সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘চলো এবার ঘরে ফেরা যাক…’, পরিযায়ী শ্রমিকদের উদ্দেশে লিখলেন গুলজার সাহেব। ওদের ঘরে ফেরার তাগিদের কথা তুলে ধরলেন ‘মজদুর মহামারী’ কবিতায়।
মাইলের পর মাইল হেঁটে চলেছে ওরা। গন্তব্য বহু দূর। পথ তো এখনও অনেক বাকি। কয়েক শো কিলোমিটার হবে! ঘুমে চোখ জ্বলছে। কাঁধে-মাথায় ব্যাগ-বোচকা। খাবার নেই। জল নেই। কচিকাঁচাগুলো খিদেয় কাঁদছে। বুড়ো মা-বাবার হাঁটার আর ক্ষমতা নেই। কিন্তু থেমে গেলে চলবে না! ওই যে ওই ব্রিজটা, তারপর আরেকটু.. তারপর আরও একটু পথ। বাচ্চাকে ভোলাচ্ছে না নিজেকে সান্ত্বনা দিচ্ছে। জানা নেই। ওরা পরিযায়ী শ্রমিক। পেটের দায়ে ভিন রাজ্যে এসেছিল রোজগারের আশায়। কিন্তু লকডাউনে কল-কারখানা সব বন্ধ গেল। অগত্যা বাড়ি ফেরা ছাড়া তো আর কোনও গতি নেই! হাজার হলেও ওখানে একটুকরো জমি আছে। চাষ করে যেমন হোক দিন গুজরান হয়ে যাবে। পরিযায়ী শ্রমিকদের এমন দুর্দশার কথাই উঠে এল গুলজারের কবিতায়।
পেটের দায়ে শহরে এলেও নিজের শিকড়কে তো আর ভোলা যায় না! জমি নিয়ে যতই বিবাদ থাকুক তুতো ভাইদের মধ্যে, হাজার হোক ওরা নিজের রক্তের। বৃষ্টি না হোক। যতই রুক্ষ্ম ক্ষেত হোক। ফসল না ফলার চিন্তা থাকলে, তবুও বাড়ি ফিরতেই হবে এবার। মরব তো মরব, সেখানে গিয়েই মরব, যেখানে আমার শিকড়। যেখানে আমার গ্রাম, আমার জীবন। তাই এতটা পথ হেঁটে চলা। গুলজারের ‘মজদুর মহামারী’ কবিতায় পরিযায়ী শ্রমিকদের এমন জীবন কথাই উঠে এল।
তাঁর কবিতায় উঠে এল ভিন রাজ্যের শ্রমিকদের ব্যথার কথা। কবি, লেখক তথা গীতিকার গুলজার বর্তমানের মহামারী পরিস্থিতির ক্রাইসিসকে বারবার নিজের সৃজনশীলতার মধ্য দিয়ে তুলে ধরেছেন। কখনও তাঁর লেখার মধ্য দিয়ে জনগণকে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার বার্তা দিয়েছেন তো আবার কখনও বা লকডাউনে অভুক্ত থাকা মানুষগুলির কথাই হয়েউঠেছে লেখার বিষয়বস্তু। আবার কখনও বা জরুরী পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীজের কুর্নিশ জানিয়ে কবিতা বেঁধেছেন। এবার বললেন পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশার কথা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.