সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাজারো জল্পনা, ধোঁয়াশা সবকিছুকে ধূলিসাৎ করে দিয়ে গত ৬ ডিসেম্বর পদ্মাপারের প্রেমিকার সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন টলিউড পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। সমালোচকদের মুখে ছাই দিয়ে সেদিনের গোধূলি লগ্নে এক হয়েছিল চার হাত। এ মিলন শুধু হিন্দু-মুসলিমের মিলন নয়, বরং কাঁটাতারের উর্দ্ধে গিয়ে এ মিলন মনুষ্যত্বের। মানবতার নজির। সৃজিত-মিথিলার বিয়েটা ঠিক এই নজরেই দেখেন তসলিমা নাসরিন।
“গাহি সাম্যের গান… যেখানে আসিয়া এক হয়ে গিয়েছে সব বাঁধা ব্যবধান… যেখানে মিশেছে হিন্দু, বৌদ্ধ, মুসলিম খ্রিস্টান”- কাজি নজরুল ইসলামের সেই সাম্যবাদী কবিতার সুর টেনেই লেখিকা তসলিমা নাসরিন শুভেচ্ছা জানালেন নবদম্পতি সৃজিত-মিথিলাকে। তাঁদের বিয়ে শুধুমাত্র হিন্দু-মুসলিমের মিলন কিংবা দুই বাংলার মিলনই নয়। বরং সবরকম ধর্মান্ধতার উর্দ্ধে উঠে মানবতার মিলন, এমনই অভিমত লেখিকা তসলিমা নাসরিনের।
পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়কে তাঁর ছবির জন্য চিনলেও বাংলাদেশের সমাজকর্মী রফিয়াৎ মিথিলা সম্পর্কে কিছুই জানতেন না লেখিকা। কিন্তু তবুও, তাঁদের বিয়েতে উচ্ছ্বসিত তিনি। কারণ লেখিকার কাছে, এই বিয়ে তো যে সে বিয়ে নয়, মানবতার নজির গড়েছে এই তারকাদম্পতি। তসলিমার কথায়, “সৃজিতকে জানি তাঁর ছবি দেখে। মিথিলা সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। কাল ফেসবুকে দুজনের বিয়ের খবর পড়ার পর মিথিলা কে সে তথ্য গুগল করে পেয়েছি। ব্যাপারটা চমৎকার। এই প্রেমটা। সৃজিত মিথিলার প্রেম। হিন্দু মুসলমানের প্রেম। শুধু প্রেমই নয়, বিয়েও। পুব আর পশ্চিমের মিলন। এসব যত বেশি ঘটবে, তত উড়বে ধর্ম, ঘুচবে সংস্কার, ছিঁড়বে কাঁটাতার, মরবে বিদ্বেষ।”
৬ ডিসেম্বর গোধূলি লগ্নে দক্ষিণ কলকাতার এক ফ্ল্যাটে ‘গুমনামী’ ব্যাচেলর অনেক হৃদয় ভেঙে রেজিস্ট্রি সেরেছিলেন বাংলাদেশের অভিনেত্রী তথা বিআরএসি’র উচ্চপদস্থ আধিকারিক মিথিলার সঙ্গে। বিয়ের পরের দিনই সুইৎজারল্যান্ডে পাড়ি দিয়েছেন ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস মুখুজ্জ্যে’। কারণ? মধুচন্দ্রিমা তো বটেই, তার সঙ্গে জেনিভার এক বিশ্ববিদ্যালয়ে মিথিলা তাঁর দ্বিতীয় পিএইচডি’র জন্য আবেদন করবেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.