Advertisement
Advertisement

Breaking News

Taslima Nasrin

বাংলাদেশের হিংসার ঘটনায় হিন্দুদের পক্ষ নেওয়ায় ফেসবুকে ‘নির্বাসিত’ তসলিমা নাসরিন!

টুইটারে ক্ষোভ প্রকাশ করেন লেখিকা।

Facebook account of Taslima Nasrin banned for 7 days | Sangbad Pratidin
Published by: Suparna Majumder
  • Posted:November 1, 2021 2:37 pm
  • Updated:January 21, 2022 12:11 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশের হিংসা নিয়ে মন্তব্য করায় ফেসবুক থেকে ‘নির্বাসিত’ তসলিমা নাসরিন (Taslima Nasreen)। টুইটারে এই কথা নিজেই জানালেন বিতর্কিত লেখিকা। সাত দিনের জন্য তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তসলিমা। 

 

Advertisement

চলতি বছরে উৎসবের আবহে সাম্প্রদায়িক অশান্তিতে তপ্ত হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। অষ্টমীর রাতে সেদেশে একাধিক দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2021) মণ্ডপ ভেঙে দেওয়া হয়। বিজয়া দশমীতে বাংলাদেশের ইসকন মন্দিরে হামলা চালানো হয়। রংপুরের পীরগঞ্জে ২৫টি বাড়িতে আগুন, ৯০টির বেশি বাড়িঘর লুটপাট এবং ভাঙচুর করা হয়। বিভিন্ন মহলে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হয়। প্রতিবাদে সোচ্চার হয় ইসকন কর্তৃপক্ষ। দুই বাংলার তারকারাও ধিক্কার জানান। এই অশান্তির প্রতিবাদেই ফেসবুকে সরব হয়েছিলেন তসলিমা নাসরিন।

Bangladesh

 

[আরও পড়ুন: হাত বাড়াল ফাইজার, করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশে শুরু কিশোর ও কিশোরীদের টিকাকরণ]

সোমবার নিজের টুইটে প্রথমে সাতদিনের জন্য অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় হওয়ার কথা জানান তসলিমা। তারপরই লেখেন, “ফেসবুক আমায় নিষিদ্ধ করেছে কারণ আমি লিখেছিলাম, হিন্দুরা হনুমানের কোলের উপর কোরান রেখেছেন ভেবে কট্টরপন্থীরা বাংলাদেশি হিন্দুদের বাড়ি ও মন্দিরে ভাঙচুর করেছেন। কিন্তু যখন জানা গেল হিন্দুরা নন ইকবাল হোসেন এই কাজটি করেছেন, তখন আর কট্টরপন্থীদের কেউ ইকবালের বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য করেননি বা কোনও পদক্ষেপ নেননি।”

 

এর পরের টুইটেই আবার ভারতের ধর্ম নিরপেক্ষতার ভূয়সী প্রশংসা করেন তসলিমা। তিনি লেখেন, “হিন্দুরা আজমের শরিফ দরগা, নিজামউদ্দিনের মতো জায়গায় প্রার্থনা করেন, সলমন খান গণেশ চতুর্থী পালন করেন, শাহরুখ খান সিদ্ধি বিনায়ক মন্দিরে প্রার্থনা করেন। এটাই ভারতবর্ষ।” 

Tweet series of Taslima

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে একটি মন্দিরও ধ্বংস হয়নি। ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে চারজন মুসলিম, ২ জন হিন্দু। কোনও নারী নির্যাতিতা হননি।  ২৯ অক্টোবর একথাই জানান বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন। তবে তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন, দেবীমূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে, যা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। তাঁর দাবি, সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে। 

[আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকবে পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্ত, ভারত-বাংলাদেশের যোগাযোগে নয়া পদক্ষেপ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement