সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাহিত্যিক নবনীতা দেবসেনের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ সাহিত্যজগৎ। প্রাক্তন স্বামী অমর্ত্য সেন থেকে শুরু করে ছোটবেলার বন্ধু বুদ্ধদেব গুহ, অনেকেই তাঁর মৃত্যুতে শোকবার্তা জানিয়েছেন। প্রাক্তন স্ত্রীয়ের মৃত্যুতে অমর্ত্য সেন শোকাহত। পেশার খাতিরে তিনি এখন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছেন। ক্লাস চলছিল তাঁর। ক্লাসের মাঝেই খবর পান, নবনীতা দেবসেন আর নেই। বিদেশ থেকেই তিনি বলেছেন, “কাকে দেখতে যাব? যাকে দেখতে যাব, সেই তো আর নেই।”
নবনীতা দেবসেনের ঘনিষ্ঠরা বলেন, অমর্ত্য সেনের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর থেকে মনোকষ্টে ভুগতেন তিনি। কিন্তু জীবনযুদ্ধে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। প্রাক্তন স্ত্রীয়ের মৃত্যুতে অমর্ত্য সেন আরও বলেছেন, “নরম স্বভাবের মানুষ ছিলেন নবনীতা। ওর অভাব অনুভুত হবে। ওর সঙ্গে দেখা করতে পারলে ভাল হত। কিন্তু কাকে দেখতে যাব? যাকে দেখতে যাব, সেই তো আর নেই।” ‘সংবাদ প্রতিদিন’-এর ‘রোববার’ ম্যাগাজিনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। পত্রিকার সম্পাদক গায়ক অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, গত সপ্তাহেই ‘ভালবাসার বারান্দা ’ কলাম লেখেন তিনি। পত্রিকার সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক ছিল নবনীতা দেবসেনের।
সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেছেন, “একজন ভাল বন্ধুকে হারালাম। শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে গুরুত্ব দেননি কোনওদিন। অত্যন্ত সাহসী মেয়ে ছিলেন। কবিতা, গল্প, উপন্যাস, ভ্রমণ কাহিনী… যাতে হাত দিয়েছেন, সোনা ফলেছে। দীর্ঘদিন হাঁপানির রোগী ছিলেন তিনি। কষ্ট হত। লাঠি নিয়ে হাঁটতেন। কিন্তু মুখ ছিল অমলিন। অসম্ভব জীবনীশক্তি ছিল নবনীতার। ক্যানসারকেও গুরুত্ব দেননি। ক্যানসার নিয়েও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যেতেন। ওর চলে যাওয়াটা খুব দুঃখের। ভাল বন্ধুকে হারালাম।”
নবনীতা দেবসেনের মৃত্যুতে শোকাহত সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহও। তিনি বলেছেন, “আমরা একসঙ্গে স্কুল ফাইনাল পাশ করি। আমরা একটা কাগজ বের করতাম। ও তো বিয়ে হওয়ার পর বিদেশ চলে যায়। সেখান থেকে চিঠি লিখত। ওর লেখার ভক্ত ছিলাম আমি। আমাদের মধ্যে লেখা নিয়ে কথা হত। আমার গান শুনতে চাইত। আমি ওর মায়ের কাছে যেতাম। কিছু বলার মতো মনের অবস্থা নেই আমার।” নবনীতা দেবসেনের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
Saddened at the passing away of noted litterateur and academic Nabaneeta Dev Sen. A recipient of several awards, her absence will be felt by her myriad students and well-wishers. My condolences to her family and admirers.
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) November 7, 2019
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.