Advertisement
Advertisement

Breaking News

Mithun Chakraborty

‘বিজেপি ক্ষমতায় এলে বাংলা ছ’মাসে বদলে যাবে’, একান্ত সাক্ষাৎকারে বললেন মিঠুন

বিজেপিতে যোগদানের পরই সংবাদ প্রতিদিন ফেসবুক লাইভে আরও কী কী বললেন মহাগুরু? দেখুন ভিডিও।

WB Assembly Election 2021: Exclusive Interview of Mithun Chakraborty after BJP joining | Sangbad Pratidin
Published by: Suparna Majumder
  • Posted:March 9, 2021 4:46 pm
  • Updated:March 17, 2021 5:48 pm  

রবিবার বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। সোমবার সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালের ফেসবুক লাইভে  গৌতম ভট্টাচার্যের মুখোমুখি হন ‘মহাগুরু’ মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। পূর্ব কলকাতার এক হোটেলের ঘরে বসে জানান মনের কথা।   

প্রশ্ন : আমি জলঢোড়া নই। বেলেবোড়াও নই। আমি কোবরা।
মিঠুন : আমি গোখরো। এক ছোবলে ছবি। তাই তো?
প্রশ্ন : এই সংলাপ বোধহয় এবারের নির্বাচনের সবচেয়ে আলোচিত আর আক্রমণাত্মক।
মিঠুন : বাট দিস ইজ নট ফিজিক‌্যাল অ‌্যাট অল। আমি বলতে চেয়েছি যাঁরা বাংলার রাজনীতিতে আছেন, তাঁদের এসময় খুব সতর্ক থাকতে হবে। বাংলা কিন্তু জেগে উঠেছে। এসময় হয় ঠিকঠাক কাজ করতে হবে বা পোস্টার হয়ে যেতে হবে।
প্রশ্ন : কথাটা তো স্প‌্যানিশ, জার্মান বা ফ্রেঞ্চে বলা হয়নি। বাংলায় একটাই মানে দাঁড়ায় – তুই আমার শত্রু। মারব। তারপর তুই ছবি।
মিঠুন : না, না শত্রুটত্রু নয়। দেখুন ভাই, আমি কম্প্রোমাইজ পলিটিক্স করি না। এ অমুকটা বললে খুশি হবে, ও তমুকটা বললে খুশি হবে এসব কখনও ভাবিনি। জীবনভর একটা স্বপ্নকে ধাওয়া করে এসেছি। এটাও তাই। আমি ফিজিক‌্যাল কোনও হুমকি কাউকে দিতে চাইনি। বাংলার মানুষ জেগে উঠেছে এটা তো সত্যি কথা।
প্রশ্ন : আপনাকে একবছর আগে দেখেছি খুব হতাশগ্রস্ত অবস্থায়। বলতেও শুনেছি যে পিঠে এত ছুরি খেয়েছি যে পিছনে আর জায়গা নেই। এখন বলি, মারতে হলে সামনে মার। সেই মুহ‌্যমান অবস্থা থেকে ব্রিগেডের মঞ্চে দৃপ্ত প্রত‌্যাবর্তন – চূড়ান্ত সিনেমাটিক নয় কি?
মিঠুন : ঠিক কথা। মারতে এলে বলেছি সামনে মার। জীবনে প্রচুর বিপদ এসেছে লোকের ভাল করতে গিয়ে। ঠিক আছে। মেনে নিয়েছি।
প্রশ্ন : আমি বলতে চাইছি সংসার থেকে সরে গিয়ে পুরোপুরি সন্ন‌্যাস নেওয়ার পর আবার ফিল্মের মতো ফিরে আসা।
মিঠুন : এর পিছনে অনেক গল্প রয়েছে। যা হোক, আমি যত দূরেই চলে যাই, রাজনৈতিক সচেতনতা থেকে কখনও সরে যাইনি। ভাই আমি জানি খিদেটা কী? মাথার ওপর ছাদ না থাকলে কী হয়? অপমান কাকে বলে? লাঞ্ছনা কাকে বলে? আঠারো বছর বয়েস থেকে আমি লড়াই করে এসেছি। তখন সকালে যখন বাড়ি থেকে বেরোতাম তিন বোন আর বাবা-মায়ের মুখ দেখে বেরোতাম। কেন জানেন? আমি শিয়োর ছিলাম না আর এঁদের কখনও দেখব কি না? আমি বরাবর একটা ‘কজ’ দেখে, একটা লেগাসির কথা ভেবে জীবন চালিয়েছি। নইলে পুরনো মুম্বই ইন্ডাস্ট্রিতে আমি সুপারস্টার হয়েও মজদুর ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট কেন হতে যাব?
