আকাশ মিশ্র: বড়মাপের নায়কদের নিয়ে ছবি করা বেশ বড় চাপ। ছবির চিত্রনাট্য থেকে ছবির এডিটিং, সব কিছুতেই নাক গলাবেন নায়ক। আর তার ফলে যা ঘটবে, তা মোটামুটি ‘সম্রাট পৃথ্বীরাজ’! আড়াই ঘণ্টার একটু বেশি এই ছবির প্রতিটি ফ্রেম বুঝিয়ে দিল, অক্ষয় শত চেষ্টা করেও, পৃথ্বীরাজ চৌহান হতে পারলেন না, বরং দেশপ্রেমী অক্ষয় কুমার হয়েই থাকলেন!
ছবি মুক্তির আগে থেকেই কর্ণি সেনার কটাক্ষের মুখে পড়েছিল পরিচালক চন্দ্রপ্রকাশ দ্বিবেদীর ছবি ‘সম্রাট পৃথ্বীরাজ’ (Samrat Prithviraj Movie Review)। কর্ণি সেনার দাবি ছিল এই ছবিতে পৃথ্বীরাজ চৌহানকে ভুলভাবে দেখানো হয়েছে। কর্ণি সেনার কথা শুনে মুক্তির ঠিক আগে এই ছবির নামও বদলে ‘পৃথ্বীরাজ’ থেকে রাখা হল ‘সম্রাট পৃথ্বীরাজ’। নামে কিবা এসে যায়,এই ছবির চিত্রনাট্যই যখন দুর্বল! ‘পৃথ্বীরাজ রাসো’ নামে এক উপন্য়াস থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই ‘সম্রাট পৃথ্বীরাজ’ ছবি তৈরি হয়েছে। ছবিতে মূলত উঠে এসেছে মহম্মদ ঘোরির সঙ্গে পৃথ্বীরাজ চৌহানের সম্মুখ সমর, দেশের জন্য তাঁর গর্বে, দেশকে বিদেশি শত্রুর হাত থেকে বাঁচানোর দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে লড়াই করে যাওয়া। এই বীরগাথাকেই আড়াই ঘণ্টা ধরে পর্দায় তুলে ধরলেন পরিচালক।
ছবির প্রথমভাগ বেশ ভালই লাগবে। তবে দ্বিতীয়ভাগে এসে হঠাৎ করে আগ্রহ ধরে রাখা যায় না। বিশেষ করে সাবপ্লটে নারী শক্তির উত্থান, বড্ড ঘ্যান ঘ্য়ানে লাগে। যা কিনা পৃথ্বীরাজের বীরগাথায় খুব একটা বেশি প্রয়োজন ছিল না।
এই ছবি একেবারেই অক্ষয় কুমারের (Akshay Kumar) ছবি। প্রতিটি ফ্রেমেই অক্ষয় বুঝিয়ে দিয়েছেন, পৃথ্বীরাজ তাঁর হাতের মুঠোয়। ছবির কস্টিউম, ছবির শিল্প নির্দেশনা বেশ ভাল। যা কিনা পিরিয়ড ছবিরব ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যুদ্ধের দৃশ্যগুলো ভাল লাগে দেখতে। অক্ষয়ের পাশে অভিনয় করেও, নজর কেড়েছেন মনোজ যোশী, আশুতোষ রানা, সাক্ষী তনওয়ার। তাঁরা আরেকটু স্ক্রিনটাইম পেলে ভালই হতো। মানুষী চিল্লর এই ছবিতে শুধুই সাজানো পুতুল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.