ঠ ভাল লাগে। তবে কিছু জায়গায় মনে হয়েছে যেন নিজের সংলাপের অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি। সত্যবতীর চরিত্রে ঋদ্ধিমা ঘোষ (Ridhima Ghosh) নিজের ভূমিকা পালন করেছেন মাত্র। তবে এ মরশুমে তুরুপের তাস নেংটির চরিত্রে উজান চট্টোপাধ্যায়। ‘বকাটে ছোকরা’র চরিত্রে বেশ মানিয়ে গিয়েছে তাঁকে। চোখের চাহনি এবং সংলাপ বলার ধরন ভাল। সন্তোষ সমাদ্দারের চরিত্রে দেবশংকর হালদার (Debshankar Halder) মঞ্চের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েছেন।
পঞ্চম মরশুম থেকে ব্যোমকেশ সিরিজের পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছেন সৌমিক হালদার। এর আগে অস্থির সময়, দুর্ভিক্ষের কাহিনি ফুটিয়ে তুলেছিলেন তিনি। এই কাহিনিতে দেশভাগের যন্ত্রণা রয়েছে। তা ছুঁয়ে গিয়েছেন পরিচালক। বেশ কিছু জায়গায় মুন্সিয়ানার ছাপ রেখেছেন। তবে গল্প বলার গতি আর একটু বাড়ালে ভাল হয়। ব্যোমকেশের কল্পনাগুলিকে আবার নতুন করে ক্যামেরার সামনে তুলে ধরার প্রয়োজন ছিল না বলেই মনে হয়েছে। শুধুমাত্র কথার গতি এবং ক্যামেরার দিক বদলেই তা ফুটিয়ে তোলা যেত বোধহয়। শেষের দৃশ্যে সন্তোষ সমাদ্দারের উপর ব্যোমকেশের রাগের বহিঃপ্রকাশ যেন গোটা গল্পের ছন্দ কেটে দেয়। অযথা নাটকীয়তার মতো মনে হয়। মাঝে ক্ষণিকের জন্য হলেও ব্যোমকেশ-সত্যবতীর রসায়ন সকালের স্নিগ্ধতার মতো আনন্দ দেয়। শেষে মজার মোড়কে নেংটির উপর ব্যোমকেশ এবং অজিতের রেগে যাওয়ার দৃশ্যটিও ভাল। পরের মরশুমে একটু চেনা গল্পেও একটু নতুনত্বের চাহিদা থাকল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.