Advertisement
Advertisement

Breaking News

সুদীপ্ত

ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের দুই ছাত্রীর, গ্রেপ্তার নাট্যব্যক্তিত্ব

নাট্যব্যক্তিত্বের নামে দু'টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

Police arrested theater personality Sudipto Chatterjee

ছবি: প্রতীকী

Published by: Bishakha Pal
  • Posted:October 18, 2019 8:50 pm
  • Updated:October 24, 2019 1:17 pm  

সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়: ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হল নাট্যব্যক্তিত্ব সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়কে। অভিনয় শেখানোর নাম করে ছাত্রীদের ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এই নিয়ে বেলেঘাটা আর ফুলবাগান থানায় দু’টি পৃথক অভিযোগ দায়ের হয়। দায়ের করেন তাঁরই দুই ছাত্রী। দু’জনেরই বয়স ২০ বছরের আশপাশে। দুই ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে নাট্যব্যক্তিত্ব সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায় হেরিটেড অ্যাকাডেমি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ‘মিডিয়া সায়েন্স’ বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। এই অভিযোগ ওঠার পর তাঁকে পদ থেকে ইস্তফা দিতে হয় বলে খবর। তাঁর ছাত্রীদের অভিযোগ, সুদীপ্তর নাটকের দল ‘স্পেক্ট্যাক্টরস’-এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তাঁরা। ‘ভদ্রজা’ নামে একটি নাটক মঞ্চস্থ হওয়ার কথা ছিল। সেই কারণেই চলছিল রিহার্সাল। সুদীপ্তর বাড়িতেই নাটকের রিহার্সাল হত। ছাত্রীদের বক্তব্য, নাটকে ধর্ষণের একটি দৃশ্য রয়েছে। তার রিহার্সালের সময়ই তাঁদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন সুদীপ্ত। ৭ মাস ধরে রিহার্সাল চলছিল তাঁদের। ফুলবাগানের ছাত্রীর অভিযোগ, এই ৭ মাস ধরে তাঁকে ক্রমাগত ধর্ষণ করে সুদীপ্ত। অন্যদিকে বেলেঘাটার ছাত্রীর অভিযোগ, তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। সুদীপ্তর বেলেঘাটার পি ২৩ সিআইটি রোডের বাড়িতেই দিনের পর দিন এই ঘটনা ঘটেছিল।

Advertisement

sudipto

[ আরও পড়ুন: ফের কলকাতায় স্পায়ের আড়ালে ফাঁস মধুচক্র, গ্রেপ্তার ৬৫ বছরের খদ্দের-সহ ৭ ]

কিন্তু এতদিন পর কেন অভিযোগ দায়ের করছেন তাঁরা? এই প্রশ্নের উত্তরে দুই ছাত্রী জানিয়েছেন, এতদিন ভয়ে তাঁরা থানামুখো হননি। কিন্তু এবার সাহস সঞ্চয় করে অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা। ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে, তাই তাঁরা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। এই দুই ছাত্রীর মধ্যে একজন ইতিমধ্যেই ফেসবুকে সমস্ত ঘটনা জানিয়ে একটি দীর্ঘ পোস্ট করেছেন। তারপর থেকে সেই পোস্ট নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও গ্রেপ্তারের আগে সুদীপ্ত জানিয়েছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছে। তাঁর বক্তব্য ছিল, ছাত্রীদের অভিনয়ে খামতি ছিল। তাই অভিনয়ের স্বার্থেই ‘ডায়াফ্রাম ব্রিদিং টেকনিক’-এর প্রয়োজন ছিল। এবং তিনি সেটাই করেন। যা হয়েছে, তা দুই ছাত্রীর সম্মতিক্রমেই হয়্ছে। অনুশীলনীর অংশ হিসেবে যেটুকু আংশিক নগ্নতা বা শরীরী স্পর্শ হয়েছে, সেটুকুই। তাতে কারওর অসম্মতি ছিল না। অশালীনতা বা ধর্ষণের কোনও ঘটনাই ঘটেনি। আগেও তিনি অভিনয়কে ত্রুটিমুক্ত করার জন্য অনেকের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করেছেন। কিন্তু কেউ এমন অভিযোগ আনেনি।

[ আরও পড়ুন: অভিনয় শেখানোর নামে ধর্ষণ! নাট্যব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে সরব অভিনেত্রী ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement