সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ট্রেলার মুক্তি পাওয়ার দিন থেকে বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না মধুর ভান্ডারকরের ‘ইন্দু সরকার’ সিনেমার। ১৯৭৫ সালে ইন্দিরা গান্ধীর জারি করা জরুরি অবস্থা এই ছবির প্রেক্ষাপট। নানা ধরনের প্রতিবাদ ও আইনি জটিলতা কাটিয়ে ২৮ জুলাই মুক্তি পায় এই ছবি। শুক্রবার এই ছবি মুক্তির সঙ্গে সঙ্গে ইন্দোরের বেশ কিছু হলে এই ছবির শো-কে ঘিরে সংঘর্ষ বাধে কংগ্রেস ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে। আর তার চোটেই বন্ধ করে দিতে হয় ‘ইন্দু সরকার’-এর শো।
[কোয়ান্টিকো মাতাতে নয়া সিজনে প্রিয়াঙ্কা কী করছেন জানেন?]
ছবির বিষয়বস্তু নিয়ে প্রথম দিন থেকেই প্রতিবাদ জানিয়েছে সেই সময় ক্ষমতায় থাকা শাসকদল তথা কংগ্রেস। ছবির বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্যে কাঁচি চালিয়েছে সেন্সর বোর্ড। শেষপর্যন্ত অবশ্য সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেয়েও যায় এই ছবি। রাজনৈতিক দলের ধরনায় বিভিন্ন জায়গায় বাতিল করতে হয়েছে ছবি নিয়ে পরিচালক-কলাকুশলীদের সাংবাদিক সম্মেলন। ছবি মুক্তি পেলে সিনেমা হল ভাঙচুরের আশঙ্কায় ইতিমধ্যেই নিরাপত্তা চেয়েছেন পুণের বেশ কিছু হলমালিক। বম্বে হাই কোর্টে এই ছবি মুক্তির রদ চেয়ে পিটিশন ফাইল করেছিলেন প্রিয়া পাল, যিনি নিজেকে সঞ্জয় গান্ধীর মেয়ে বলে দাবি করেন। কিন্তু হাই কোর্ট এই ছবিকে ছাড়পত্র দেওয়ায় এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। তারপর সুপ্রিম কোর্টও ছাড়পত্র দেয় ‘ইন্দু সরকার’কে। অবশেষে ২৮ জুলাই মুক্তি পায় সিনেমাটি, কিন্তু এখনও এই ছবিকে ঘিরে সমস্যা চলছে।
[টপলেস ছবিতে নেটদুনিয়ায় ঝড় তুললেন মণিকা ডোগরা]
মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের পাশারাশি মহারাষ্ট্রেরও থানে, নাসিক, জলগাঁও জেলার বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ জানায় কংগ্রেস কর্মীরা। অগত্যা পুলিশের শরণাপন্ন হল মালিকরা। পুলিশি পাহারায় চলছে ছবির শো। দুপক্ষের পার্টি কর্মীরাই স্লোগান দিতে থাকে ইন্দোরের একটি হলের সামনে। একদিকে কংগ্রেসের দাবি, এই ছবিতে জরুরি অবস্থা সম্পর্কে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে মানুষকে। অন্যদিকে বিজেপির দাবি, ছবির বিরোধীতা করে সাধারণ মানুষের বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে কংগ্রেস। সবমিলিয়ে মুক্তির প্রথম দিন থেকেই ‘ইন্দু সরকার’-কে ঘিরে উত্তাল হয়ে ওঠে মধ্যপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রর বেশ কিছু অংশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.