ছবি: প্রতীকী
পুজোর আগে শরীরকে মেজাজে আনতে নিন ডিটক্স ম্যাসাজ। খোঁজ দিচ্ছেন ঐন্দ্রিলা বসু সিংহ।
টক্সিন, যার মানে বিষ, কারণে অকারণে শরীরে জমাট বাঁধে মাঝেমধ্যেই। শরীরও বিষমুক্ত হওয়ার চেষ্টা না করে আলিস্যি দেয় বিলকুল। ডিটক্সিং-এর কাজ হল সেই বিষ শরীর থেকে টেনে বের করে দেওয়া।
বিউটি অ্যাপের খুঁত ঢাকা ফিল্টারে পড়লে যেমন সেলফির মুখগুলোর চোখের কালি মুছে রূপ খুলে যায়, ডিটক্সিংও তেমনি শরীরের সমস্ত গ্লানি সরিয়ে দিয়ে ফুরফুরে আর চাঙ্গা করে তোলে। পুজোর আগে ক্লান্তি ঝেড়ে ফেলতে তাই করাতেই পারেন ডিটক্স ম্যাসাজ।
কীভাবে ডিটক্সিং?
মর্নিং ওয়াক, যোগ ব্যায়াম কিংবা অন্যান্য শারীরিক কসরত তো আছেই। তার সঙ্গে ডায়েট চার্ট মেনে খাওয়াদাওয়া, নিয়ম করে ডিটক্স পানীয়, ধূম এবং (মদ্য)পানকে বিদায় জানানো, এমনকী মেডিক্যাল ট্রিটমেন্টেও হতে পারে ডিটক্স। তবে এ সবের বাইরেও ডিটক্সিংয়ের আরেকটি উপায় আছে। যার জন্য শরীরকে ব্যস্ত করার প্রয়োজন নেই। স্রেফ দেহখানি তুলে ম্যাসাজ বোর্ডে ফেলতে পারলেই হল। তার পর পেশাদার আঙুলের আঘাত শরীরের নানা অংশে প্রেশার তৈরি করে টেনে বের করে আনবে ভাল থাকার ভিলেন টক্সিন বা বিষকে। শরীরকে টক্সিন মুক্ত করার সেই আরামদায়ক প্রক্রিয়াই হল ডিটক্স ম্যাসাজ।
[ ‘দশ বছরের সম্পর্ক কিন্তু বিয়ে নিয়ে কিছু বলব না’ ]
ডিটক্স ম্যাসাজ
আমাদের শরীরটা যদি হয় জলে ভেজা স্পঞ্জ আর স্পঞ্জের ভিতরের জল যদি হয় টক্সিন, তা হলে ভাবুন তো স্পঞ্জে চাপ দিলে কী হবে? ডিটক্স ম্যাসাজ সেই কাজটাই করে। চাপ দিয়ে শরীরের ভিতর থেকে টেনে বের করে আনে টক্সিন।
এমনিতে নিজস্ব সিস্টেমেই দেহের লিম্ফ্যাটিক ড্রেনেজ সিস্টেম শরীরের সমস্ত বিষাক্ত পদার্থকে সরিয়ে ফেলে। কিন্তু লিম্ফ্যাটিক ড্রেনেজ মন্থর গতিতে চলতে শুরু করলেই বাধে যত গন্ডগোল।
রক্ত চলাচলের মতোই জরুরি লিম্ফ্যাটিক ফ্লুইড চলাচল। কিন্তু রক্ত পাম্প করার জন্য যেমন হার্ট রয়েছে, লিম্ফ্যাটিক ড্রেনেজ সিস্টেমকে জারি রাখার তেমন কোনও পদ্ধতি নেই। তাই সেই প্রক্রিয়া ব্যাহত হলে উদ্যোগী হতে হয় বাইরে থেকেই। ব্যায়াম করে, ঘাম ঝরিয়ে, শরীরকে নির্বিষ করতে হয়। ডিটক্স ম্যাসাজ সে দিক দিয়ে কম পরিশ্রমের। আবার উপযোগীও।
ডিটক্স বনাম অন্য ম্যাসাজ
ট্র্যাডিশনাল ম্যাসাজ যা সাধারণত সুইডিশ ম্যাসাজেরই রকমফের, তা লিম্ফ্যাটিক ড্রেনেজ সিস্টেমের উপর বিশেষ প্রভাব ফেলে না। ডিটক্স ম্যাসাজ সেই না করা কাজটিই করে দেয়। শরীরের লিম্ফ্যাটিক নোডগুলির উপর হালকা চাপ তৈরি করে সেগুলোকে উজ্জীবিত করে। আর শরীরকে বিষমুক্ত করার যে স্বাভাবিক পদ্ধতি, তাকে সচল রাখে।
গোড়ার কথা
১৯৩০ সালে এই ম্যাসাজের আবিষ্কার। আবিষ্কার করে কয়েকজন ম্যাসাজ থেরাপিস্ট, চিকিৎসক ডেভিড গডার্ড, পেশাদার লিম্ফ্যাটিক ড্রেনেজ ম্যাসাজ স্পেশ্যালিস্ট এবং পেশাদার চিকিৎসা দলের একটি টিম। শরীরকে টক্সিনমুক্ত করতে বডি ম্যাসাজ যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে, সে বিষয়ে সন্দেহমুক্ত হন তাঁরা। সেই সঙ্গে ডিটক্স বডি ম্যাসাজকে জোরালো এবং গভীরে পরিষ্কার করার চিকিৎসা বলেও ব্যাখ্যা করেন তাঁরা।
[ ৩৩ দিনে হয়ে উঠুন সুন্দরী, রইল দরকারি টিপস ]
সুবিধা
ম্যাসাজ নেওয়ার আগে
কোন কোন ক্ষেত্রে ডিটক্স ম্যাসাজ নেওয়া যাবে না?
ডিটক্স ম্যাসাজের পর যদি মাথা যন্ত্রণা করে বা প্রচণ্ড ক্লান্ত লাগে, ঘাবড়ানোর কিছু নেই। ম্যাসাজের পর প্রচুর জল খাওয়া জরুরি। শরীর থেকে টক্সিন বেরোতে শুরু করলে আপনা থেকেই এ ধরনের সমস্যা মিটে যাবে।
কোথায় করাবেন
[ ‘নতুন করে দেবী চৌধুরাণীকে দর্শকমনে প্রতিষ্ঠা করতে চাই’ ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.