Advertisement
Advertisement

ঠাকুর দেখতে গিয়ে প্যান্ডেলে সতর্ক থাকুন, বাড়িতেও এভাবে কাটাতে পারেন সময়

ঠাকুর দেখতে গিয়ে এগুলি মেনে চলুন।

Keep away from crowded place, stay safe this Durga Puja
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:October 5, 2019 12:04 pm
  • Updated:October 5, 2019 12:04 pm  

পুজো মানেই ঠাকুর দেখা। কিন্তু অনেকে আবার ভিড় 
ঠেলে ঠাকুর দেখতে পছন্দ করে না একেবারেই। পুজোর ক’টা দিন নিজের মতো করে কাটায়। তাঁদের জন্য রইল টিপস। আর ভিড়ের মধ্যে ঠাকুর দেখতে চান? তাহলেও সতর্ক থাকুন।

ভিড়ে ঠাকুর দেখতে চাইলে কী করবেন?

Advertisement

সেলফি জোন

সেলফি ছাড়া পুজো কমপ্লিট হয় নাকি? আর ভাল সেলফি তুলতে গেলে ভাল ব্যাকগ্রাউন্ডও চাই। এমনিতে সব বড় প্যান্ডেলে নির্দিষ্ট জায়গা রাখা হচ্ছে সেলফি তোলার জন্য। পিছনে প্লাস্টিক চেয়ার বা রোলের দোকান না রাখতে চাইলে সেলফি তুলুন সেলফি জোনেই।

ট্রেন থেকে নেমে দূরের প্যান্ডেল আগে দেখুন

শহরের আশপাশ থেকে যাঁরা কলকাতায় ঠাকুর দেখতে আসছেন, এই গাইড তাঁদের জন্য। শেয়ালদা, হাওড়া বা কলকাতা স্টেশনে নেমে স্টেশন থেকে সবচেয়ে দূরের প্যান্ডেলগুলো আগে দেখে নিন। তাহলে ফেরার ট্রেন ধরার জন্য আলাদা সময় রাখতে হবে না।

পার্কিং থেকে প্যান্ডেলের দূরত্ব আগেভাগে জেনে নিন

প্যান্ডেল হপিং এমন একটা জিনিস, গাড়ি থাকলে যাতে সুবিধে কম, অসুবিধে বেশি। গাড়ি পার্ক করে, তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে প্যান্ডেলে আসা মানে অনেকটা বাড়তি হাঁটা। বিশেষ করে সঙ্গে যদি সিনিয়র সিটিজেন থাকেন। তাই গাড়ি নিয়ে বেরনোর আগে জেনে নিন, যে সব প্যান্ডেলে যাবেন তার থেকে পার্কিং জোন কত দূরে। সেই মতো প্ল্যান করুন।

durga-puja

ব্যাগে রাখুন

ব্যান্ড-এড মাস্ট। হজমের ওষুধ, জ্বর আর মাথাব্যথার ট্যাবলেট সঙ্গে রাখাটাও দরকার। রাখুন ওয়েট ওয়াইপস, ভেসলিন, ছোট জলের বোতল আর অবশ্যই ছাতা। না হলে হঠাৎ বৃষ্টিতে পুজোর সাজ জলে যাবে।

মোবাইল ম্যানার্স

পুজো মানে মোবাইল গ্যালারি ভরানোর সেরা সুযোগ, ঠিক। তাই বলে এমনভাবে ছবি তুলবেন না যাতে বাকিদের পুজোর মজা মাটি হয়। প্রতিমার সামনে দাঁড়িয়ে নানা অঙ্গভঙ্গি করে একগাদা ছবি তোলা একদম নয়। বা বান্ধবীর ভাল ছবি তুলতে গিয়ে এর-ওর গায়ে উঠে পড়া। ফাঁকা জায়গা দেখে ফোটোসেশন করুন।

মানিব্যাগ পেছনের পকেটে নয়

বান্ধবীর কাঁধে হাত রেখে আনমনে ঘুরছেন, হঠাৎ খেয়াল করলেন প্যান্টের পকেটটা হালকা লাগছে। আবিষ্কার করলেন পুজোর খরচের সব টাকা কেয়ার অফ পকেটমার। এমন দুর্ঘটনা এড়াতে মানিব্যাগটা সামনের পকেটে রাখুন। মাঝে মাঝে চেক করে নিন, জায়গার জিনিস জায়গায় আছে তো?

