সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার কাওয়ালি নাচের জেরে যোগী সরকারের রোষের শিকার কত্থক নৃত্যশিল্পী। মঞ্জরী চতুর্বেদী নামে ওই শিল্পীর অভিযোগ, প্রায় বিনা নোটিসেই তাঁর অনুষ্ঠান থামিয়ে দেওয়া হয়। এখানে কাওয়ালি চলবে না বলেই সাফ তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয় বলেই দাবি নৃত্যশিল্পীর। অনেকেই মনে করছেন, কাওয়ালি অহিন্দু সংস্কৃতি বলেই যোগী সরকারের অনুষ্ঠানে তা ‘ব্রাত্য’। যদিও নৃত্যশিল্পীর যোগী সরকার দাবি খারিজ করে দিয়েছে। বৃষ্টির দিনে তাড়াতাড়ি অনুষ্ঠান শেষ করতেই নৃত্যশিল্পীকে কম সময় মঞ্চে থাকতে দেওয়া হয়েছে বলেই দাবি প্রশাসনের।
ঘটনাটি ঘটে গত বৃহস্পতিবার। ওইদিনই লখনউতে সরকারি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন কত্থক নৃত্যশিল্পী মঞ্জরী চতুর্বেদী। শিল্পীর দাবি, ৪৫ মিনিট তাঁকে অনুষ্ঠান করতে হবে বলেই জানিয়েছিলেন অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তারা। তাঁদের কথা শুনে রাজি হয়ে যান মঞ্জরী। অনুষ্ঠান মঞ্চে কাওয়ালি নৃত্য শুরু করেন। দর্শকাসনে বসে থাকা ব্যক্তিরা দিব্যি শিল্পীর নাচ উপভোগ করছিলেন। কিন্তু আচমকাই বিঘ্ন ঘটল। মঞ্চে উঠে পড়েন এক ব্যক্তি। তিনি ঘোষণা করতে থাকেন, মঞ্জরী চতুর্বেদীর অনুষ্ঠান শেষ। এবার মঞ্চে উঠবেন অন্য এক শিল্পী। প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি সামাল দিতেই হয়তো উদ্যোক্তাদের অনুষ্ঠান মাঝপথে থামিয়ে দিলেন। কিন্তু উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বলার পর সেই ভুল ভাঙে তাঁর। শিল্পীর দাবি, উদ্যোক্তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন তাঁকে বলেন ‘এখানে কাওয়ালি চলবে না’। কিন্তু কেন চলবে না কাওয়ালি? অনেকেই বলছেন, কাওয়ালি ইসলামিক সংস্কৃতি। তাই হয়তো কাওয়ালি বন্ধ করার নিদান দিয়েছে যোগী প্রশাসন।
অনুষ্ঠানের অভিজ্ঞতা কোনওদিন ভোলা সম্ভব নয় বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় উল্লেখ করেন কত্থক নৃত্যশিল্পী। পরে বিস্তারিতভাবে ঘটনা জানাব বলেও লেখেন তিনি।
যদিও চাপের মুখে এই ঘটনায় মুখ খোলেন যোগীরাজ্যের প্রশাসনিক কর্তারা। উদ্যোক্তারা শিল্পীর দাবি খারিজ করে বলেন, “আমরা জানতাম মঞ্জরী চতুর্বেদী কাওয়ালি নৃত্য করবেন। তাতে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু অনুষ্ঠানের দিন প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছিল। তাই আমন্ত্রিতরা ঘণ্টাখানেক দেরিতে অনুষ্ঠানে আসেন। ঠিক সময়ে যাতে অনুষ্ঠান শেষ করা যায় তাই বাধ্য হয়েই ১৫ মিনিটে তাঁকে মঞ্চ ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.