সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েক সপ্তাহের লকডাউনের জেরে বেজায় বিপাকে পড়েছে পরিযায়ী শ্রমিকরা। যান চলাচল বন্ধ। অতঃপর বাড়ি ফিরতে পারছে না কেউই। প্রধানমন্ত্রীর লকডাউনের ঘোষণা শুনে অনেক কারখানাই তড়িঘড়ি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যার জেরে আবার কর্মহীনও হয়ে পড়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকদের একাংশ। প্রস্তুতি নিয়ে নিজের বাড়ি ফেরার আগেই সমস্ত সরকারি পরিষেবাও বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ভিন রাজ্যেই আটকে পড়েছে তারা। স্ত্রী-সন্তান, পরিবার নিয়ে কী খাবে, কোথায় থাকবে, এই ভাবনায় মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে তাদের। সরকারি সাহায্যের আশায় প্রহর গুনছেন বিপদগ্রস্তরা। এমন চরম বিপদের দিনে ভিন রাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ালেন অভিনেতা বাদশা মৈত্র।
বেঙ্গালুরুতে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের আর্থিক সাহায্য করেছেন বাদশা। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি একটি ফেসবুক ভিডিওয় ভিন রাজ্যে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের উদ্দেশে সাহায্যের হাত বাড়ানোর আরজিও জানিয়েছিলেন অভিনেতা। উল্লেখ্য বেঙ্গালুরুতে এই মুহূর্তে নদীয়া, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের শ্রমিকেরা আটকে পড়েছেন। কারও ঘরের মজুত রসদ ফুরিয়েছে, আবার দিন আনি দিন খাই মজুরদের কারও কাছে বা টাকাপয়সা নেই অত্যাবশকীয় সামগ্রী কেনার জন্যে। কেউ বা দুধের শিশু, পরিবারের বয়স্ক সদস্যদের নিয়েও সমস্যায় পড়েছেন। এককথায় প্রত্যেকটা দিন কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে তাঁদের।
এপ্রসঙ্গে বাদশা জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের মারণ প্রকোপ এড়াতে দেশব্যাপী যে লকডাউন শুরু হয়েছে, তার জেরে বেঙ্গালুরু বিভিন্ন প্রান্তে আটকে পড়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা, যেমন- নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনার অন্তর্গত বনগাঁ ও হিঙ্গলগঞ্জ থেকে কাজের খোঁজে পাড়ি দিয়েছে অসংখ্য পরিযায়ী শ্রমিক। স্থানীয় পরিচয় পত্রের অভাবে এদের বেশিরভাগই সরকারি ও বেসরকারি সাহায্য হতে বঞ্চিত। অতঃপর লকডাউনে অকল্পনীয় খাদ্যসংকটে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে তাঁদের কপালে। তাঁদের কথা ভেবেই বাদশা মৈত্রর আরজি, “আমাদের একান্ত অনুরোধ যে, আপনারা আপনাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন পরিযায়ী শ্রমিকদের দিকে। যে কোনও প্রকার সরকারি বা বেসরকারি সাহায্য নিতে আমরা প্রস্তুত। আপনাদের সামান্য হতে সামান্যতর সাহায্যও একটি পরিযায়ী শ্রমিক পরিবারকে এই বেঁচে থাকার লড়াইয়ে জিতিয়ে দিতে পারে।”
যদিও কর্ণাটক ভারত জ্ঞান বিজ্ঞান সমিতির তরফে ইতিমধ্যেই প্রায় ১৫০০০ মানুষের কাছে পৌঁছনো সম্ভব হয়েছে, কিন্তু এখনও বহু মানুষ এই সাহায্য থেকে বঞ্চিত। কারণ, তার জন্যে প্রয়োজন ফান্ডিংয়ের। তাই এই সঙ্কটময় মুহূর্তে, বাংলার বিভিন্ন জেলার ওই দুস্থ মানুষগুলির উদ্দেশে সাহায্যের হাত বাড়ানোর জন্য বাংলার মানুষের কাছেই আবেদন রেখেছেন বাদশা মৈত্র। কোথায় কীভাবে টাকা পাঠাবেন, বিশদে জানিয়েছেন অভিনেতা। দেখে নিন নিচে দেওয়া লিঙ্কে-
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.