কাছাকাছি রেস্তোরাঁ খোঁজার অ্যাপ

‘নিয়ারবাই’, ‘ডাইনআউট’, ‘জোম্যাটো গোল্ড’ ইত্যাদি নানা অ্যাপ আছে যা এক ক্লিকে জানিয়ে দেবে কাছাকাছি কোন কোন রেস্তোরাঁ আছে। শুধু তাই নয়, কোন রেস্তোরাঁয় কী অফার চলছে, তার সন্ধানও পেয়ে যাবেন।

ভিড়ে এড়াতে চাইলে এভাবে দিন কাটাতে পারেন

সুইগি-জোম্যাটো-উবার ইটস যেন থাকে মোবাইলে

বাড়ি থেকে বেরোতে এমনিতেই ইচ্ছে করছে না। পেটের দায়ে কোনওমতে বেরোলেও রেস্তোরাঁর লম্বা লাইনে দাঁড়ানোর নো চান্স। সুতরাং এই ক’টা দিন ফুড ডেলিভারি অ্যাপই ভরসা। সুইগি-জোম্যাটোর অ্যাকাউন্ট আপডেট করে রাখুন। আর বাড়ির আরামেই করুন পেট পুজো।

পছন্দসই বইয়ের শর্টলিস্ট

‘সংবাদ প্রতিদিন’ শারদীয়া সংখ্যা তো আছেই। স্বাদ বদলাতে চাইলে হাতের কাছে রাখুন আরও তিন-চারটে বই। হালকাফুলকা নয়, ভারী বই। যাতে পুজোর ক’টা দিন সে আপনাকে টানা সঙ্গ দিতে পারে। পুজো মানে নস্ট্যালজিয়া, তাই নতুন করে পড়তে পারেন ছোটবেলার বইগুলো। ‘চাঁদের পাহাড়’, ‘ফেলুদা’, ‘প্রফেসর শঙ্কু’… ছোটবেলার গন্ধ মাখা পাতায় হোক না পুজোর উৎসব।

বাড়িতে পার্টি

পুজোয় সেলিব্রেশনের সেরা ডেস্টিনেশন কিন্তু এটাই। রেস্তোরাঁর ভিড়ের বদলে ঘরোয়া পরিবেশ আর কাঙ্ক্ষিত মানুষের সান্নিধ্য। পছন্দের তরল, যখন খুশি খাওয়াদাওয়া আর বিরামহীন আড্ডা- অনেকের কাছে এটাই পুজোর ডেফিনেশন।

PARTY

৩৬০ ডিগ্রি পুজো

‘দ্য পূজা অ্যাপ ডট কম’ (thepujaapp.com) সাইটে যান। ভিআর লেখা লোগোয় ক্লিক করুন। মোবাইল স্ক্রিনে দেখে নিন পছন্দের পুজো প্যান্ডেল। ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে। অ্যাপের স্রষ্টা দুই বাঙালি অর্পণ চট্টোপাধ্যায় আর সৌম্য মুখোপাধ্যায়। কোনও অ্যাপ ইনস্টলও করতে হবে না। ব্রাউজারে ‘পূজা অ্যাপ’ লিখে সার্চ করলেই হবে। শহরের তিরিশটা বড় বড় পুজো ভার্চুয়াল রিয়্যালিটির সৌজন্যে দেখে নিতে পারবেন বাড়িতে বসেই।

বুক মাই শো-তে দেখুন কোথায় কী?

এ বছর চারটে বাংলা ছবি রিলিজ করেছে পুজোয়। সঙ্গে বলিউড ব্লকবাস্টার ‘ওয়ার’। বাড়িতে একঘেয়ে লাগলে কাছাকাছি কোনও মাল্টিপ্লেক্সে গিয়ে দেখে আসতে পারেন ‘গুমনামী’ বা ‘ব্যোমকেশ’, ‘মিতিন মাসি’ বা ‘পাসওয়ার্ড’। আপনি তো প্যান্ডেল হপিং করছেন না, সুতরাং এই চারটে দিনই ফ্রি। সুযোগ-সুবিধে মতো সিনেমাগুলো দেখে আসুন।

জাস্ট স্ট্রিম ইট

‘বার্ড অফ ব্লাড’-এ ইমরান হাশমির মারপিট। ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’-এ মনোজ বাজপেয়ীর দুঁদে অভিনয়। এ ছাড়াও একগুচ্ছ হিন্দি-বাংলা-ইংরেজি-স্প্যানিশ-জার্মান ফিল্ম আর ওয়েব সিরিজ। সারা বছর অফিসের ঘষটানিতে যে সিরিজগুলো দেখা হয়নি, দেখে ফেলার সেরা সুযোগ পুজোয়।

পছন্দের গানের প্লে-লিস্ট

বাড়িতে সারেগামা-র ‘কারভান’ থাকলে তাতে চার্জ দিয়ে রাখুন। পুজোর সন্ধেয় আবছা ঘর, হাতে সিঙ্গল মল্ট আর কানে রাহুল দেববর্মন- রসিক বুঝবেন এই ত্রিকোণের আকর্ষণ। সকালের দিকটা বাজুক পুজোর বাংলা গান।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement