চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: দুর্গা রানার বাড়িতে গিয়ে হাজির হলেন মেয়র। শুনলেন শিল্পীর সমস্যার কথা। শুনলেন গানও। হাতে তুলে দিলেন আর্থিক সাহায্য। আশ্বাস দিলেন পাশে থাকার। রবিবার ডিসেরগড়ের মানুষ সাক্ষী থাকলেন সেই ঘটনার। ‘করোনা কেড়েছে জলসা’। এক সময়ে অর্কেস্ট্রার বেতাজ বাদশা দুর্গা রানাকে অর্থের জোগাড় করতে হচ্ছে শুধুমাত্র সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করে। সেই খবর ‘সংবাদ প্রতিদিনে’ প্রকাশিত হওয়ার পরই তা নজরে পড়ে আসানসোলের মেয়র, তথা পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক ও তৃণমূলের জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তেওয়ারির।
স্থানীয় কাউন্সিলর অভিজিৎ আচার্য, তৃণমূল নেতা সুবল মুখোপাধ্যায়-সহ অন্য কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে রবিবার দুর্গা রানার বাড়িতে হাজির হন মেয়র। শিল্পীর পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্য এবং একমাসের জন্য প্রোটিন জাতীয় খাবার তুলে দেন। মেয়র প্রতিশ্রুতে দেন, দশ ফুট বাই দশ ফুটের ভাঙাচোরা ঘর মেরামত করে দেওয়া হবে ও শৌচালয় তৈরি করে দেওয়া হবে। দুর্গা রানা ও তাঁর স্ত্রী ঋণাদেবী একমাত্র ছেলের জন্য কিছু একটা করে দেওয়ার আবেদন করলে মেয়র আশ্বাস দেন সেই বিষয়টিও বিবেচনা করবেন। উল্লেখ্য, আসানসোল, দুর্গাপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ধানবাদ, পাটনায় গায়ক দুর্গা রাণাকে চেনেন না বা ‘ডি রানা নাইট’ অনুষ্ঠান হয়নি এমন কোনও পাড়া, মহল্লা বাকি নেই। এখন লকডাউন। চারমাস ধরে বাড়িতে কোনও আয় নেই। স্থানীয় এক কারখানায় নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করে দিন গুজরান করেন তিনি।
মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন, “ছোটবেলায় দুর্গাদার কত গান শুনেছি। তাঁর নাম শুনেই ছুটে যেতাম জলসায়। সেই শিল্পীর এই পরিণতির কথা জানতে পেরেই মনটা খারাপ হয়ে গেল।” এদিন মেয়রের আবদারে দুর্গা রানা দ্বরাজ গলায় গানও ধরেন। মেয়র আরও বলেন, “দুর্গাদার গান শুনে, ছোটবেলার দিনগুলোয় ফিরে গেলাম। আমাদের সরকার ও আমাদের মুখ্যমন্ত্রী শিল্পীদের সম্মান দিতে জানেন। দুর্গা রানার যা সমস্যা রয়েছে তা সমাধান করার জন্য মন থেকে চেষ্টা করব।” স্থানীয় কাউন্সিলর তৃণমূলের যুব নেতা অভিজিত আচার্য এদিন বলেন, “এখানকার সাংসদ-মন্ত্রী যিনি নিজে একজন শিল্পী তিনি কিন্তু শিল্পীদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে এলেন না। এগিয়ে এলেন মেয়র সাহেব।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.