Advertisement
Advertisement
ক্লিভেজ

ব্লাউজ থেকে উঁকি মারা বিভাজিকা, পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ফাটল কি না!

"কালিদাসের তরুণীরা সর্বদা স্তনভারে নত...।"

Renowned writer Ranjan Banerjee pens the cleavage column
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:May 23, 2019 10:25 pm
  • Updated:May 23, 2019 10:25 pm  

রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়: সারা বিশ্বজুড়ে ক্লিভেজিটেরিয়ান পুরুষদের আমি একজন। বিভাজিকার বিমোহন থেকে সন্ন্যাসীও চোখ ফেরাতে পারে কি না সন্দেহ। সত্যি কথা বলতে, পূর্ণ প্রকাশিত যুবতী-স্তনের আবেদনের থেকে অনেক বেশি টান বিভাজিকা বা ক্লিভেজের প্রতিশ্রুতি, সংকেত এবং আভাসে। কিন্তু সম্পূর্ণ উন্মোচিত স্তনের কোনও লুকনো নিশানা নেই। নেই কোনও ইঙ্গিতবাহী অভিজ্ঞান। সবটাই দেখা হয়ে গেল। তাই আর কোনও প্রতীকী ডাক রইল না। কিন্তু অনেকদূর পর্যন্ত গলাকাটা ব্লাউজ বা পোশাক দৃশ্যমান করে দু’টি স্তনের মধ্যবর্তী স্বর্গ, যেটিকে খাঁজ বলতে চায় না মন। দু’টি স্তন যেন গভীর বুকের কোনও এক শুভলগ্নে মন কষাকষি করে দু’দিকে চলে গেল। আর রেখে গেল পুরুষের জন্য সেই স্তনসংকট ও বিভাজনের আশ্চর্য আলো ও সেক্স অ্যাপিল।

[আরও পড়ুন:  অসমকন্যার হাতের ছোঁয়ায় তৈরি গাউনে মুগ্ধ কানের রেড কার্পেট]

Advertisement

বিভাজিকাই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ফাটল, সব থেকে মনোহর চিড়। কালিদাসে এই চিড়ের বর্ণনা নেই। কালিদাসের তরুণীরা সর্বদা স্তনভারে নত। অজন্তা-ইলোরা থেকে প্রাচীন ভারতের মন্দির-নারীরা, সবাই অকপটে উন্মোচিত করেছে পূর্ণ স্তনের মায়া। কারণ, প্রাচীন ভারত জানত না বিভাজিকা-সংস্কৃতি। ক্লিভেজ-কালচার পশ্চিম পৃথিবীর। ইউরোপের মেয়েরা বুকখোলা জামা পরতে কোনওকালেই লজ্জা পেয়েছে বলে মনে হয় না। তবে ‘করসেট’ বা আঁটসাঁট অন্তর্বাস টেনে নামিয়ে দিত স্তনসন্ধির প্রকাশ। বুক দু’টির মধ্যবর্তী ফাটলটি বোঝা যেত না।  বৈষ্ণবপদাবলী তো উপচে পড়ছে রাধার বুকের বর্ণনায়। বৃন্তবর্ণনে তুলনাহীন জয়দেব। কিন্তু ক্লিভেজের কবি নন তিনি।

[আরও পড়ুন:  প্রিয়াঙ্কা-দীপিকার ফ্যাশন নিয়ে চর্চা, মেট গালার প্রবেশমূল্য কত জানেন?]

স্তন-সংস্কৃতির নব জাগরণ ঘটেছে ক্লিভেজস্তুতি এবং বিভাজিকা-বিচ্ছুরণে। দু’টি স্তনের মধ্যবর্তী চিড় বা ফাটলটি জিতে গেল একটিই কারণে। যে-কুচযুগ হয়েছে গলিত সেই কুচযুগও অন্তর্বাসের অবদানে রচনা করতে পারে স্তন দু’টির মধ্যবর্তী এমন কপট অথচ প্রসাদময় বিবাদভূমি, এমন চর্চিত চিড় যে মনে মনে ভাবতেই হয়, আহা, না জানি আরও একটু ভিতরে কী রত্ন-ই না শোভা পাচ্ছে। স্তন মধ্যবর্তী চিড় বা খাঁজ তা-ই সব সময়েই বহন করছে ‘কসমিক’ ইশারা। বাস্তব যাই হোক না কেন! হয়তো বা কপট-ক্লিভেজের শেষে অপেক্ষমাণ একটি দীর্ঘশ্বাস ও হতাশা। তবু বিভাজিকার ডাক নিশিডাকের মতোই! বিশেষ করে সে ডাক নিয়তির ন্যায় অমোঘ, যুবতী যখন টু-পিস সাঁতার-পোশাকে বা বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতায় নিজেকে মেলে দেয়। বিভাজিকার খাদ ছাড়া সম্ভব নয় নারীর উত্তপ্ত উপত্যকা

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement