Advertisement
Advertisement
উত্তম কুমার

তাঁকে পেলে উত্তম হত…

শিবপ্রসাদ থেকে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, কোন ছবির কোন চরিত্রে কাস্ট করতেন উত্তম কুমার বেঁচে থাকলে?

A tribute to legendary actor Uttam Kumar on his 39th death anniversary
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:July 24, 2019 11:48 am
  • Updated:August 2, 2019 8:01 pm  

আজ ২৪ জুলাই উত্তম কুমারের মহাপ্রয়াণ দিবস। পার হল ৩৯টি বছর। আজও বাংলা ছবির পরিচালকেরা পর্দায় তাঁকে খোঁজেন। কোন কোন চরিত্রে? চমকে দেওয়া উত্তর দিলেন কফিহাউস-এ

শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় : ‘অটোগ্রাফ’-এর প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়

Advertisement

আজ ৩৯ বছর পেরিয়ে গেল উনি নেই। এত ছবি হয়েছে এর মধ্যে। তাও আমি শুধু একটাই চরিত্রে ওঁকে দেখতে চাই। ‘অটোগ্রাফ’-এর প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের চরিত্রটিতে। আরে, “আই অ্যাম অরুণ চ্যাটার্জি… আই অ্যাম দ্য ইন্ডাস্ট্রি” ডায়ালগটা উত্তমবাবু বলছেন, এর চেয়ে বড় পাওনা কী হতে পারে বাঙালি দর্শকের কাছে?

[আরও পড়ুন: কে সেই ‘সাত নম্বর সনাতন সান্যাল’? খোঁজ করে বেড়াচ্ছেন কৌশিক]

গৌতম ঘোষ : ‘এক যে ছিল রাজা’-র যিশু সেনগুপ্ত

উত্তমকুমার অভিনীত প্রত্যেকটি চরিত্র আমার কাছে শ্রেষ্ঠ। ওঁর মৃত্যুর পর এমন অনেক ছবি দেখেছি, যা দেখে মনে হয়েছে উত্তমকুমার যদি এই চরিত্রে অভিনয় করতেন, চরিত্রের সামগ্রিকভাবে ব্যক্তিত্ব বাড়ত। সম্প্রতি সৃজিতের (মুখোপাধ্যায়) ‘এক যে ছিল রাজা’ দেখলাম। দেখেই মনে হল এ ছবিতে সত্যিই যদি উত্তমবাবু অভিনয় করতেন, কেমন হত?

কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় : ‘সিনেমাওয়ালা’-র পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়

বড্ড কঠিন কাজ। এত বড় মাপের একজন সুপারস্টার। ১৯৮০ থেকে ২০১৯ সাল, প্রায় চার দশকের মতো একটা সময়কাল। হ্যাঁ, পরাণদা অসম্ভব ভাল করেছিলেন, কিন্তু তাঁকে যদি সমীকরণের বাইরে রেখে কথা বলতে হয়, তাহলে আমার মনে হয় ‘সিনেমাওয়ালা’-তে পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোলটা উত্তমবাবু অসম্ভব ভাল করতেন। ওই ‘যদুবংশ’ বা ‘অগ্নীশ্বর’-এর পরিণত উত্তমবাবুকে আমরা পেতাম। আর যদি খুব কম বয়স, মানে ১৯ কী ২০ বছরের উত্তমকুমারকে ধরি, তাহলে তাঁকে আমি ‘নগরকীর্তন’-এর পুঁটি, মানে ঋদ্ধির চরিত্রে দেখতে পাই। ওই অল্প বয়সের উত্তমকুমারের গড়নে ও চলনে একটা অদ্ভুত নমনীয়তা ছিল, যা অনবদ্য একটা ‘পুঁটি’ সৃষ্টি করতে পারত।

[আরও পড়ুন: বাবরি মসজিদ ধ্বংসের কাহিনি নিয়ে তৈরি হচ্ছে আমিরের নয়া ছবি!]

অরিন্দম শীল: ‘মনের মানুষ’-এর প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়

অভিনেতা হিসেবে তিনি ‘সন্ন্যাসী রাজা’-তে নিজেকে সাংঘাতিকভাবে ভেঙেছিলেন। তার মানে ইচ্ছে করলেই তিনি সুপারস্টার তকমা ছেড়ে বেরিয়ে আসতে পারতেন। ঠিক এই কারণের জন্যই আমার খালি মনে হয় গৌতমদার (ঘোষ) ‘মনের মানুষ’-এ তিনি যদি লালন ফকিরের চরিত্রটা করতেন, সেটা একটা মাইলস্টোন হয়ে থাকত। উত্তমকুমার… ওই মেকআপ… লালনের গান… আহা!

অতনু ঘোষ: ‘সম্রাট ও সুন্দরী’-র উৎপল দত্ত

‘হারানো সুর’ থেকে শুরু করে পরবর্তীতে ‘নায়ক’ বা আরও পরে যখন ‘দুই পৃথিবী’ বা ‘অগ্নীশ্বর’ করেছেন, বিভিন্ন বয়সে ওঁর যে ইনফিনিট চার্ম সেটা তো সহজে পাওয়া যায় না। একজন পুরুষের মধ্যে এই রকম মাদকতা বিরল। স্বপ্ন দেখি আমার কোনও ছবিতে উত্তমকুমার আর সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় একসঙ্গে কাজ করছেন। কিন্তু এটা তো আর হওয়ার নয়। কিছু দিন আগে ‘সম্রাট ও সুন্দরী’ দেখতে দেখতে মনে হয়েছিল উৎপল দত্তর এই চরিত্রে উত্তমকুমার থাকলে বেশ হত। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement