Advertisement
Advertisement
Barrackpore

পদ্ম, ঘাসফুল বা কাস্তে-হাতুড়ি নয়! ভোটের বাজারে বারাকপুরে দেওয়াল জুড়ে উত্তম-সত্যজিৎ

নির্বাচনী-নামচার আবহে এক অনন্য দৃশ্য।

Amid Election campaign Raj Chakraborty's initiative to beautification Of Barrackpore station

ছবি : ফেসবুক

Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:March 28, 2024 7:05 pm
  • Updated:March 28, 2024 7:23 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোট এলেই দেওয়াল যেন রঙিন ছড়ার বই হয়ে ওঠে! ভোট উৎসবে ভিন্ন রাজনৈতিক রঙে দেওয়ালের ক্যানভাস জুড়ে শুধুই নির্বাচনী-নামচা! প্রার্থীদের নাম-ধাম, ছড়া-স্লোগান থেকে দলীয় চিহ্ন, যেদিকে দুচোখ যায়, সেদিকেই ভোটের প্রচার লিখন। তবে বারাকপুরে দেখা গেল অন্য দৃশ্য! নির্বাচনী আবহে যেখানে ইতিমধ্যেই উত্তপ্ত বাংলা, সেখানে বারাকপুরের মতো হাইভোল্টেজ কেন্দ্রের একাধিক দেওয়ালে যেন সিনেম্যাটিক উদ্ভাসন। পরিত্যক্ত পাঁচিলে শোভা পাচ্ছেন উত্তম কুমার, সত্যজিৎ রায়-সহ আরও অনেকে। 

ভোট উৎসব মানেই রাত-ভোর জেগে দেওয়াল লিখন। নাওয়া-খাওয়া ভুলে কর্মীদের ‘মাস্ট টু ডু টাস্ক’! আর সেই আবহেই কিনা দেওয়ালে দেওয়ালে বাংলার ইতিহাস, সিনে-সংস্কৃতি। শুধু তাই নয়, সত্যজিৎ-উত্তমদের পাশাপাশি যেমন বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন, তেমনই বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসু থেকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, ক্ষুদিরাম, বিবেকানন্দর অবয়ব। নির্বাচনী প্রচারের ময়দানে যখন বসত বাড়ি কিংবা পাঁচিল ‘বেচারা’ ছাড় পায় না! সেখানে পরিত্যক্ত দেওয়াল ছড়া-স্লোগান লেখা কিংবা প্রার্থী পরিচিতির জন্য মহার্ঘ্য হয়ে ওঠে! লোকসভা ভোটের আবহে পাড়ার এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তের দেওয়ালে কোথাও রং-তুলিতে ফুটে ওঠে  পদ্মফুল, কোথাও ঘাসফুল আবার কোথাও বা উঁকি দিচ্ছে কাস্তে-হাতুড়ি চিহ্ন। কিন্তু বারাকপুরের ঘোষপাড়া যেন সব অর্থেই ব্যতিক্রম। এখানে চোখে পড়ল অন্য এক দৃশ্য। যা বাংলার গৌরবের ইতিহাসকে নতুন করে স্মরণ করিয়ে দিল।  

Advertisement

[আরও পড়ুন: শিব সেনার শিণ্ডে শিবিরে গোবিন্দা, ফের ভোটে লড়বেন ‘হিরো নম্বর ওয়ান’]

বারাকপুর স্টেশন থেকে বেরিয়ে ডান দিক বরাবর রাস্তাটা ঘোষপাড়া রোড। স্টেশন লাগোয়া প্রায় ৭১০ মিটার লম্বা রেলের পাঁচিল। যেখানে এযাবৎকাল হয় ঘুঁটে, পানের পিক ‘শোভা পেত’, নয়তো ভোটের সময় রাজনৈতিক দলের আঁকিবুকি। প্রাচীরের বেশ খানিকটা খসেও গিয়েছিল। জমে থাকত আবর্জনাও। বারাকপুরের স্টেশন চত্বরের সেই দেওয়ালই এখন চেনা দায়!

রঙিন ক্য়ানভাসে দেখা যাচ্ছে কোথাও মনীষীদের মুখ, আবার কোথাও বা ইতিহাসের পাতা থেকে উঠে আসা সিপাহি বিদ্রোহ, আবার কোথাও দুর্গাপুজোর আবহ। রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেই এহেন সৌন্দর্যায়নের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করেছেন বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী। তাঁর উদ্যোগেই বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতি থেকে সিনেমার নানা ছবি কোলাজে ফুটিয়ে তুলেছেন একদল শিল্পী। বারাকপুরের পরতে পরতে ইতিহাস। স্থানীয় বাসিন্দাদের সেকথা মনে করিয়ে দিতেই তারকা বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীর এমন অভিনব উদ্যোগ। মাসখানেক আগেই সায়ন মুখোপাধ্যায় কাজ শুরু করেছিলেন। শেষমেশ ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশিত হতেই বারাকপুরের ঘোষপাড়া রোড রঙিন হয়ে উঠল শিল্পীর তুলির টানে। 

[আরও পড়ুন: রাজনীতিতে ‘কাপুর সিস্টার্স’! কোন দলের হয়ে ভোটে লড়বেন করিশ্মা-করিনা?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement