সৌজন্যে ‘আমি বাঙালি’-র নববর্ষ স্পেশ্যাল মেনু। খোঁজ দিলেন প্রীতিকা দত্ত।
সামনেই ১৪২৬। বাঙালির নতুন বছর। জিভে জল আনা বাঙালি খাবার খেতে হলে আসতেই হবে ‘আমি বাঙালি’-র যে কোনও আউটলেটে। ঠাকুরবাড়ির পোলাও, তোপসে ভাজা, গাছ-পাঁঠার মালাইকারি, ভেটকি ভাপা, ডাব চিংড়ি। এবং শেষ পাতে অবশ্যই নবদ্বীপের মিষ্টি দই। কী নেই!
পুরানো সেই দিনের কথা
সে যুগ এখন অতীত যখন বাড়িতে অতিথি এলেই প্লেটে পড়ত রাধাবল্লভী-আলুর দম। দুর্গাপুজোর চারটে দিন বা জামাইষষ্ঠীতে ব্যতিক্রম হিসেবে বাঙালির প্রিয় কষা মাংস বা মোচা-লাউ চিংড়িরা ঠাঁই পেত সাধারণের মেনুতে। এখন বছরভরই ভোজের পাতে বাঙালিয়ানায় জোর দিচ্ছেন অনেকে, জানালেন ‘আমি বাঙালি’ রেস্তোরাঁর মালিক অর্ঘ্য সাহা।
[আরও পড়ুন: শেষপাতে স্বাদবদল, মেনুতে থাক অন্যরকম আচার-চাটনি]
পকেট ফ্রেন্ডলি বাঙালি পদ
আজকাল অফিসে বসে অর্ডার দিলেও মিলছে বাসমতী চালের ঝুরঝুরে সাদা ভাত, নারকেল মটরশুঁটি দিয়ে ভাজা মুগ ডাল, বেগুন ভাজা, আলুপোস্ত, ধোকার ডালনা, বোনলেস ভেটকি ভাপা। সৌজন্যে ‘আমি বাঙালি’। গোটা কলকাতায় রেস্তোরাঁর মোট ন’টা আউটলেট। যার ইউএসপি পকেট ফ্রেন্ডলি পদ। স্বাস্থ্যকরও বটে।
পয়লা বৈশাখ স্পেশ্যাল মেনু
নতুন বছরের প্রথম দিন বাঙালি রসনার স্পেশ্যাল কিছু চাই-ই চাই। সেই ইচ্ছের কথা মাথায় রেখে পয়লা বৈশাখ স্পেশ্যাল মেনু নিয়ে হাজির ‘আমি বাঙালি’। ইলিশ বৈশাখী বলুন বা কচি পাঁঠার ঝোল। সবই আছে নতুন মেনুতে। অর্ঘ্য সাহা বলেন, “ইংরেজি নববর্ষ নিয়ে আমাদের উন্মাদনার অন্ত নেই। তা হলে পয়লা বৈশাখ নিয়েই বা স্পেশ্যাল কিছু হবে না কেন? সে কথা মাথায় রেখে প্রতি বছর আমাদের নতুন পয়লা বৈশাখ স্পেশ্যাল মেনু করা হয়। ১৪ থেকে ১৬ এপ্রিল এই মেনু পাওয়া যাবে সব ক’টা আউটলেটে।”
ব্যস্ত সময়ের ‘ইজি’ সমাধান
খাদ্যরসিক বাঙালির পরিচিতি সারা বিশ্বে। খেয়ে এবং খাইয়ে বাঙালি অলওয়েজ হিট। তবে দুঃখ একটাই। হাতে সময় বড় কম। ব্যস্ত শিডিউলের সঙ্গে তাল মেলাতে এখন সবাই ভরসা রাখছেন ওই দু’মিনিটের ম্যাগির প্যাকেটে। ন’টা-পাঁচটার শিফট সামলে ইউটিউবে রেসিপির দেখে রান্নাঘরে ঢুকে কসরত করা বড্ড ‘টাফ’। মোবাইল ওঠান আর অর্ডার করুন। এসপ্ল্যানেড। সল্টলেক। বেহালা থেকে বারাসত। এমনকী শিয়ালদহ, নাগেরবাজার বা বাগুইআটি। সর্বত্র আছে ‘আমি বাঙালি’-র কাউন্টার। ফোন ঘোরালেই (৯০৩৮৩০০৩৩) খাবার হাজির আপনার দরজায়।
বাঙালি খাবার ব্যবসাতেও হিট
অর্ঘ্যবাবু বলছিলেন, “সে দিন এখন আর নেই, যখন বুদ্ধদেব বসু আক্ষেপ করে লিখেছেন, ‘বাঙালি রান্না হল অন্তঃপুরলক্ষ্মী! কিন্তু তা ব্যবসার হাটে অচল।’ আর সেই জন্যই কলকাতা ছেড়ে আমরা এখন বেঙ্গালুরু, দিল্লি, জোড়হাট এবং শিলচরে পা বাড়িয়েছি।” গত দেড় দশকের ইতিহাস ঘাঁটলে কলকাতার রেস্তোরাঁয় বাঙালি পদের জয়জয়কার তো আছেই, সেই সঙ্গে দেশ-বিদেশের শহরেও সর্ষে-পাঁচফোড়নের খাঁটি বাঙালি ঝাঁঝ একটা আলাদা মাত্রা পাচ্ছে। এ কথা উল্লেখ করেই অর্ঘ্য সাহা কফিহাউস-কে জানালেন, বহুজাতিক বাঙালির স্বাদপূরণে খুব তাড়াতাড়ি টরন্টো পাড়ি দেবে ‘আমি বাঙালি’।
আউটডোরে ‘আমি বাঙালি’
বাড়ির খুদের বার্থডে পার্টি বা অ্যানিভার্সারি সেলিব্রেশন। যে কোনও মেনুতে রাখতে পারেন বাংলার ঝাঁজ। কারণ, এখন আউটডোর কেটারিং সার্ভিস নিয়ে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যাচ্ছে ‘আমি বাঙালি’, ২০১৪ থেকে যার যাত্রা শুরু। ২০১৯-এও এই ‘আমি বাঙালি’ চলছে রমরমিয়ে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.