Advertisement
Advertisement

Breaking News

‘উরি’-তে কীভাবে ভিভান সিং শেরগিল হয়ে উঠলেন ভিকি?

শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন অভিনেতা৷

Vicky Kaushal talks about 'Uri'
Published by: Sayani Sen
  • Posted:January 16, 2019 5:08 pm
  • Updated:January 16, 2019 5:08 pm  

‘সঞ্জু’-র সাফল্যের পর ‘উরি’। বছরের প্রথম হিটের নায়ক ভিকি কৌশলর মুখোমুখি অহনা ভট্টাচার্য

‘উরি’-র সাফল্য দেখে কেমন লাগছে?
আমি সত্যিই ভাবিনি দর্শক এত ভালবাসবেন ছবিটাকে! বক্স অফিস কালেকশন দেখেও আমি বেশ অবাক এবং খুশি। শুনেছি হলে ছবিটা দেখে মানুষ হাততালি দিচ্ছেন। এটাই তো সেরা স্বীকৃতি! আমরা চেয়েছিলাম ছবিটা দেখে যেন মানুষ ইন্ডিয়ান আর্মির জন্যে গর্ববোধ করেন। কারণ ওঁরা গর্ব করার মতো কাজই করেছেন।

Advertisement

‘উরি’-র শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
আজ পর্যন্ত যত ছবিতে কাজ করেছি তার মধ্যে ‘উরি’-র শুটিং সবচেয়ে ক্লান্তিকর ছিল। শুট শুরু হওয়ার আগে ছ-সাত মাস ধরে প্রস্তুতি নিতে হয়েছে, যা আজ পর্যন্ত কোনও ছবির জন্য করিনি। তার পর টানা আড়াই মাস শুটিং, যার মধ্যে ৩৫ দিন অ্যাকশন দৃশ্যের ওপর কাজ, যেটা বেশ পরিশ্রমের। আমার শরীরে যত ঘাম-রক্ত ছিল, সব এই ছবিতে ঢেলে দিয়েছি।

[শহরের বুক থেকে হারিয়ে যাচ্ছে এই চেনা শব্দগুলো]

ছবিটা করার আগে জওয়ানদের সঙ্গে দেখা করেছেন?
বেশ কয়েকবার। আর্মি ট্রেনিংও নিতে হয়েছে। সেই সময় কয়েকজন আমাকে মজা করে বলেছিলেন যে আপনি খুব ভাল একটা কাজ করেছেন। ‘রাজি’-তে পাকিস্তানি আর্মি অফিসার সেজে ওখান থেকে জরুরি ইনফর্মেশন জোগাড় করে এপারে এসে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করছেন!

ওঁদের সঙ্গে কথা বলে কেমন লাগল?
স্পেশ্যাল ফোর্সের জওয়ানদের অভিজ্ঞতা শুনে গায়ে কাঁটা দিত। ওঁদের ট্রেনিং, প্রবেশন পিরিয়ড বা কোনও মিশনের গল্প শুনতে শুনতে এতটাই ডুবে যেতাম যে সময়ের হিসেব থাকত না। ওঁদের সঙ্গে কথা বলে বুঝেছি, আমরা তো এমনি এমনিই লাইমলাইটে থাকি। ওঁরাই আসল হিরো!

[‘বাস্তব নিয়ে রানির কোনও ধারণাই নেই’, বললেন ক্ষুদ্ধ রেচেল]

একটা সময় বলিউডে পরপর দেশাত্মবোধক ছবি তৈরি হত। ‘উরি’-র মতো ছবির হাত ধরে সেই প্রবণতা কি আবার ফিরে আসছে?
আমি খুব চাই ট্রেন্ডটা ফিরে আসুক। এই গল্পগুলো বলা খুব জরুরি। জওয়ানদের সঙ্গে কথা বলে ওঁদের যে অভিজ্ঞতার কথা জেনেছি,সেগুলো দেশবাসীর কাছে পৌঁছনো দরকার। আমার মতে, সেনার উপর আরও ছবি তৈরি হওয়া উচিত।

ইন্ডাস্ট্রিতে আপনি এই মুহূর্তে সবচেয়ে ‘ইন ডিমান্ড’ অভিনেতা। কেমন লাগে?
(হেসে) এই তকমার ধারেকাছেও পৌঁছতে পারিনি এখনও। আমি তো সবে শুরু করেছি। আমাকে ‘আপকামিং’ বা ‘উঠতি’ বললেই বোধহয় ঠিক বলা হবে। শুধু সততার সঙ্গে নিজের সবটুকু দিয়ে কাজ করার চেষ্টা করি।

[‘সুচিত্রাদির সঙ্গে সম্পর্ক খুব স্পেশ্যাল’, লেখিকার জন্মদিনে নস্ট্যালজিক ঋতুপর্ণা]

গত বছর ‘রাজি’, ‘সঞ্জু’ আর ‘মনমর্জিয়া’-তিনটে ছবিতেই নজর কেড়েছেন। এ ছাড়াও নেটফ্লিক্সে ‘লাস্ট স্টোরিজ’ আর ‘লাভ পার স্কোয়ার ফুট’। এরপরেও বলবেন আপনি উঠতি?
আমি শুধু এটুকুই বলতে পারি যে কাজের দিক দিয়ে ২০১৮ আমার ভাল কেটেছে। ঈশ্বরের কাছে আর যাঁরা আমাকে কাজের সুযোগ দিয়েছেন, তাঁদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আর দর্শকদের ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাকে এত ভালবাসা দেওয়ার জন্যে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement