Advertisement
Advertisement

Breaking News

Subimal Misra

বাংলা সাহিত্যে যুগাবসান, প্রয়াত সাহিত্যিক সুবিমল মিশ্র

তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বাংলার সাহিত্য জগৎ।

Veteran writer Subimal Misra passes away। Sangbad Pratidin
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:February 8, 2023 10:27 am
  • Updated:February 8, 2023 10:28 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলা সাহিত্যে নক্ষত্রপতন। প্রয়াত সাহিত্যিক সুবিমল মিশ্র। বুধবার ভোর ৪টে ৫০-এ তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। দীর্ঘ সময় ধরেই হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে বাংলা সাহিত্যে একটি যুগাবসান হল। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০।

কখনও কোনও প্রাতিষ্ঠানিক সংবাদপত্র বা সাহিত্যপত্রে না লিখে, কার্যত স্রোতের উলটো পথে হেঁটেও সুবিমল নির্মাণ করেছিলেন এমন এক পথ যা একেবারেই তাঁর নিজস্ব পথ। সেই পথে হেঁটেই তিনি সিদ্ধিলাভ করেন। তাঁর লেখা ‘হারাণ মাঝির বিধবা বউয়ের মড়া বা সোনার গান্ধী মূর্তি’, ‘নাঙা হাড় জেগে উঠছে’, ‘বাগানের ঘোড়া নিম গাছে দেখন চাচা থাকতেন’, ‘আপনি যখন স্বপ্নে বিভোর কোল্ড ক্রিম আপনার ত্বকের গভীরে কাজ করে’ ইত্যাদি গল্প বাংলা সাহিত্যে চিরকালীন হয়ে থাকবে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: এবার বিশ্বভারতী প্রসঙ্গে মুখ খুললেন উদয়ন গুহ, উপাচার্যকে ‘মোদির চাকর’ বলে কটাক্ষ]

নিজের লেখা গল্প, উপন্যাসকে অ্যান্টি-গল্প ও অ্যান্টি-উপন্যাস বলতেন সুবিমল মিশ্র। ১৯৬৭ সালে ‘হারাণ মাঝির বিধবা বউয়ের মড়া বা সোনার গান্ধী মূর্তি’ গল্পটি লিখে তিনি কার্যতই সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন। বাংলা সাহিত্যে তখন স্বর্ণযুগ। সেই সময়ে দাঁড়িয়ে সুবিমল নিজের স্বরকে আলাদা করে চিনিয়ে দিতে পেরেছিলেন। নিজের প্রথম বইসংগ্রহের ভূমিকায় লেখক লিখেছিলেন, ‘তোমার লেখা যেন কোনওভাবেই মহৎ না হয়ে যায়।’ এই বক্তব্যের অন্তর্নিহিত তাৎপর্যই সুবিমল মিশ্রের লেখালেখির আসল দর্শন। তিনি সেই দর্শনেই সারা জীবন স্থির থেকেছেন।

তাঁর প্রয়াণের সংবাদে শোকস্তব্ধ বাংলার সাহিত্য জগৎ। সাহিত্যিক অমর মিত্র তাঁর প্রতিক্রিয়ায় জানাচ্ছেন, ”আমি প্রতিষ্ঠান বিরোধী নই। কিন্তু আমি জীবনে একজন প্রতিষ্ঠান বিরোধী সাহিত্যিককে দেখেছিলাম। তিনি সুবিমল মিশ্র। তিনি যে পথ বেছে নিয়েছিলেন তা অতি দুর্গম পথ। একজন লেখক হয়ে সমস্ত প্রতিষ্ঠানের ছোঁয়াচ বাঁচিয়ে চলা অত্যন্ত কঠিন। তিনি কিন্তু পেরেছেন। একেবারে একাকী নিজের লেখাটি লিখে গিয়েছেন। একটা ঘটনার কথা মনে পড়ছে। রাসবিহারীর মোড়ে অমৃতায়ণ বলে একটি রেস্তরাঁয় আমরা বসে আছি। সুবিমল মিশ্রও ছিলেন। সেই সময় সেখানে হাজির হন শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি ততদিনে সুপ্রতিষ্ঠিত সাহিত্যিক। সদ্য ‘অমৃত’ পত্রিকার দায়িত্ব পেয়েছেন। তিনি সেখানে ঢুকে সুবিমল মিশ্রর থেকে লেখা প্রার্থনা করলেন। একেবারে জোড়হস্তেই। সুবিমল কোনও জবাব না দিয়ে উঠে সেখান থেকে চলে গেলেন। এমনই ছিলেন তিনি। এমন মানুষ আর দেখিনি।”

[আরও পড়ুন: ‘মানুষের জন্য কাজ করতে পারিনি’, আলিপুরদুয়ার ফিরেই বিজেপির বিরুদ্ধে সরব সুমন কাঞ্জিলাল]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement