প্রিয়াঙ্কা চোপড়া-র মেট গালা লুক নিয়ে ট্রোলিং চলছেই। কেউ বলছে ‘রাক্ষসী’ তো কেউ বলছে ‘চুল নয় তো পাখির বাসা’। কী বলছেন মডেল আর ফ্যাশন ডিজাইনাররা? খোঁজ নিল কফিহাউস৷
রেচেল হোয়াইট (মডেল ও অভিনেত্রী): ইট ওয়াজ ভেরি ব্রেভ অফ প্রিয়াঙ্কা যে তিনি এ বছরের থিম মেনে সেজেছিলেন। মেট গালায় বরাবর অদ্ভুত সব থিম থাকে। এ বছরের থিম ছিল ‘ক্যাম্প: নোটস অন ফ্যাশন’। যার মানে উদ্ভট, আউটরেজিয়াস জামাকাপড়। প্রিয়াঙ্কা ঠিক সেটাই করেছেন। এত সিনিয়র অভিনেত্রী হয়ে ব্যাপারটাকে স্পোর্টিংলি নিয়েছেন। নিজেকে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ক্যারি করেছেন। সুযোগ পেলে এ রকম আউটফিট পরতে আমারও দারুণ লাগবে!
[ আরও পড়ুন: ‘দিশার সঙ্গে আমার নাম জড়ালে ভালই লাগে’, লাজুক মুখে বললেন টাইগার ]
ঋতাভরী চক্রবর্তী (অভিনেত্রী): মেট গালা বিষয়টা কী সেটাই অর্ধেক মানুষ জানে না। তারা জানে না কস্টিউম পার্টি বিষয়টাই বা কী। এ বছর আমাদের দেশ থেকে শুধু তিনজন মেট গালার রেড কার্পেটে হেঁটেছেন। ইশা অম্বানি, দীপিকা পাড়ুকোন এবং প্রিয়াঙ্কা। প্রিয়াঙ্কার লুকই কিন্তু সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে। প্রিয়াঙ্কা ভীষণ ডেয়ারিং। তিনি কি জানতেন না তাঁর পোশাক নিয়ে ট্রোলিং হবে? নিশ্চয়ই জানতেন। কিন্তু পরোয়া করেননি। আমি প্রিয়াঙ্কার জন্য খুব গর্বিত। একবার এক অনুষ্ঠানে প্রিয়াঙ্কা আমাকে বলেছিলেন, “রোটি উইল রোটেট, পোটাটোজ উইল পোটেট অ্যান্ড হেটার্স উইল হেট, দ্যাটস ইট।” যদি আমি কখনও মেট গালায় আমন্ত্রণ পাই, দু’বার ভাবব না। উদ্ভট পোশাকে গটগট করে কার্পেটে হেঁটে যাব।
অভিষেক দত্ত (ডিজাইনার): মেট গালা জিনিসটা কী, ভারতের জনসাধারণের পক্ষে বোঝা কঠিন। এটা ‘আভান্ট গার্ড’ ফ্যাশনের অনুষ্ঠান, যেখানে ক্রিয়েটিভিটি বেশি গুরুত্ব পায়। এটা অস্কার বা ফিল্মফেয়ার রেড কার্পেটের চেয়ে আলাদা। এ বছর মেট গালায় প্রিয়াঙ্কা যে আউটফিট পরেছেন, সেটা দারুণ। তাঁর কপালের টিপে একটা ভারতীয় ছোঁয়াও রয়েছে। চার বছর আগে এরকম একটা ‘লুক’ আমিও করেছিলাম। প্রিয়াঙ্কার আউটফিট এতটাই নজরকাড়া যে, দীপিকা পাড়ুকোনের ‘সেফ’ লুক একদম চাপা পড়ে গিয়েছে। প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে এ দেশে যতই ট্রোলিং হোক, আন্তর্জাতিক ফ্যাশন মঞ্চে কিন্তু তাঁর মেট গালা লুক টপ টেন তালিকায় রয়েছে।
[আরও পড়ুন: ফাউন্টেন পেন থেকে টয়লেট সোপের বিজ্ঞাপন, সর্বত্র ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]
নীল (ডিজাইনার): প্রিয়াঙ্কার বোল্ড ফ্যাশন চয়েসের প্রশংসা করব। ও যে ঝুঁকি নিতে ভালবাসে, সেটা ওর ফ্যাশন স্টেটমেন্ট থেকেই পরিষ্কার। এ রকম একটা থিম মেনে সাজতে গেলে প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাস লাগে। কনফিডেন্স লাগে নিজেকে সারা বিশ্বের মাইক্রোস্কোপের নীচে ফেলে দিতে, বাকিরা কে কী ভাবল সে সব নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে। এটা একটা ‘স্টেট অফ মাইন্ড’, একটা অদ্ভুত অনুভূতি, যেটা সহজে বোঝানো যায় না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.