সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সলমন খানের (Salman Khan) বাড়িতে হামলার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভুজ থেকে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, এই দুজন গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে গুলি চালানোর ঘটনায় যুক্ত। ধৃতদের নাম ভিকি গুপ্ত ও সাগর পাল। এদিকে এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরও একজনের নাম উঠে আসছে। বিশাল ওরফে কালু। কে এই ব্যক্তি?
সলমনের বাড়িতে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের এই শুটারই নাকি গুলি চালিয়েছিল। শোনা যায়, গুরুগ্রামের বাসিন্দা কালু। অল্প বয়সেই পড়াশোনা ছেড়ে দিনমজুরের কাজ করতে শুরু করে। ছোটখাটো চুরি-চামারি করেই কালুর অপরাধ জগতে হাতেখড়ি। ধীরে ধীরে তার প্রভাব বাড়তে থাকে। তোলাবাজি, মারধর, খুনের অভিযোগ উঠতে থাকে কালুর বিরুদ্ধে। পুলিশের হাতে একবারই ধরা পড়েছিল কালু। চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাকে। রাখা হয়েছিল তিহাড় জেলে।
রটনা, এই তিহাড় জেলেই (যেখানে এখন লরেন্স বিষ্ণোই বন্দি) বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সংস্পর্শে আসে কালু। বিষ্ণোই গ্যাংয়ের রোহিত গোদারার কাছের মানুষ হয়ে ওঠে সে। গুরুগ্রামের এক বুকির হত্যার পিছনেও নাকি কালুরই হাত রয়েছে। উল্লেখ্য, কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ উঠেছিল সলমনের বিরুদ্ধে। তারপর থেকেই সুপারস্টারকে নিজের শত্রু মনে করে লরেন্স বিষ্ণোই। একাধিকবার ভাইজানকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
এদিকে সলমনের বাড়িতে হামলার কিছুক্ষণ পরই সোশাল মিডিয়ায় অনমোল বিষ্ণোই (লরেন্সের ভাই) নামের একটি ফেসবুক প্রোফাইলের পোস্ট ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে হুমকি দিয়ে লেখা হয়, “এ তো শুধু ট্রেলার ছিল।” এই প্রোফাইলের আইপি অ্যাড্রেস ট্রেস করে নাকি কানাডার লোকেশন পাওয়া গিয়েছে। শোনা যাচ্ছে, বহুদিন ধরে পরিকল্পনা করেই সলমনের বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছিল। ঘটনার পরই সলমনের নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বাইরে বেরোলেও কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে থাকছেন ভাইজান। ঘটনার তদন্ত করছে মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.