সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একুশ শতকের কৃষক আন্দোলন (Farmers’ Protest) দেশের ইতিহাসে এক বড় অধ্যায়। ঘাম ঝরিয়ে ধান ফলানো জমি পুঁজিপতিদের হাতে তুলে দেওয়ার বিরোধিতায় গত বছরের যেভাবে কৃষকদের প্রতিরোধ দেখেছেন দেশবাসী, তা নিঃসন্দেহে টলিয়ে দেওয়ার মতো। সেই চাপে পড়ে কেন্দ্র কার্যত পিছু হটে বিতর্কিত নতুন তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের পথে হেঁটেছে। কৃষকদের সেই সংগ্রামকে আরও একবার তাই গানে গানে কুর্নিশ জানালেন বাংলার সংগীতশিল্পীরা। ‘সাহস আসলে তুচ্ছ হতে চায় না/ একলা মরার স্বাধীনতা বিপ্লব দেয় না’- এই সব শব্দে সাজানো প্রতিবাদের গানে গলা মেলালেন তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রও (Madan Mitra)। গাইলেন ‘একলা চলো’ও। শিল্পীদের প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন তিনি।
আসলে, কৃষক আন্দোলনের প্রথম থেকেই বঙ্গবাসী তাঁদের পাশে ছিলেন। সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সংগ্রামে নিজেদের শামিল করেছিলেন শিল্পীসমাজ। আর সেই জায়গা থেকেই কথায়-সুরে বেঁধে ফেলা ‘বিদ্রোহের গান’। আসলে বছর খানেক আগে কৃষি আইন (Farm Laws) নিয়ে দেশজুড়ে প্রতিবাদের আগুন জ্বলে ওঠার পরপরই এই গান লিখে ফেলেছিলেন সংগীতশিল্পী অভিজিৎ পাল। তাঁর গানে সুর বসিয়ে গেয়েছিলেন ইমন সেন। এবার সেই সংগ্রাম যখন সাফল্যের মুখ দেখল, তখনও সেই গানে গানেই উদযাপন করলেন শিল্পীরা।
এদিন ফের অভিজিতের স্টুডিওতে গাওয়া হল সেই গান। এবার অভিজিৎ, ইমনের সঙ্গে গাইতে এলেন সিধু, মদন মিত্র। এদিন স্টুডিওয় দেখা গেল গিটার সহযোগে তাঁরা গাইছেন রবীন্দ্রনাথের গান – ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলো রে’। এক বছর আগের সেই আগুন ঝরা দিনে কীভাবে গান তৈরি হয়েছিল, তার স্মৃতিচারণ করছিলেন শিল্পী অভিজিৎ পাল। বলছিলেন, সাহসে ভর করে সেদিন গান তৈরির উদ্যোগ নিয়েছিলেন। পাশেও পেয়েছিলেন অনেককে। আর আজ কৃষকদের জন্য তাঁদের সেই সংগীত অর্ঘ্য সম্পূর্ণ সার্থক হল বলে মনে করছেন অভিজিৎ, ইমনরা। এভাবেই একটু অন্য পথে কৃষক আন্দোলনের প্রতি সশ্রদ্ধ প্রণাম নিবেদন করলেন বাংলার শিল্পীরা।
অভিজিৎ-ইমনদের গান শুনে মদন মিত্রের প্রতিক্রিয়া, ”এই গান আমাকে খুবই অনুপ্রেরণা দিল। বাংলার শিল্পীরাই এতটা মানবিক হয়ে আন্দোলনের পাশে থাকতে পারেন। ওঁদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.