সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রত্যেক ছবির দু’টো গল্প থাকে। একটি ক্যামেরার সামনের, অন্যটি পিছনের। দর্শক সিনেমাহলে বসে ক্যামেরার সামনের গল্প উপভোগ করে। আড়াই ঘণ্টা ধরে পরিচালক, অভিনেতা ও অন্য কলাকুশলীরা যে গল্প পর্দায় তুলে ধরেন, সেগুলোই দেখে। কিন্তু ক্যামেরার পিছনের গল্প জানে ক’জন? সিনেমা রিলিজের সঙ্গে সঙ্গে সেগুলি চাপা পড়ে যায়। কিন্তু ওই সিনেমার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত থাকেন, তাঁদের মনে ছাপ ফেলে যায় ‘বিহাইন্ড দ্য সিন’-এর গল্প। সেগুলোই এবার দর্শকদের সামনে তুলে ধরতে চলেছেন জোয়া আখতার।
পরিচালক জোয়া আখতার এবং চিত্রনাট্যকার-পরিচালক রিমা কাগতি একসঙ্গে একটি ওয়েব সিরিজ চালু করতে চলেছেন। এটি প্রযোজনা করছে তাঁদের প্রযোজনা সংস্থা টাইগার বেবি ফিল্ম প্রোডাকশন। সিরিজের নাম ‘অফ দ্য রেকর্ড’। সিরিজে তাঁদের বিভিন্ন ছবির ক্যামেরার পিছনের গল্প দেখানো হবে। থাকবে নানা অজানা গল্প। কোনও এক যুগান্তকারী শট, তা নেওয়ার আগে কীভাবে ক্যামেরা সাজিয়েছিলেন সিনেমাটোগ্রাফার, পরিচালক কী ভেবেছিলেন, সব থাকবে সেখানে? এমনকী কোনও চরিত্রের জন্য অভিনেতারা কীভাবে নিজেদের তৈরি করেছিলেন, তাও দেখানো হবে।
সিরিজের প্রথম যে এপিসোডটি মুক্তি পেয়েছে সেখানে দেখানো হয়েছে ফারহান আখতারের কথা। ‘জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা’ ছবিতে ইমরানের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ফারহান। ছবিতে একটি দৃশ্য ছিল যেখানে ছেড়ে যাওয়া বাবার সঙ্গে বহুদিন পর দেখা হবে ইমরানের। সেই সময় চরিত্রে ইমোশন আনতে গিয়ে বেশ নাকানি-চোবানি খেতে হয়েছিল ফারহানকে সেই কথাই শেয়ার করেছেন তিনি। ফারহান জানিয়েছেন, নাসিরুদ্দিন শাহের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করা সহজ ছিল না। ওই বিশেষ জায়গায় ইমরানের চরিত্রের ইমোশন ছিল গোটা ছবি থেকে একেবারে আলাদা। মুখে এমন একটি ভাব ফুটিয়ে তুলতে হত যা ছিল নার্ভাসনেস ও টেনশনের মিশেল। গোটা ছবিতে ইমরানের চরিত্রটি ছিল হাসিখুশি এক যুবকের, শুধু এখানেই ছিল আলাদা। তাই বিপরীতধর্মী দুই ইমোশন একই চরিত্রের মধযে ফুটিয়ে তোলা এবং দুইয়ের মধ্যে যোগসূত্র রাখা বেশ কঠিন একটি কাজ ছিল। সেই কথাই ভিডিওয় বলেছেন ফারহান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.