Advertisement
Advertisement
শ্রীজাতর কবিতায় ১৪ বাচিকশিল্পীর কণ্ঠদান

‘কিছু সাহস দিও’, সংকটকাল পেরতে কবি শ্রীজাতর সৃষ্টিতে গলা মেলালেন ১৫ আবৃত্তিকার

শুনুন সমবেত কণ্ঠে আবৃত্তি।

Renouned performer Bratati Bannerjee and 13 others recite Srijato's poem on current situation
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:April 19, 2020 6:12 pm
  • Updated:June 19, 2024 11:29 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “বিপদে মোরে রক্ষা করো এ নহে মোর প্রার্থনা/বিপদে আমি না যেন করি ভয়।/দুঃখতাপে ব্যথিত চিতে নাই-বা দিলে সান্ত্বনা/ দুঃখে যেন করিতে পারি জয়।” রবীন্দ্রচেতনায় কবেই তো এই ভাব ধরা পড়েছিল, বিপদে পড়লে ঈশ্বরকে রক্ষাকর্তা হিসেবে পাওয়ার প্রার্থনা নয়, বরং সাহসের ভর করে, আত্মশক্তিতে বলীয়ান হয়ে সেই বিপদ বৈতরণী পেরিয়ে যাওয়ার শক্তি চাই। সংকট কীভাবে কখন মানবজাতিকে ঘিরে ধরে, তা জানেন না স্বয়ং বিধাতাও। তাই সাহসই সম্বল।

রবীন্দ্রভাবনার চিরন্তন ধারায় জারিত হয়ে আজকের কবি শ্রীজাতও সংকটকাল পেরিয়ে যাওয়ার পথ দেখছেন, দেখাচ্ছেন। করোনা যুদ্ধে জয়ী হতে তিনি লিখেছেন – ‘অন্ধকারের গান’। তাঁর কবিতার সঙ্গে একাত্মবোধের অনুভূতি নিয়ে তা পাঠ করে দিকে দিকে ছড়িয়ে দিয়েছেন বিশিষ্ট আবৃত্তিকার ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ১৪ জন বাচিকশিল্পী।

Advertisement

“এই যুদ্ধের দিনগুলো পেরিয়ে যেতে/তুমি বন্ধুর মতো কিছু সাহস দিও”। শ্রীজাতর ‘অন্ধকারের গান’ কবিতার শুরুর কথাগুলো এইই। শুরুতেই বার্তা স্পষ্ট। কিন্তু কবির কাজ স্রেফ বার্তা দেওয়া নয়। পরিস্থিতির হাড়-পাঁজর খুঁড়ে গভীর থেকে গভীরতর স্তরে নিজেকে প্রোথিত করা, তারপর সেখান থেকে শব্দ-ছন্দ-চরণে সাজিয়ে নেওয়া নিজস্ব অনুভূতিমালা। চরম দুঃসময়েও যা কবিহৃদয়ের শরীরের সঙ্গে লেগে থাকে। শ্রীজাত সেভাবেই বুনে ফেলেছেন তাঁর কাব্যফসল। এই দুঃসময়েও তিনি দেখে ফেলেছেন সময়ক্ষেতে ফলে থাকা সঞ্চয় শস্যের অতুলনীয় রং। তিনি বুঝতে পেরেছেন, উথালপাথাল হাওয়ায় পথের নিশান পেরিয়ে একদিন বন্দর-গ্রাম-শহর মিলে যাওয়ার কথা।

[আরও পড়ুন: লকডাউনে বেঙ্গালুরুতে আটকে বাংলার বহু পরিযায়ী শ্রমিক, আর্থিক সাহায্য করলেন বাদশা মৈত্র]

তরুণ কবির এই কবিতার প্রতিটি শব্দের উচ্চারণে সেই সাহসকেই ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন জনপ্রিয় আবৃত্তিকার ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি একা নন, এই উদ্যোগে শামিল আরও ১৩ জন শিল্পী। প্রবীণ বাচিকশিল্পী প্রদীপ ঘোষ, পার্থ ঘোষ, গৌরী ঘোষ থেকে শুরু করে নবীন শোভনসুন্দর বসু কিংবা পলাশ দাস – সকলে এক স্বরে উচ্চারণ করেছেন – ‘কিছু সাহস দিও’। দুই প্রজন্মের সেতুবন্ধনকারী বিজয়লক্ষ্মী বর্মণ, সুতপা সেনগুপ্তরাও রয়েছেন। যে যাঁর নিজের ঘরের কোণ থেকে গলা ছেড়ে বললেন – ‘শুধু হাতটা ধোরো’, ‘কাছে থাকবে বলো’।

[আরও পড়ুন: ঝাঁপ বন্ধ, লকডাউনে বৈশাখের ভরা মরশুমে নিঝুমপুরী মুখোশ গ্রাম চড়িদা]

“এই যুদ্ধের দিনগুলো পেরিয়ে গেলে/ যারা থাকবে, আবার জেনো গড়বে প্রিয়,/তুমি অন্ধকারের রাতে ইচ্ছে জ্বেলে/কিছু সাহস দিও… কিছু সাহস দিও…”। এই সমবেত উচ্চারণে দাঁড়ি পড়েছে কবিতায়। এটাই অঙ্গীকার সকলের। সুসময়ের বিপরীতে দাঁড়িয়ে থাকা কালের প্রবাহে জর্জরিত হওয়ার পরও যেন সঙ্গে থাকেন বিশ্বকবি – ‘বিপদে আমি না যেন করি ভয়।’ এভাবেই কালের অন্তরে মিলেমিশে যায় ‘কিছু সাহস দিও’র কথা, ছন্দ। এই উচ্চারণ যে কোনও অশুভ শক্তিকে হার মানানোর ক্ষমতা রাখে, নিঃসন্দেহে।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement