ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: “মেধার কাছে পেশিশক্তির পরাজয়। তাই বারবার ছাত্ররাই টার্গেটে”, রবিবার জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় কাণ্ড প্রসঙ্গে মন্তব্য করলেন অনীক দত্ত। অভিনেতা কৌশিক সেনও কোনওরকম রাখঢাক না করে সোজাসুজি গেরুয়া শিবিরের দিকে তোপ দাগলেন।
বইয়ের পাতা থেকে বেরিয়ে এ যেন জীবন্ত ‘মিছিলনগরী’। রবিবার রাজধানীতে বঙ্গকন্যা ঐশী ঘোষের আক্রান্ত হওয়ার প্রতিবাদে কলকাতার ছাত্রযুব থেকে বিশিষ্টরা যেভাবে পথে নেমেছেন, তা চোখে পড়ার মতো। দলীয় পতাকা নয়, বরং একত্রিত হয়েছেন সবাই দেশের ছাত্রসমাজের উপর হানা আঘাতের জন্য। আজ জেএনইউ, কাল কিংবা পরশু তা যাদবপুর-প্রেসিডেন্সি হতে পারে, বলছেন বিশিষ্টরা। দলীয় পতাকাকে সরিয়ে রেখে মিছিল যত এগিয়েছে ততই বড় হয়েছে।
মিছিলে সমর্থন জানিয়ে অংশ নেন অনীক দত্ত, অভিনেতা কৌশিক সেন ও তাঁর পুত্র ঋদ্ধি সেন। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনের সভানেত্রী এবং সমর্থকদের উপর আক্রমণের প্রতিবাদে এই মিছিল থেকেই অভিনেতা কৌশিক সেন প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বলেছেন, “আপনাদের ধন্যবাদ। বিজেপির আসল চেহারা আপনারা মানুষের সামনে তুলে ধরেছেন। মানুষ আপনাদের চিনতে পেরেছে।” একধাপ এগিয়ে পরিচালক অনীক দত্ত বলেছেন, “মেধার কাছে পেশিশক্তির পরাজয় হয়েছে। তাই বারবার ছাত্ররাই আক্রান্ত হচ্ছে।” কোনওরকম দলের নাম না করে তিনি বলেন, “এখন মানুষকে বেছে নিতে হবে কে কম খারাপ। এটা ভাল দিক নয়। তাই ছাত্রদেরই আন্দোলনের রাশ হাতে তুলে নিতে হবে।”
এদিন মিছিলে ছিলেন কবি মন্দাক্রান্তা সেন, অভিনেতা-পরিচালক-গায়ক অঞ্জন দত্ত এবং পরান বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো মানুষ। তবে এত প্রতিবাদের মধ্যেও নজর কাড়লেন প্রবীণ চিত্রপরিচালক তরুণ মজুমদার। বার্ধক্যকে পাত্তা না দিয়ে মিছিলে পা মেলালেন।
মঙ্গলবার বিকেলে কলেজ স্কোয়্যারে বিদ্যাসাগরের মূর্তির পাদদেশ থেকে ছাত্রদের মিছিল শুরু হয়। গন্তব্য ছিল জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি। মূল উদ্যোক্তা প্রেসিডেন্সি কলেজের পড়ুয়ারা। সোমবার, মঙ্গলবার কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ-প্রতিবাদী মিছিল হয়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ স্ট্রিট কফি হাউজ, গোলপার্ক, শ্যামবাজার বাঘাযতীনেও বাম ছাত্র সংগঠনের উদে্যাগে বিক্ষোভ মিছিল হয়। টালিগঞ্জেও বিজেপির মিছিল ছিল। পুলিশ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.