সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনেক কষ্ট করে ওই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন। আবার যদি সেইখানেই যেতে হয়, ভয় তো লাগবেই। প্রত্যহ এভাবেই দিন কাটে দীপিকা পাড়ুকোনের। যখন তিনি নিজের ডিপ্রেশনের কথা বলেছিলেন, তখন নিজেকে জাহির করার জন্য বা সাহসী প্রমাণ করার জন্য বলেননি। শুধু নিজের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছিলেন মাত্র।
একটি অনুষ্ঠানে দীপিকা জানিয়েছেন, সৎ থাকার জন্য তাঁর গোটা বিষয়টি বিশ্বকে জানানো দরকার ছিল। চার বছর আগে তাঁর সঙ্গে যা হয়েছিল, তা শেয়ার করে তিনি নিজেকে সাহসী প্রমাণ করতে চাননি। বিদ্রোহীও হতে চাননি। দীপিকা জানান, তিনি যে ক্রমশ ডিপ্রেশনে চলে যাচ্ছেন, তা তাঁর মা প্রথম বুঝতে পারেন। প্রাথমিক পর্যায়ে তিনিই দীপিকাকে চিকিৎসকের কাছে পাঠান। সেই সময় তিনি বুঝতেই পারেননি কী হচ্ছে। কোনও কাজে তাঁর মন বসত না। কিচ্ছু করতে ইচ্ছা করত না। সেখান থেকেই তাঁর মা বুঝতে পারেন মেয়ে হতাশায় ভুগছে। তাঁর ডাক্তার দেখানো দরকার।
[ অনন্য সম্মান শ্রীদেবীকে, সুইজারল্যান্ডে বসবে প্রয়াত অভিনেত্রীর মূর্তি ]
দীপিকা এও বলেন, সবাই খুব সহজে কোনও মানুষকে বিচার করে ফেলে। কারও সম্পর্কে কিছু ধারণা করা বা কিছু বলা খুব সহজ। কিন্তু সবার জীবনে একটা গল্প থাকে। যদি সেই গল্পটি সম্পর্কে জানা যায়, তাহলে আশপাশের মানুষের সম্পর্কে ধারণাই বদলে যায়। দীপিকা যখন হতাশায় ভোগেন, মনে হয় পেটের মধ্যে গিট বাঁধা আছে। সঙ্গে সঙ্গে বুঝে যান নিজের দিকে এবার মনোযোগ দিতে হবে। ভাবনা চিন্তাকে সংযত করতে হবে। আর এর সবথেকে ভাল উপায়, জোরে জোরে শ্বাস নেওয়া আর ঘুম।
সম্প্রতি দীপিকা ও রণবীরের বিয়ে নিয়ে জোর চর্চা চলছে। স্বাভাবিকভাবে যখন তাঁকে কোনও অনুষ্ঠানে পাওয়া গিয়েছে, সাংবাদিকরা ছাড়বে কেন? ফলে এই নিয়েও প্রশ্ন করা হয়েছিল তাঁকে। এতে চটে যান দীপিকা। বলেন, এমন অনুষ্ঠানে এইসব প্রশ্ন করা একেবারেই উচিত নয়। তিনি উত্তর দেবেন না।
[ মারা গিয়েছেন সোনালি! বিজেপি বিধায়কের টুইটে ক্ষুব্ধ স্বামী গোল্ডি ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.