আকাশ মিশ্র: যত কাণ্ড একটা পার্সেলকে ঘিরে। যে পার্সেল শত্রুপক্ষের হাতে পড়লে ভারত একেবারে শেষ! পার্সেলের ভিতর রয়েছে মারাত্মক এক প্রযুক্তি। বলা ভালো একটা শক্তিবলয়। যে বলয় রক্ষা করতে পারে গোটা দেশকে। সেই পার্সেলই চুরি করে চম্পট মুখোশধারী খলনায়ক। এবার? হ্য়াঁ, এমনই এক প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই আড়াই ঘণ্টা কেটে যাবে। উত্তর মিলবে ক্লাইম্যাক্সে, যা কিনা আগে থেকে আপনি আঁচ করতে পারবেন। তাই আড়াই ঘণ্টা ধরে শুধুই দেশের ত্রাতা অক্ষয় ও টাইগারের সঙ্গে খলনায়কদের অ্যাকশন, অ্য়াকশন আর শুধুই অ্যাকশন। মোদ্দা কথা, এটাই হল ‘বড়ে মিঞা ছোটে মিঞা’ ।
যে ছবিতে অক্ষয় আর টাইগারের মতো বলিউডের ফিট অ্যান্ড ফাইন হিরো রয়েছেন। সেখানে যে অ্য়াকশনটাই প্রাধান্য পাবে সেটা বলাই বাহুল্য। তা বলে গল্পের গরু গাছে উঠিয়ে, শুধুই মারপিট!
ছবির প্রথমভাগে অক্ষয় ও টাইগারের চরিত্রগুলো যেন অত্যন্ত দ্রুত গতিতে এগতে থাকে। কোনও প্লট ছাড়াই তাঁরা যেন নিজেদের মারকুটে হওয়ার পরিচয় দিতে থাকেন। একইসঙ্গে ছবির নায়িকা ক্যাপ্টেন মিশা ওরফে মানুষী চিল্লারের দৃশ্যগুলোতেও বড্ড বেশি তাড়াহুড়ো করা হয়েছে। গল্পের আসল কাহিনি শুরু হয় ছবির দ্বিতীয়ভাগে। যখন ছবিতে একটা কল্পবিজ্ঞানের ছোঁয়া লাগে। সামনে আসে ভয়ঙ্কর মুখোশধারী ব্যক্তি কবীর। যে চরিত্রে অভিনয় করেছেন দক্ষিণী তারকা পৃথ্বীরাজ সুকুমারন।
‘বড়ে মিঞা ছোটে মিঞা’ এমন এক ছবি, যা দেখতে গিয়ে মগজ না খাটালেও চলবে। বরং পপকর্ন হাতে নিয়ে টাইমপাস বলতে পারেন। যে ছবিতে কোনও গল্পই নেই, সেই ছবিতে অভিনয় আশা করাও উচিত নয়। তবে হ্যাঁ, অক্ষয়-টাইগারের মারপিট কিন্তু আপনাকে মুগ্ধ করবেই। শেষমেশ বলা যায়, ‘বড়ে মিঞা ছোটে মিঞা’ এমন এক ছবি যা কিনা বিনোদনের নামে শুধুই অ্য়াকশন উপহার দেবে। যাঁরা অ্য়াকশন ভালোবাসেন কিংবা অক্ষয় কুমারের ফ্যান তাঁদের এই ছবি নিশ্চয়ই ভালো লাগবে। অন্যরা ওটিটিতে মুক্তি পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করুন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.