Advertisement
Advertisement
ইমন চক্রবর্তী

করদাতা হিসেবে নজির গড়লেন ইমন, পেলেন ব্রোঞ্জ সার্টিফিকেট

আয়কর জমা দেওয়া নিয়ে কী বললেন অভিনেত্রী?

Singer Emon Chakraborty gets bronze certificate from IT Dept
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:July 19, 2019 4:13 pm
  • Updated:July 19, 2019 4:13 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঠিক সময়ে ঠিক আয়কর দেওয়ার জন্য প্রায়ই ঘোষণা করে অর্থমন্ত্রক। সরকারি রাজকোষ যাতে পরিপূর্ণ থাকে, তার দায়িত্ব নিতে হবে সাধারণ মানুষকেই। সম্প্রতি এই বার্তা দিয়েছেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত গায়িকা ইমন চক্রবর্তীও। করদাতা হিসেবে অর্থমন্ত্রকের আয়কর দপ্তরের তরফ থেকে ব্রোঞ্জ ক্যাটেগরির তালিকায় উঠেছে তাঁর নাম। এনিয়ে গায়িকা ফেসবুকে সার্টিফিকেট-সহ নিজের একটি ছবি পোস্ট করেছেন।

[ আরও পড়ুন: ট্রেলারেই হিট ‘মিশন মঙ্গল’, ইসরোর সাফল্যের কাহিনি সেলুলয়েডে তুলে ধরলেন বিদ্যা-অক্ষয় ]

Advertisement

সাধারণত করদাতাদের করদান হিসেবে চারটি বিভাগে ভাগ করা হয়। সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডিরেক্ট অ্যাকসেস অনুযায়ী, বছরে ১ থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর দিলে ব্রোঞ্জ ক্যাটেগরি, ১০ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা কর দিলে সিলভার ক্যাটেগরি ও ৫০ লক্ষ থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত কর দিলে গোল্ড ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়। আর যাঁরা ১ কোটি টাকার উপরে বছরে কর দেন, তাঁরা প্ল্যাটিনাম ক্যাটেগরির আওতাভুক্ত। এই নিয়ম অনুযায়ী ব্রোঞ্জ ক্যাটেগরিতে নির্বাচিত হয়েছেন ইমন চক্রবর্তী।

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালকে গায়িকা জানিয়েছেন, তিনি সচরারচর এসব নিয়ে ঢাকঢোল পেটাতে পছন্দ করেন না। তিনি সার্টিফিকেটের ছবিও ফেসবুকে দিতেন না। কিন্তু এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে যার জন্য তিনি এই পদক্ষেপ নিয়েছেন। সবারই একটা ধারণা রয়েছে যারা গায়ক-গায়িকা বা মিউজিশিয়ানরা গান ছাড়া কিছুই করেন না। শিল্পীরা শুধু শিল্প নিয়েই মজে থাকেন। কিন্তু এই ধারণা যে আদ্যোপান্ত ভ্রান্ত, তা প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন গায়িকা। তারাও যে দায়িত্বসম্পন্ন নাগরিকের মতো সময়মতো আয়কর দেন, তা প্রকাশ্যে আনতে চেয়েছিলেন। আর অতি অবশ্যই সাধারণ নাগরিককে নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন করার বার্তাও দিতে চেয়েছেন গায়িকা। তাই আয়কর দপ্তর থেকে সার্টিফিকেট পেয়ে তিনি তার ছবি পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।

[ আরও পড়ুন: রোজভ্যালি কাণ্ডে তলব, ইডির দপ্তরে পৌঁছলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ]

এছাড়া আরও একটি ধারণা রয়েছে, গান, চিত্রাঙ্কণ বা এই ধরণের বিষয় শুধু হবি হিসেবেই শোভা পায়। কিন্তু গান গাওয়াকে নিজের পেশা হিসেবে বেছে নেওয়াকে মেনে নিতে পারবে না অনেক বাবা মায়েরাই। তাদের যুক্তি, ওটা শিল্প, সংস্কৃতি। সেখানে থেকে টাকা রোজগার করা অনেকটা চাঁদ ধরতে চাওয়ার মতো ব্যাপার। কিন্তু ইমনের বক্তব্য হচ্ছে এমন কোনও ব্যাপারই নয়। যদি কেউ নিজের নেশাকে পেশা বানাতে চায়, তাহলে সবসময় স্বাগত জানানো উচিত। আজ তিনি গান গেয়েই তো আয়কর বিভাগের ব্রোঞ্জ ক্যাটেগরিতে নাম তুলতে পেরেছেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement