Advertisement
Advertisement

‘মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি শেষ করে দিয়েছেন রহমান’, ফের বিতর্কিত মন্তব্য অভিজিতের

শ্লীলতাহানির অভিযোগ নিয়েও মুখ খুললেন গায়ক।

Singer Abhijit feces controversy again
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:January 28, 2019 8:02 pm
  • Updated:January 28, 2019 8:02 pm  

তিনি বিতর্কিত বললে কিছুই বলা হয় না। আজ এসআরকের সঙ্গে বিবাদে তো কাল #MeToo মামলায়। এরই মধ্যে এতবছর ধরে বয়ে চলেছেন মুম্বই ইন্ডাস্ট্রিতে। সেই অভিজিতের ইন্টারভিউ করতে গেলেন শ্যামশ্রী সাহা

ফ্লাইটের টাইম ছিল সাড়ে তিনটে। ডিলেইড। এল সাড়ে পাঁচটায়। ব্ল্যাক শার্ট, ব্ল্যাক জিনস আর বেস কোট। বাইরে বেরোতেই ঘিরে ধরল ফ্যানরা “দাদা একটা সেলফি”। হাসিমুখে সবার সঙ্গে সেলফি তুলে পাজেরোতে উঠলেন অভিজিৎ ভট্টাচার্য। রেকর্ডার অন…

Advertisement

অভিজিৎ: তুমি আমার ইন্টারভিউ নেবেই? (হাসি) তোমার প্রশ্ন সব লেখা আছে তো?

না, গল্প করব আপনার সঙ্গে। তাই কোনও প্রশ্নের লিস্ট নেই। তবে আপনি যদি চান, একটা ছোট ইন্টারভিউ হতেই পারে। প্রথম প্রশ্নটা আপনিই করুন।

অভিজিৎ: মানে?

আপনি যদি নিজেকে কোনও প্রশ্ন করতে চান, তাহলে প্রথম প্রশ্ন কী হবে?

অভিজিৎ: (হাসতে হাসতে) ম্যায় অ্যায়সা কিউঁ হু?

উত্তরটা দিন।

অভিজিৎ: আমি সিচুয়েশনের সঙ্গে চলি। আর কোনও সিচুয়েশনের অ্যাডভানটেজ নিই না। আমি খুব ইনস্ট্যান্ট রিঅ্যাক্ট করি। আমি জেনুইন জিনিসকে সাপোর্ট করি। লোকেরা যেটাকে আমার মাইনাস পয়েন্ট ভাবে আমি সেটাকেই আমার প্লাস পয়েন্ট ভাবি। আমি খুব স্বার্থপর। আমি শুনেছি গরিবদের জন্য করলে ভগবান অনেক দেবে। আমি তাই করি। ভগবানও আমাকে অনেক রিটার্ন দেয়। আমি স্পষ্টবাদী। কিন্তু এখন আমার মনে হচ্ছে আমি ওই সবে যাব না।

ওইসব মানে?

অভিজিৎ: ওই এত স্পষ্টবাদী আর থাকব না। এখন আমি চুপ করে থাকব।

অনেকেই বলেন চুপ করে থাকা মানেই হিপোক্রেসি।

অভিজিৎ: হিপোক্রিট না। চুপ থাকব। এখন দেশের একটা ক্রুশিয়াল সময়। ইলেকশনের সময়। এখন আমি কোনও কথা বলব না।

কেন? আপনি ইলেকশনে দাঁড়াচ্ছেন?

অভিজিৎ: সরাসরি না। তবে বাংলায় কিছু করতে চাই। পলিটিক্যালি না। কালচারালি বাংলার সঙ্গে যুক্ত থাকতে চাই।

আপনাকে ঘিরে এত কনট্রোভার্সি তার কী হবে? তাহলে অভিজিৎ এখন ‘দ্য বস’ থেকে ‘ইয়েস বস’?

অভিজিৎ: অভিজিৎ যা বলবে সেটাই কন্ট্রোভার্সি। আমি জন্ম থেকেই বস। আমি ডিফারেন্ট ক্যারেক্টার। আমি যেখানে পেইংগেস্ট থাকব, তারা আমাকে পে করবে।

মুম্বইয়ের মতো কলকাতায় দুর্গাপুজো করবেন?

অভিজিৎ: দেখো, কলকাতায় দিদি ( মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) আসার পর দুর্গাপুজো অনেক বেড়ে গেছে। অন্য স্টেটে কিন্তু রিলিজিয়াস ফেস্টিভ্যালগুলো কমে যাচ্ছে। মুম্বইতে ডান্ডিয়া জিরো হয়ে গেছে। সেখানে দুর্গাপুজো বেড়ে চলেছে। এখন দুর্গাপুজো ইন্টারন্যাশনাল ইভেন্ট। আর এটা হয়েছে দু’জনের জন্য।

করণের সঙ্গে বন্ধুত্বের ফল হতে পারে মারাত্মক! কেন জানেন? ]

একজন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর একজন?

অভিজিৎ: অভিজিৎ। নন-বেঙ্গলি এরিয়াতে দেশের সবচেয়ে বড় দুর্গাপুজো আমি করি। তুমি বিশ্বাস করো মুম্বইতে পুজো করতে গিয়ে আমাকে কত বাধা দেওয়া হয়েছে।

কীরকম?

অভিজিৎ: তেইশ বছর আমি মুম্বইতে দুর্গাপুজো করছি। শুরুতে আমাকে অনেক প্রবলেম ফেস করতে হয়েছে। গভর্নমেন্টের সাপোর্ট নেই। কোর্ট অর্ডার দিয়েছে দশটার মধ্যে সব (মাইক) বন্ধ করে দিতে হবে। এর মধ্যেও আমার পুজো সবথেকে বড়। কলকাতায় এসব তো নেই। এখানে সরকারই তো সাপোর্ট করছে। তাই এখানে মনের মতো করে উৎসব করা যায়। আমার এখন একটাই স্বপ্ন।

কী?

অভিজিৎ: যদি বাংলায় দিদি আমায় সুযোগ দেন, তাহলে এখানে একটা ইভেন্ট করব।

একটা ইভেন্ট করতে পারেন। মুম্বইয়ে দুর্গাপুজোর মতো কলকাতায় জগদ্ধাত্রী পুজো।

অভিজিৎ: হ্যাঁ। হতে পারে ভাল সাজেশন। (চুপ কাউকে বোল না)। আমার এখন প্রায়োরিটি বেঙ্গল। আমাকে যদি কেউ প্রোগ্রামের জন্য ডাকেন, তো আমি সব ছেড়ে আগে কলকাতায় আসি। আমি বাংলার সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করতে চাই। যদি ক্রিকেটের ব্যাপারে সৌরভ গাঙ্গুলি থাকে, কেকেআর যদি শাহরুখের হয়, তাহলে আমার কাছেও এমন একটা জায়গা থাকুক যেটা নিয়ে আমি কাজ করতে পারব। ‘বিশ্ব বাংলা’-র মতো ক্ষেত্রে আমি কাজ করতে চাই। একটা ঘটনার কথা বলি, এটা আমি কখনও ভুলতে পারব না। তিনবছর আগে সুন্দরবনে গিয়েছিলাম। ওখানে দিদির (মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) একটা সভা ছিল। আমি দূরে একটা লাউঞ্জে বসেছিলাম। দিদি জানতে পারেন আমি ওখানে আছি। হঠাৎ দিদি মাইক্রোফোনে আমাকে ডাকলেন, স্টেজে ওঁর পাশে বসিয়ে একটা ডেট অ্যানাউন্স করে সবাইকে জানালেন ওইদিন নজরুল মঞ্চে অভিজিতকে সম্মান জানানো হবে। আমাকে নিয়ে তখন অনেক কন্ট্রোভার্সি চলছিল। কিন্তু এটা দিদির কাছ ম্যাটার করেনি। আমি ওখানে বসে আছি এই ছোট্ট ঘটনাও দিদির নজর এড়ায়নি।

আপনি দিদিকে ভালবাসেন, শাহরুখ খানও বেঙ্গল অ্যাম্বাসাডর। দিদির খুব কাছের। আপনাদের মধ্যে সম্পর্কের তিক্ততা দিদি জানেন? এটা ঠিক করে নেওয়ার কথা কখনও বলেছেন?

অভিজিৎ: না। এটা প্রফেশনাল ব্যাপার। আমি জানি আমার প্রফেশনাল ব্যাপারে দিদি কিছু বলবেন না। এই নিয়ে কোনও দিনও কোনও কথা হয়নি।

আইপিএল-এর উদ্বোধনে শাহরুখ খান যদি আপনাকে গান গাইতে ডাকেন, আপনি যাবেন?

অভিজিৎ: আমি যাব। আমার তো না যাওয়ার কোনও কারণ নেই। এটা আমার প্রফেশন। আমি শাহরুখকে অনেক ওপরে নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু এখন তো ও ‘জিরো’। এখন জিরো থেকে ওকে যদি আবার স্টার্ট করতে হয়, ও আমাকে ডাকবে। আমার কোনও ইগো প্রবলেম নেই। ওকে ইগো ছাড়তে হবে। আমি নিজের জন্য লড়ি না, সবার জন্য লড়ি। জানো, আজ মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে একজনও এস্ট্যাবলিশড মিউজিশিয়ান নেই।

কেন?

অভিজিৎ: এর জন্য দায়ী এ আর রহমান।

আপনি তো রহমানের সঙ্গে কাজ করেছেন।

অভিজিৎ: হ্যাঁ করেছি। রহমান প্রথম ইন্ট্রোডিউস করল যে এখন রেকর্ডিংয়ের জন্য মিউজিশিয়ান, বড় স্টুডিওর দরকার নেই। কম্পিউটারে প্রোগ্রামিং করে মিউজিক করো। যারা গাইতে জানে না তাদের অটো-টিউনার দিয়ে টিউন করো। এটা ক্রিয়েট করা? না ধ্বংস করা? রহমান কিছু ক্রিয়েট করেনি। এখন তো সিঙ্গার বলে কিছু নেই, মিউজিশিয়ানও নেই। আমরা মাইকে গান করেছি, সেখানে লাইভ মিউজিক বেজেছে। লাইভ রেকর্ডিং হয়েছে। এখন তো সেটা হয় না। কোনও জানোয়ারের আওয়াজকেও, (কুকুর বললাম না) অন্য একটা সফটওয়্যার থেকে ফিল্টার করে সেটাকে ডিজাইন করে একটা দারুণ ভয়েস বানানো হচ্ছে। এটা তো যে কেউ করতে পারে। এভাবে কোনও জন্তুও প্লে-ব্যাক করতে পারবে। এখানেই তফাৎ আর ডি বর্মন আর এ আর রহমানের। রহমানকে মানুষ ভুলে যাবে। কিন্তু যত দিন যাবে আর ডি বর্মনকে মানুষ নতুন করে পাবে।

ছেচল্লিশেও আবেদনময়ী লিজা, ফাঁস করলেন গোপন কথা ]

তার মানে এখন যে গান হচ্ছে আপনার পছন্দ নয়?

অভিজিৎ: এখন যারা মিউজিক করছে তারা রহমানের থেকে আরও এক কাঠি ওপরে। এরা কোনওদিন মিউজিক শেখেনি। এরা শুধু টেকনোলজি জানে। ওয়েস্টার্ন মিউজিককে ফলো করতে গিয়ে ওদের ছাড়িয়ে চলে যাচ্ছে। ভাত আর ইলিশ মাছকে ব্রেডের মধ্যে দিয়ে বার্গার বানিয়ে খাচ্ছে।

কথা বলতে বলতে চলে এলাম গেটওয়ে হোটেলে। রুমে ঢুকে ছবি তুলতে তুলতে অর্ডার করলেন কফি।

আপনি বলেছিলেন গান নিয়ে কোনও কথা হবে না। কিন্তু এই টপিকটা ছাড়তে পারছি না। আপনার কথা যদি মানতে হয়, তাহলে বলতে হবে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি শেষ হয়ে  গেছে?

অভিজিৎ: একদম। নতুন কী হচ্ছে? রহমান শিখিয়ে গেছে বটন টিপতে, এরা তাই করছে। যাদের দিয়ে কোনও মিউজিক ডিরেক্টর লাইফে গাওয়াবে না, তারা নিজেরাই মিউজিক ডিরেক্টর হয়ে যাচ্ছে, নিজেরাই গান গাইছে। হিমেশকে দিয়ে কোনও মিউজিক ডিরেক্টর গাওয়াবে? ইন্ডাস্ট্রিতে অভিজিৎ, সোনু, উদিত আর হবে না। এখন প্রীতম কোথায়? ওর লাস্ট হিট ‘বত্তমিজ দিল’। তারপর হি ইজ আউট। এখন রিয়্যালিটি শো দেখলে দুঃখ হয়।

আপনি তো রিয়্যালিটি শোয়ের জাজ ছিলেন।

অভিজিৎ: আমি যে শোয়ের জাজ ছিলাম, সেটা রিয়্যালিটি শো-ই ছিল। সেখানে জাজরা স্যালারি নিয়ে নাটক করত না। এখন রিয়্যালিটি শোয়ে সব সাজানো থাকে আর জাজদের বলা হয় আপনারা শুধু বাহ বাহ করবেন। একটা রিয়্যালিটি শোয়ে কোনও প্রতিযোগী আমার গান গেয়েছিল আর ফারহা খান বলেছিল ‘বেটার দ্যান অরিজিনাল।’ ওই কমেন্ট শুনে জগজিৎ সিং বলেছিলেন, “এক ডান্সার কো মিউজিক শো মে জাজ বনা দিয়া। মেরে পাস ভি অফার হ্যায়, কে ডান্স কে শো মে ম্যায় জাজ বনুঙ্গা।”

হিন্দি ছবিতে সুফি গানের একটা আলাদা জায়গা আছে।

অভিজিৎ: (থামিয়ে দিয়ে) সুফি বলে কিছু হয় না। ওটা ভিখিরিদের গান। সুফি যে গাইছে সেও জানে না সুফি কাকে বলে। গানে চারটে আলাপ আর মৌলা বললেই সুফি হয় না।

অনেকদিন আপনি প্লে-ব্যাক করছেন না। খারাপ লাগে নিশ্চয়ই?

অভিজিৎ: এখন তো মিউজিক, মিউজিক ডিরেক্টর বলে কিছু নেই। আমি যে গান গাইব সেইরকম গান তো হচ্ছে না। ফিল্মে এখন গান জবরদস্তি ঢোকানো হচ্ছে। গানের একটা খারাপ কোয়ালিটি হয়, আর একটা ভাল কোয়ালিটি হয়। এখন চলছে নো কোয়ালিটি। এখন মিউজিক স্টুডিও বলে কিছু নেই। প্রত্যেকটা বাথরুম এখন স্টুডিও।  

এই যে এখন খুব শোনা যাচ্ছে একটা নাম রণধাওয়া। এরা কী প্রাণী? এরা কী করছে বোঝা যাচ্ছে না। এদের কোনও জাত নেই। আপনার জীবনে আবেগ, দুঃখ, ভালবাসা, হতাশা কতটা?

