সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনুষ্ঠান মঞ্চে উঠতে দেরি হয়ে গিয়েছিল শিল্পীর। আর তার জেরে চূড়ান্ত হেনস্তার শিকার হলেন কার্তিক দাস বাউল। অভিযোগ, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা তাঁকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এই ঘটনায় রীতিমতো মর্মাহত শিল্পী। এবার থেকে অনুষ্ঠান করতে যাওয়ার কথা দু’বার ভাববেন বলেই দাবি তাঁর।
গত ৫ নভেম্বর সন্ধেয় বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠান করতে গিয়েছিলেন কার্তিক দাস বাউল। পূর্ব বর্ধমানের গুসকরা থেকে আরামবাগ হয়ে মেদিনীপুরে যাওয়ার কথা ছিল শিল্পীর। তাঁর দাবি, রাস্তা অত্যন্ত খারাপ। আবার তার উপর মাঝরাস্তায় গাড়ি খারাপ হয়ে যায়। তাই স্বাভাবিকভাবে অনুষ্ঠান মঞ্চে পৌঁছতে দেরি হয় শিল্পীর। গাড়ি থেকে নেমে সোজা মঞ্চে উঠে যান কার্তিক দাস বাউল। মঞ্চে উঠেই অনুষ্ঠান দেখার জন্য অপেক্ষারত ছাত্রছাত্রীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন শিল্পী। অভিযোগ, তা সত্ত্বেও মঞ্চের নীচ থেকে পড়ুয়ারা তাঁকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে। মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন শিল্পী। তা সত্ত্বেও প্রায় ঘণ্টাদুয়েক ধরে অনুষ্ঠান করেন কার্তিক দাস বাউল। অনুষ্ঠান বেশ উপভোগ করেন পড়ুয়ারা। তবে অনুষ্ঠান করে বেরনোর সময় তাঁকে বেশ কিছুক্ষণ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখানো হয় বলেও অভিযোগ। পরে যদিও কয়েকজনের হস্তক্ষেপে শিল্পী মুক্তি পান।
দীর্ঘ শিল্পী জীবনে এমন অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকতে হয়নি কার্তিক দাস বাউলকে। শিল্পী বলেন, “শ্রোতাদের গান শোনানোই আমাদের কাজ। তাই ইচ্ছা করে কোনও অনুষ্ঠানে দেরি করে যাই না আমরা। সেই মতো বেশি সময় হাতে নিয়েই মেদিনীপুর রওনা হয়েছিলাম। তা সত্ত্বেও যে রাস্তার মাঝে গাড়ি খারাপ হওয়ায় সময় নষ্ট হবে বুঝতে পারিনি। ছাত্রছাত্রীদের এহেন আচরণে সত্যিই আমার খুব খারাপ লেগেছে।” এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা প্রবীর আদক। তিনি বলেন, “কেন এমন ঘটল তা জানা নেই। যা হয়েছে তা খুব খারাপ। এটা উচিত নয়।” ইমন চক্রবর্তী-সহ একাধিক শিল্পী অনুষ্ঠান করতে গিয়েও হেনস্তার শিকার হন। এবার সেই তালিকায় নাম জুড়ল কার্তিকদাস বাউলেরও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.