Advertisement
Advertisement

কতটা বেপরোয়া হতে পারল ইশান-জাহ্নবীর ‘ধড়ক’?

হলে যাওয়ার আগে জেনে নিন।

Dhadak movie review: See how Ishan-Janhvi film fares
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 20, 2018 4:32 pm
  • Updated:July 20, 2018 4:32 pm  

সুপর্ণা মজুমদার: আসলের খবর রাখলে তবেই নকলের ফারাক বোঝা যায়। সেই সুবাদেই ‘সাইরাত’ দেখা। মারাঠি শব্দ ‘সাইরাত’-এর অর্থ বেপরোয়া। প্রেম তো বেপরোয়াই হয়ে থাকে। খরস্রোতা নদীর মতো। কিছুতেই বাঁধন মানতে চায় না। বেপরোয়ার মতোই পারশেয়া ছুটে গিয়েছিল আর্চিকে একবার চোখের দেখা দেখতে। মাটির সোঁদা গন্ধ ছিল সে ছবিতে। কিন্তু ‘ধড়ক’ করণ জোহরের মানসপুত্র। তাই এতে তো চোখের চটক থাকবে। কিন্তু উদয়পুরের চোখধাঁধানো লোকেশন কি হৃদয়ে প্রাণের সঞ্চার করতে পারে। তার জন্য প্রয়োজন হয় গল্পের গভীরতা। হ্যাঁ, চেষ্টায় পরিচালক শশাঙ্ক খৈতান কোনও কমতি রাখেননি। আগের ছবি ‘বদ্রীনাথ কি দুলহনিয়া’য় যেমন সমাজকে বার্তা দিতে চেয়েছিলেন, এ ছবিতেও তেমনটাই করতে চেয়েছেন। কিন্তু সুরের সঙ্গে অভিনয়ের তালটা তেমন একটা যায়নি। আবেগঘন দৃশ্যে জাহ্নবী কাপুর বড্ড অপরিণত। ইশান খট্টরের কাঁধ এখনও এতটা চওড়া হয়নি যে কোনও ছবি একার দায়িত্বে বক্স অফিসে উতরে দেবেন।

[বড়পর্দায় ফের একসঙ্গে অজয় ও সইফ, ছবির নাম জানেন?]

Advertisement

ছবির প্রচারে এসে পরিচালক-প্রযোজক বারবার বলেছেন ‘ধড়ক’ ও ‘সাইরাত’-এ তফাত আছে। হ্যাঁ, সত্যিই তফাত আছে। তফাত আছে বাস্তব ও কল্পনায়। মাটির কাছে কাহিনি ‘সাইরাত’। সমাজের রূঢ় বাস্তব। হনার কিলিং আজও খবরের শিরোনামে জায়গা করে নেয়। পারিবারিক সম্মানের জন্য হত্যার বাস্তব রূপ দেখিয়েছেন পরিচালক নাগরাজ। তাঁর গল্প মাটির বড্ড কাছের। চরিত্রের প্রয়োজনে কাহিনি নয়, কাহিনির প্রয়োজনে সেখানে ছিল চরিত্র। কিন্তু করণের ছবিতে চরিত্রের গুরুত্বই যেন বড্ড বেশি। ‘সাইরাত’-এর মতোই কাহিনির শুরু মধুকরের (ইশান) স্বপ্নের সূত্র ধরে। ছোট জাতের বাড়ির ছেলে মধুকর পার্থবীতে (জাহ্নবী) মুগ্ধ। তার এক ঝলক পেতে সবকিছু করতে পারে। কিন্তু পার্থবী উচ্চবিত্ত পরিবারের মেয়ে। প্রেম কবে সমাজের তোয়াক্কা করেছে? ফল অবধারিতই ছিল। পার্থবীর পরিবারের মধুকর ও তাঁর পরিবারের উপর অত্যাচার, মধুকর-পার্থবীর পালিয়ে যাওয়া। তারপর কলকাতায় চলে আসা। ইংরাজি বলতে পারে দু’জনে। তাই কষ্ট করে হলেও কাজ জুটে যায়। জীবন ফের সুন্দর হতে থাকে। সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু আচমকাই পার্থবীর পরিবারের লোকেরা চলে আসে। তারপর? পরের ঘটনাটি পরিচালক শশাঙ্ক পালটে দিয়েছেন। কিন্তু সব পরিবর্তনের প্রয়োজন থাকে না। কারণ ‘সাইরাত’ যাঁরা দেখেছেন, তাঁরা জানেন দুর্ধর্ষ ক্লাইম্যাক্সের গুরুত্ব।

 

[বাঙালির মুখে কি হাসি ফোটাতে পারল ‘আবার বসন্ত বিলাপ’?]

ছবি চলাকালীন জাহ্নবীর জীবনে খুব বড় ঘটনা ঘটে গিয়েছে। মা শ্রীদেবীকে হারিয়েছেন অভিনেত্রী। সেদিক থেকে সমবেদনা অবশ্যই রয়েছে। তবে তারকা-কন্যা হলে অভিনয়ের ক্ষেত্রে তুলনা তো আসবেই! যে চরিত্রের বলিষ্ঠতায় জাতীয় পুরস্কার রিঙ্কু রাজগুরু পেয়েছেন, সে চরিত্রের জন্য জাহ্নবী বড্ড বেমানান। একটা আদুরে ভাব রয়েছে তাঁর মধ্যে, গাঁয়ের দস্যি মেয়ে কোনওভাবেই হয়ে উঠতে পারেননি তিনি। ইশান অবশ্য পুরো চেষ্টা করেছেন। আশুতোষ রানা, খরাজ মুখোপাধ্যায়রা কেবল পরিচালকের কথামতো নিজেদের কাজ করে গিয়েছেন। ‘সাইরাত’ ও ‘ধড়ক’-এর সুরে এমন কিছু তফাত নেই কারণ সুরকার একই অজয়-অতুল। কিন্তু পরিচালক যেন বুঝতেই পারেননি তিনিই ‘সাইরাত’-এর রিমেক তৈরি করতে চান, নাকি ইশান-জাহ্নবীকে নিয়ে নতুন কাহিনি দর্শকদের সামনে তুলে ধরতে চান। এই দোলাচলেই ‘ধড়ক’-এ প্রাণ সেভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারল না।   

[‘ধড়ক’-এর স্পেশ্যাল স্ক্রিনিংয়ে কেঁদে ফেললেন জাহ্নবী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement