সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘এক্সাইটমেন্ট’-এর কারণ তো রয়েছেই! একে তো জীবনের প্রথম প্রযোজিত ছবি, তার উপরে আবার বিস্তর বাধা কাটিয়ে ছবির মুক্তির দিনটাও ঠিক হয়ে গিয়েছে। সব মিলিয়ে দেবকে এখন আর পায় কে!
প্রথম যখন খবর এসেছিল খুব অন্যরকম এক চিত্রনাট্য নিয়ে অভিনেতা এবং প্রযোজক হিসেবে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন দেব, হইচই শুরু হয়ে গিয়েছিল তখন থেকেই! কেন না, মশালা-ছবির বাইরে দেবকে দেখা গিয়েছে ঠিক হাতে গোনা চারটে ছবিতে- কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের ‘চাঁদের পাহাড়’, অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরির ‘বুনো হাঁস’, অপর্ণা সেনের ‘আরশিনগর’ আর সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘জুলফিকর’। কিন্তু, কোনও ছবিই সেভাবে দর্শকের মন জয় করতে পারেনি। বিস্তর সমালোচনা হয়েছে দেবের অভিনয় নিয়েও।
টলিপাড়ায় আলোচনা- সেই সব দিক বাঁচিয়েই কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় খুব বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে এমন এক চিত্রনাট্যে বেঁধেছেন দেব-এর ইমেজকে, যা নায়কের প্রতি সম্পূর্ণ সুবিচার করবে। পাশাপাশি, এই ‘ধূমকেতু’ ছবিই দীর্ঘ চার বছর পরে এক পর্দায় ফিরিয়ে আনছে শুভশ্রী আর দেবের জুটিকে। এছাড়া ‘দেব এন্টারটেনমেন্ট ভেঞ্চারস্’-এরও এই ছবি দিয়েই পথ চলা। সব মিলিয়ে এত দিনের চেনা ছক ভাঙতে চলেছে।
এক সাক্ষাৎকারে একদা পরিচালক জানিয়েছিলেন কেমন গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে ‘ধূমকেতু’। এই ছবিতে দেব-অভিনীত চরিত্রটির নাম মেঘ। মেঘই দেবের জীবনের প্রথম এক বিবাহিত যুবকের চরিত্রে অভিনয়। বলাই বাহুল্য, এই মেঘের স্ত্রীর ভূমিকায় ছবিতে অভিনয় করছেন শুভশ্রী। দু’জনের বিয়ের ছবি নিয়েও বিস্তর হইচই হয়েছে নেট-দুনিয়ায়।
তো, এই মেঘ কাজ করে সিকিমের এক চা-বাগানে। সেই চা-বাগানের সে ম্যানেজার। সব মিলিয়ে সোজা পথেই হাঁটছিল তার জীবন। একদিন হঠাৎ করে তাল কেটে যায়। মেঘের চাকরি চলে যায়। সে চা-বাগান ছেড়ে ফিরতে বাধ্য হয় তার বাড়িতে। এবং, ধীরে ধীরে আবিষ্কার করে সুখের সংজ্ঞা। বুঝতে পারে, মানুষ যেখানেই থাকুক না কেন, তার শিকড় বাঁধা থাকে পরিবারে। পরিবারই মানুষকে দিতে পারে আশ্রয়, সুখের ঠিকানা।
কিন্তু, তৈরি হয়ে যাওয়ার পরেও ‘ধূমকেতু’ সুখের মুখ দেখেনি। কেন না, তার মুক্তির পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘জুলফিকর’। প্রথমে ঠিক ছিল এই ২০১৬ সালের পুজোতেই প্রেক্ষাগৃহের মুখ দেখবে ‘ধূমকেতু’। ‘জুলফিকর’-এর সঙ্গে টক্করের কথা ভেবেই ছবির মুক্তি পিছিয়ে দেওয়া হয়।
সম্প্রতি নিজের ফেসবুক পেজ-এ ‘ধূমকেতু’র একটি ছবি পোস্ট করেছেন দেব। সেখানে তাঁকে দেখা যাচ্ছে বরফের মধ্যে স্রেফ একটা স্যান্ডো গেঞ্জি গায়ে। হাতে একটা রাইফেল। চোখে-মুখে যুদ্ধ জয়ের হাসি! সঙ্গে লিখেছেন নায়ক- ‘’শেষ পর্যন্ত আমার প্রথম প্রযোজনা ধূমকেতু মুক্তি পাচ্ছে। এই বছরের খ্রিস্টমাসে। আশা করি আমি কতটা উত্তেজিত, তা আপনাদের বোঝাতে পেরেছি।‘’
একদমই তাই! নায়ক যে কতটা উত্তেজিত এবং আনন্দিত, তা তাঁর অভিব্যক্তিই বলে দিচ্ছে! হোক না তা ছবির একটি মুহূর্ত! বোঝাই যাচ্ছে, তিনি এখন কেবল দিন গুনছেন। বড়দিন কবে আসবে- ভাবছেন সে কথাই!
একই কথা ভাবছেন দেবের ভক্তরাও! তবে এই অপেক্ষার পালা খুব বেশি দিনের জন্য তো নয়। বড়দিন আসতে আর কতই বা দেরি! তাও যদি অপেক্ষাটা খুব দীর্ঘ মনে হয়- তবে চোখ রাখুন ছবিগুলোয়। আপাতত, এই ছবিগুলো দিয়েই চলুক ‘ধূমকেতু’ দেখার পালা! সঙ্গে রইল একটা ভিডিও!
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.