সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগে থেকে জানলে ছেলেকে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বীর মুখোমুখি হতে দিতেন না৷ রাজনীতির খাতায় নাম লেখাতে বারণ করতেন৷ পঞ্জাবের গুরদাসপুর অত্যন্ত কঠিন একটি আসন৷ সেখানের বিদায়ী সাংসদকে হারানো মুশকিল৷ সদ্য রাজনীতিতে পা রেখেই লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে তারকা সানি দেওলকে নিয়ে এমনই উদ্বেগ প্রকাশ করলেন বাবা ধর্মেন্দ্র৷
পরিবারে রাজনীতির আবহ৷ রূপোলি পর্দাকে বিদায় জানিয়ে পাকাপাকিভাবে রাজনীতিতে মন দিয়েছেন স্ত্রী হেমা মালিনী৷ সেখানে কেরিয়ার এগোচ্ছে বেশ মসৃণ গতিতেই৷ গতবারের বিদায়ী সাংসদ৷ এবারও ভোটে লড়ছেন উত্তরপ্রদেশের মথুরা কেন্দ্র থেকে৷ চেনা মাটি হলেও, লড়াই তো বটেই৷ তাই প্রচার কিছু কম করেননি ড্রিম গার্ল৷ গম ক্ষেতে নেমে চাষি বউদের সঙ্গ দেওয়া থেকে অভিনেতা স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে জনসংযোগ– বাদ যায়নি কিছুই৷ হেমার পথে হেঁটে এবার সেই রাজনীতির ময়দানে পা রেখেছেন সানি৷ বিজেপিতে যোগ দিয়েই পাঞ্জাবের গুরদাসপুরের প্রার্থী হয়েছেন তিনি৷ তারপর এতটুকুও সময় নষ্ট না করে নিজের হিরো ইমেজ কাজে লাগিয়ে নেমে পড়েছেন প্রচারে৷ উলটোদিকের প্রার্থী কংগ্রেসের বিদায়ী সাংসদ সুনীল জাখর, যিনি কি না বেশ গণ্যমান্য৷
গুরদাসপুর কেন্দ্রের অতীত বলছে, এটি মূলত কংগ্রেসের ঘাঁটি৷ ১৯৭৭ সালে জনতা পার্টি ছাড়া এই কেন্দ্রে কংগ্রেসকে হারিয়েছেন প্রয়াত অভিনেতা তথা রাজনীতিক বিনোদ খান্না৷ তাঁর প্রয়াণের পর উপনির্বাচনে ফের গুরদাসপুর দখল করে নেন কংগ্রেসের সুনীল জাখর৷ তাঁকে হারানোর লক্ষ্যে রাজনীতিতে নবাগত তারকা প্রার্থীকেই দাঁড় করিয়েছে গেরুয়া শিবির৷ পর্দায় দাপটের সঙ্গে পাকিস্তানকে শিক্ষা দেওয়া সানি নিজেই স্বীকার করেছেন, ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি কিংবা পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কিছুই জানেন না৷ যেমন বালাকোট বিষয়টি তাঁর অজ্ঞাত৷ তিনি শুধু মানুষের সেবা করতে রাজনীতিতে এসেছেন৷ তবে প্রচার করেছেন বেশ দাপটের সঙ্গেই৷ ছিল জনঢলও৷ যদিও সোমবারই প্রচার চলাকালীন গুরদাসপুরে হাইওয়েতে তাঁর গাড়ি দুর্ঘটনার মুখে পড়ে৷ তবে সানি সুরক্ষিতই আছে বলে খবর৷ তো এমন প্রচারের ছবি ইঙ্গিত দিচ্ছিল, হিরোর ইমেজেই গুরদাসপুরে সানি দেওলের পাল্লা বেশ কিছুটা ভারী৷
১৯ মে, শেষ দফায় গুরদাসপুরে ভোট৷ আর তার আগেই ছেলেকে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন ধর্মেন্দ্র৷ এক সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ৮৩ বছরের অভিনেতা জানিয়েছেন,‘বলরাম জাখর আমার ভাইয়ের মত ছিল৷ তাঁর ছেলে সুনীল যে গুরদাসপুর থেকেই লোকসভায় লড়ছে, তা আমি আগে থেকে জানলে সানিকে কিছুতেই প্রার্থী হতে দিতাম না৷ সানি কিছুতেই ওর সঙ্গে পেরে উঠবে না৷ ও রাজনীতিতে খুবই অভিজ্ঞ৷ আর জাখর পরিবারের সঙ্গে আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্পর্ক না, আমরা একে অন্যকে ভালবাসি৷’ ভোটের ঠিক আগে ধর্মেন্দ্রর এই সাক্ষাৎকার নিয়ে স্বভাবতই গুঞ্জন রাজনৈতিক মহলে, তোলপাড় পরিবারে৷ বাবা কেন ছেলেকে নিয়ে এমন নিরাশ? এই প্রশ্নও উঠছে৷ এসবের মাঝেই পঞ্জাবের মাটিতে নিজের প্রতাপ কতটা দেখাতে পারেন পর্দার কুলদীপ সিং চাঁদপুরী তথা সানি দেওল, সেটাই এখন দেখার৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.