অভিজিৎ: আমার আর পাওয়ার কিছু নেই।

(অনেকক্ষণ চুপ থেকে)। আমি ধীরে ধীরে ম্যাচিওর্ড হয়েছি। আগের অভিজিৎ আর এখনকার অভিজিতের অনেক তফাত। যখন আমি স্ট্রাগল শুরু করি তখন আমার পাশে একজনের থাকার দরকার ছিল। কিন্তু আমি কাউকে পাইনি। আমার বাবা মারা গেলেন আমার ফ্রাস্ট্রেশনে। আমি একা হয়ে গেলাম। বাবাকে নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন ছিল। বাবাকে ফ্লাইটে চড়াব, গাড়িতে বসাব। কিছুই করতে পারলাম না। এখন এসব ভাবলে চোখ থেকে জল পড়ে। এমন সময় গেছে আমি নিজে খেতে পাইনি। যখন আমি নতুন, আর ডি বর্মনের স্টুডিওতে রেকর্ডিং হচ্ছে, আমি না খেয়ে বসে আছি। আমার সামনে দিয়ে ভাল ভাল খাবার স্টুডিওয় যাচ্ছে। ভিতরে সবাই খাচ্ছে। আমি শুধু সুন্দর গন্ধ পাচ্ছি। আমি কিছুই ভুলিনি। যখন এইসব মনে পড়ে…(চুপ)

এখন তো বন্ধু আছে?

অভিজিৎ: খুব কম। মাঝে মাঝে আমি সোনু (নিগম) আড্ডা দিই। তখন আমরা অন্য জগতের। সেই আড্ডায় শুধু পরনিন্দা আর পরচর্চা হয়। কোনও গানের আলোচনা হয় না।

কী বলছেন? পিএনপিসি?

অভিজিৎ: আরে মেন আর দ্য বিগেস্ট বিচেস (হাসি)। ছেলেরা যত বিচিং করে মেয়েরা করে না।

আপনাকে ঘিরে এত বিতর্ক কখনও টুইটারে কখনও সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে। এইসব ঘটনায় আপনার হোম মিনিস্টারকে কীভাবে সামলান?

অভিজিৎ: শোনো, আমি এক নম্বর ‘জরু কা গুলাম।’ ও জানে দু’বার চোখ দেখিয়ে দিলে অভিজিতের অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে। এইসব বিতর্ক ওকে টাচ করে না। এখন আমার বউ শুধু জানতে চায় কত টাকা আনলাম। ও এখন শুধু টাকা গোনে।

‘সবচেয়ে কঠিন ছিল ওঁর মতো বক্তৃতা দেওয়া’, ঠাকরে সম্পর্কে মুখ খুললেন নওয়াজ ]

বাড়িতে বাঙালি রান্না হয়?

অভিজিৎ: একবার আমার বউ লাউ চিংড়ি বানিয়েছিল। গলদা চিংড়ি আর লাউয়ের স্যুপ। কিন্তু আমি ভুলব না আমার পাঞ্জাবি বউ আমাকে লাউ চিংড়ি রান্না করে খাইয়েছিল। আমি বললাম দারুণ হয়েছে। কিন্তু একে লাউচিংড়ি না বলে নতুন একটা নাম দিয়ে দাও। নাহলে কেউ বুঝবে না।

#MeToo-র থেকে এখন দূরে আছেন তো? এই প্ল্যাটফর্মকে কী বলবেন?

অভিজিৎ: ওরা তো সব মারা গেছে। এগুলো সব প্ল্যান করা। দু’দিন আগে অনু মালিককে দিওয়ালি উইশ করে পরদিন #MeToo দিয়ে দিল। এরা সব ড্রাগ-অ্যাডিক্ট, আঁতেল। এরা ম্যান-ইটার। কোনও ডিবেটে ওই মহিলারা আসুক।

কথা শেষ করতেই ফোন বেজে উঠল। বউয়ের ফোন। হাসতে হাসতে বলছিলেন “আরে আমার ইন্টারভিউয়ে তোমার লাউ-চিংড়ির কথা বললাম, শুনে সবাই খেতে চাইছে। বাড়িতে আসতে বলব?”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement