Advertisement
Advertisement

‘বাস্তব নিয়ে রানির কোনও ধারণাই নেই’, বললেন ক্ষুদ্ধ রেচেল

কেন এমন কথা বললেন রেচেল হোয়াইট?

Rani Mukerji slammed for #MeToo comment
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:January 7, 2019 5:42 pm
  • Updated:January 7, 2019 5:42 pm  

যৌন হেনস্তা এড়ানোর দায়িত্ব নাকি একা মেয়েদের! সিএনএন নিউজ ১৮ চ্যানেলের রাউন্ড টেবলে রানি মুখোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যে স্তম্ভিত গোটা দেশ। তিনি বলেছিলেন, “তুমি জীবনে কী চাও, তার উপরই নির্ভর করে তোমার সঙ্গে জীবনে যা কিছু হচ্ছে। মেয়েদেরই নিজেদের রক্ষা করতে শিখতে হবে। মার্শাল আর্টস শিখতে পারে মেয়েরা। নিজের দায়িত্ব তো নিজেকেই নিতে হবে। সন্তানকে কীভাবে বড় করবেন, সেই পরামর্শ কোনও মাকেই দেওয়া যায় না।” রানির সেই বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে লিখছেন ক্ষুব্ধ রেচেল হোয়াইট

রাজীব মসন্দের ‘রাউন্ড টেবল’ ইন্টারভিউতে রানি মুখোপাধ্যায় যা বলেছেন, অবিশ্বাস্য। রানি আমার খুব প্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন। আমার বেডরুমে রানির পোস্টার থাকত। কিন্তু নিজের আইডলের মুখে এই কথাগুলো শুনে আর ওঁকে আইডল মানতে পারছি না।

Advertisement

আমি নিজে #MeToo নিয়ে কথা বলেছি। নিজের অভিজ্ঞতার কথা খোলাখুলি শেয়ার করেছি। আমি নিজে ভিকটিম বলে রানির কথাগুলো আরও খারাপ লেগেছে। মনে হয়েছে, খুব সিরিয়াস একটা ব্যাপারকে উনি খুব খেলো করে ফেললেন।

মার্শাল আর্টসের কথাটা সবচেয়ে আনফরচুনেট। একজন মেয়ে যত শক্তিশালী হোক না কেন, যত রকম সেলফ-ডিফেন্স জানুক না কেন, এ রকম পরিস্থিতিতে ভায়োলেন্স তার শেষ অস্ত্র হওয়া উচিত। প্রথম প্রতিক্রিয়া কখনওই নয়। প্রথম এবং সবচেয়ে বুদ্ধিমানের উপায় হল ওই পরিস্থিতি থেকে যতটা সম্ভব শান্তভাবে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করা। ভায়োলেন্স ব্যবহার করলে তো আমার নিজের নিরাপত্তা নিয়েও আশঙ্কা তৈরি হবে। এমনও হতে পারে, ছেলেটা আমার চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। গায়ের জোরে আমি তার সঙ্গে পেরে উঠব না।

হাতে অল্পদিনের ছুটি? শহরের অদূরে এই ৮ জায়গা হতে পারে আপনার গন্তব্য  ]

তা ছাড়া সব সময় #MeToo মানেই শারীরিক জোর বা ধর্ষণ, তা নয়। একজন পুরুষ যদি কুপ্রস্তাব দেয়, তার উত্তরে কি সবাই পারবে তাকে ঘুসি মারতে? এ ধরনের পরিস্থিতিতে কিন্তু সবার মাথা ঠিক থাকে না। বেশিরভাগ মেয়ে প্রথমেই ফ্রিজ করে যায়। তখন কিক-বক্সিং এক্সপার্ট হলেও লাভ হয় না। আর ধরুন সাজিদ খানের মাপের কেউ আমাকে হ্যারাস করছে। আমার সাহস হবে তার গায়ে হাত তোলার? তার কত রকম রেপারকাশন হতে পারে ইন্ডাস্ট্রিতে, রানি বোধহয় জানেন না। মেয়েটা হয়তো আর কোনও দিন কাজই পেল না। জানি না নিজের নতুন কোনও ফিল্ম প্রোমোট করার জন্য রানি এ রকম ইনসেনসিটিভ মন্তব্য করেছেন কি না। অনেকে এটাও বলছে, রানি এতটাই প্রিভিলেজ্‌ড দুনিয়ার বাসিন্দা যে বাস্তব নিয়ে তাঁর কোনও ধারণাই নেই। হতে পারে ফিল্মি পরিবারে মানুষ বলে এ রকম পরিস্থিতির সামনে রানিকে পড়তে হয়নি। তাই বলে কি তিনি কিছুই জানেন না? এত সিনিয়র অ্যাক্টর রানি। বলিউডের বাস্তব সম্পর্কে তাঁর একটা ধারণা তো থাকবে! কোথায় নিজের অবস্থানকে কাজে লাগিয়ে আক্রান্তদের সাহায্য করবেন, তা নয়, ইমপ্র‌্যাক্টিক্যাল আর হাস্যকর সব পরামর্শ বিলি করছেন।

রানির কথার মানে দাঁড়ায়, আমার কাছে বন্দুক আছে তো যা-ই হোক না কেন, প্রথমেই আমি বন্দুকটা চালিয়ে দেব। তাতে কি কোনও লাভ হবে? রানি নিজে মেয়ের মা। আশা করব মেয়ে আদিরাকে কখনও এই পরামর্শ দেবেন না!

শীতের দিনে ঘন ঘন পার্টি? বাড়ি ফিরে ত্বকের যত্ন নিন এভাবে ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement