সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একাধিক মহিলাকে যৌন হেনস্তায় অভিযুক্ত বিখ্যাত ব্রিটিশ সাহিত্যিক নিল গেইম্যান। নিউ ইয়র্কের এক ম্যাগাজিনে ‘দেয়ার ইজ নো সেফ ওয়ার্ড’ নামের এক রচনায় গেইম্যানের বিরুদ্ধে আটজন মহিলার অভিযোগ লিপিবদ্ধ হয়েছে। রচনাটি প্রকাশিত হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সমস্ত অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন সাহিত্যিক।
অভিযোগকারিণীদের মধ্যে রয়েছেন স্কারলেট পাভলোভিচ। তিনি একসময় গেইম্যান ও তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী আমান্দা পামারের সন্তানের ন্যানি ছিলেন। স্কারলেটের অভিযোগ, ২০২২ সালে যখন তাঁর বয়স ২২, সেই সময় তিনি বেবিসিটারের কাজ করতেন। আর সেই সময়ই তাঁকে লাগাতার যৌন হেনস্তা করেন গেইম্যান। লেখকের নিউজিল্যান্ডের বাড়িতে প্রথমবার বাথটাবে তাঁর উপরে চড়াও হন তিনি। বারবার বাধা দেওয়া সত্ত্বেও নির্যাতন চালিয়ে যান। সেই সময় নাকি গেইম্যান বলেছিলেন, ”আমাকে প্রভু বলে ডাকবে। তুমি ভালো মেয়ে। ছোট্ট ভালো মেয়ে।” স্কারলেটের দাবি, পরিবার প্রতিপালনের জন্য নির্যাতন সত্ত্বেও তাঁকে কাজ করতে হয়েছিল গেইম্যানের বাড়িতে। আর সেই সুযোগে ব্রিটিশ সাহিত্যিক নিয়মিত তাঁর সঙ্গে বলপূর্বক মিলিত হতেন। তাঁকে মুখমেহনে বাধ্য করতেন। পায়ুকাম করতেন। এমনকী বাধ্য করতেন নিজের বর্জ্য গলাঃধকরণ করতেও। স্কারলেটের অভিযোগ, এক হোটেলের ঘরে নিজের ছেলের সামনেই তাঁকে ধর্ষণ করেন গেইম্যান। এছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন গেইম্যানের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ এনেছেন।
সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন লেখক। তাঁর দাবি, স্কারলেটের অভিযোগ একেবারেই মিথ্যা। বাকিদের সঙ্গে যা হয়েছে তা অবশ্যই সম্মতিপূর্বক। প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের জুলাইয়ে প্রথমবার গেইম্যানের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠে। একটি পডকাস্টে লেখকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন দুই মহিলা। তারপর থেকেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে গেইম্যানের পেশাদার জীবনেও। তাঁর একাধিক কাহিনি থেকে হওয়া টিভি সিরিজ ‘দ্য গ্রেভইয়ার্ড বুক’, ‘দ্য স্যান্ডম্যান’, ‘গুড ওমেন’ ইত্যাদির কাজ থমকে গিয়েছে। যদিও লেখক সমাজ কেন নীরব, প্রশ্ন তুলেছেন জেকে রাউলিং।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.