সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ নাট্য অ্যাকাডেমি থেকে ইস্তফা দিলেন নাট্যব্যক্তিত্ব বিভাস চক্রবর্তী। এই নিয়ে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরকে ইতিমধ্যেই চিঠি দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, শারীরিক সমস্যার জন্যই তিনি অ্যাকাডেমি থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন।
নাট্যকার জানিয়েছেন, বয়সের কারণে তিনি নাটকের জগৎ থেকে অনেকটা সরে এসেছেন। কাজ করেন খুব কম। এমন পরিস্থিতিতে নাট্য অ্যাকাডেমির পদ অধিকার করে বসে থাকার কোনও মানে হয় না। তাছাড়া অ্যাকাডেমিতে এমন কোনও কাজ হয় না যার জন্য তাঁর মতো সিনিয়র মানুষের পরামর্শ দরকার। যা হয়, তা রুটিন কাজ। যাঁরা এখন অ্যাকাডেমিতে রয়েছেন, তাঁরা সেই কাজ সামলে নিতে পারবেন। নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজ করা হবে। সেখানে তাঁর কোনও কাজ নেই। তাছাড়া অনেক সিনিয়র নাট্যকারই ইতিমধ্যে অবসর নিয়ে ফেলেছেন। তিনিও সেই পথই অনুসরণ করেছেন।
তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের বিভাগীয় সচিব বিবেক কুমারকে তিনি ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রবাদপ্রতীম এই নাট্যকার।
[ ‘বউকে বলেছিলাম, ছেড়ে চলে যাও’, #MeToo নিয়ে মুখ খুললেন চেতন ভগত ]
সম্প্রতি একাধিক রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে সরব হয়েছিলেন নাট্যকার বিভাস চক্রবর্তী। অসমের নাগরিকপঞ্জি ইস্যু নিয়ে যখন পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি উত্তপ্ত, তখন তিনি বলেছিলেন, আগুন নিয়ে খেলা করছে কেন্ত্রীয় সরকার। অসমের মতো বাংলাতেও নাগরিকপঞ্জি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। তিনি বলেন, কীসের উপর ভিত্তি করে নাগরিকপঞ্জি ঠিক করছে সরকার? যাদের নাম নথিভুক্ত হয়নি, তাদের জন্মের প্রমাণপত্র রয়েছে, ভোটার কার্ড, আধার কার্ড রয়েছে। অথচ তারা নাগরিক হিসেবে নথিভুক্ত হতে পারছে না, এ কেমন নীতি?
শুধু নাগরিকপঞ্জি নয়, তার আগে পঞ্চায়েত ভোটে অশান্তির পরও মুখ খুলেছিলেন তিনি। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতা না করে তিনি বলেছিলেন, সরকারি বা সরকার ঘনিষ্ঠদের জন্যে তাঁদের স্বাধীন কাজ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পঞ্চায়েত ভোটে যে অশান্তি হল, তার সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়বে রাজ্যে। যা গণতন্ত্রের পক্ষে স্বাস্থ্যকর নয়।
[ অবক্ষয়ের পথে আমাদের সমাজ? ‘১৫ই আগস্ট’-এ প্রশ্ন আত্মিকের ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.