প্রশ্ন : সব বোঝা গেল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে হঠাৎ কী ‘কজ’ তৈরি হল যে আপনাকে বনবাস ভেঙে আসতে হল?
মিঠুন : বনবাস শব্দটা কেন বলছেন?
প্রশ্ন : একরকম তাই তো। সন্ন‌্যাস তো বলাই যায়।
মিঠুন : জানেন তো কারণটা। সাউথ আফ্রিকায় শুটিংয়ের সময় আমি হেলিকপ্টার থেকে পড়ে গিয়েছিলাম। সে-ই যে পিঠের ব‌্যথা ভোগাতে শুরু করল, বেশ কয়েকবছর টানা সেটা চলেছে। তাছাড়া আমি ডিস্কো ডান্সার হতে পারি। কিন্তু ক’টা অনুষ্ঠানে আজ পর্যন্ত আমায় দেখেছেন? কোনও অ‌্যাওয়ার্ড শো-তে আমায় দেখেন? কোনও মিউজিক‌্যাল প্রোগ্রামে যেতে দেখেন? আমি বরাবরই এগুলো থেকে সরে।
প্রশ্ন : আপনি তো সেল ফোন রাখাও ছেড়ে দিয়েছেন। কেউ যোগাযোগ করার চেষ্টা করে পায় না।
মিঠুন : সব সময় সঙ্গে ফোন রাখার দরকার নেই তো। আমার যদি কাউকে দরকার হয় আমি তাকে ঠিক ধরে নিতে পারব। অন‌্য কারও যদি আমাকে দরকার হয়, সে-ও ঠিক খুঁজে পাবে। আপনি তো আমায় খুঁজে পেয়েছেন। পেয়েছেন তো?
প্রশ্নকর্তা : ইয়েস।
মিঠুন : তাহলে?
প্রশ্ন : একটা সময় দানধ‌্যানের জন‌্য আপনাকে ঘনিষ্ঠরা বলতেন ফাদার টেরেজা। তখন আপনি একটা কথা খুব বলতেন যে, সমাজসেবা সত্যিই করতে হলে টাকাটা ছুড়ে দিয়ে চলে যেও না। শেষ অবধি কাজটার সঙ্গে থেকো।
মিঠুন : হ্যাঁ বলতাম। তাই তো নিজেও করেছি।
প্রশ্ন : ঠিক একইভাবে ব্রিগেডে জ্বালাময়ী বক্তৃতা বা প্রচারেই আপনার কাজ শেষ হয়ে যাওয়া উচিত নয়। নির্বাচনে কি দাঁড়াচ্ছেন?
মিঠুন : আমাকে কেউ কিছু বলেনি।
প্রশ্ন : এটা বিশ্বাসযোগ‌্য?
মিঠুন : আমাকে যারা চেনে তারা জানে আই বিলিভ ইন প্রোটোকল। আমি হুমড়ি খেয়ে আগেই বলে দেব এসব ধারণায় কখনও বিশ্বাস করিনি। শীর্ষ নেতৃত্ব যা নির্দেশ দেবে, সেই অনুযায়ী কাজ হবে। পার্টি আমাকে বলেছে আগামী ১২ মার্চ থেকে ক‌্যাম্পেন শুরু করতে। আগে সেটা শুরু করি। তার পর না হয় দেখব।
প্রশ্ন : শহরে কিছু হোর্ডিং পড়েছে। বাংলার দরবারে আবার আমাদের দাদা। কোনওটা লিখছে মিঠুন চক্রবর্তী অ‌্যাজ CM। শুনেছেন?
মিঠুন : শুনেছি কি, দেখছিও তো। আমাকে একজন এসে মোবাইলে দেখিয়ে গেল। এ ব‌্যাপারে একটা কথা বলি। আমাকে কোনও দরকার নেই। বিজেপি-তে (BJP) কিন্তু মুখ‌্যমন্ত্রী হওয়ার উপযুক্ত প্রার্থী অনেকে আছেন।
প্রশ্ন : নিশ্চিত?
মিঠুন : অফ কোর্স নিশ্চিত।
প্রশ্ন : রাজনীতিতে নামার এই যে বিশাল সিদ্ধান্ত নিলেন, সেটা ঠিক করতে কত সময় গেল?
মিঠুন : এক মাসের মতো হবে। খুব তাড়াতাড়ি সব কিছু হয়ে গিয়েছে। তবে আপনি যাকে রাজনীতি বলছেন, আমি সেটাকে সামান‌্য বদলে বলি, মনুষ‌্যনীতি। কিন্তু নিজের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, যতই আপনি মানুষের উপকার করতে চান। আপনার একটা সাপোর্ট দরকার। একটা ফ্ল‌্যাগ দরকার। একজন নেতা দরকার। সত্যি যদি উন্নতি করতে চান আপনাকে সিস্টেমের সাহায‌্য নিতেই হবে। এখন তো এক একসময় মনে হয় অতীতে যাদের সাহায‌্য-টাহায‌্য করেছি সব ছবি-টবি তুলে রাখলে হত।
প্রশ্ন : কেন?
মিঠুন : কারণ এই যে সব লোক এত কথাটথা বলছে, তাদের দেখানো যেত।

Advertisement

 

 

[আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত বলিউড তারকা রণবীর কাপুর! সোশ্যাল মিডিয়ায় জানালেন মা নীতু]

প্রশ্ন : গৌরাঙ্গ হিসাবে আপনার একরকম বেপরোয়া জীবন ছিল। কিন্তু এই যে মিঠুন নামক সেনসিটিভ স্টারের জীবনে এত সমালোচনা ধেয়ে আসছে। এত ট্রোলিং হচ্ছে ব্রিগেডের সভা পরবর্তী, সেটা দেখে কী মনে হচ্ছে?
মিঠুন : ইট ডাজ নট মেক এনি ডিফারেন্স। আমি জীবনে যা সহ‌্য করে উঠে এসেছি তার মুখোমুখি হলে অনেকে সুইসাইড করত। আমার সমালোচনা করে যদি কেউ আনন্দ পায় তো পাক না। তাদের যদি আমাকে গালাগাল করে ভাল হয়, তাদের যদি ভোট বাড়ে তাহলে তা-ই হোক। তবে আমি এটুকু বলতে পারি আমি ওদের পালটা গালাগাল দিতে যাব না। সেটা আমার জীবনের নীতি নয়।
প্রশ্ন : সৌগত রায় আপনার সম্পর্কে অভিযোগ করেছেন।
মিঠুন : হুঁ। কী কী এক এক করে বলুন।
প্রশ্ন : আপনার রাজনৈতিক স্থিরতা নেই।
মিঠুন : কারেক্ট।
প্রশ্ন : আপনি অতীত দিনের তারকা।
মিঠুন : রাইট।
প্রশ্ন : আপনি ব্রিগেডে অগ্নিগর্ভ ভাষণে উত্তেজনা ছড়িয়েছেন।
মিঠুন : মানলাম না। যা বলেছি সেই স্পিরিটের ভুল ব‌্যাখ‌্যা হয়েছে।
প্রশ্ন : ব্রিগেডের সভায় আপনার কথাবার্তা শুনে মনে হল, কোনও অ‌্যাংরি মধ‌্যবয়সি কথা বলছে। এত রাগ কীসের? না কি বহুদিনের জমতে থাকা অভিমান রাগের চেহারা নিয়েছে?
মিঠুন : অ‌্যাঙ্গার শব্দটা একটু বেশি। অভিমান – হ্যাঁ অভিমান বলতে পারেন।
প্রশ্ন : আপনার ঘনিষ্ঠরা বলে থাকে, বাংলার জন‌্য এত করেও দুঃসময়ে আপনি একটাও সাহায্যের হাত দেখতে পাননি। একটা মিটিং, মিছিল, মোর্চা কিছুই হয়নি বিপন্ন মিঠুনকে বাঁচাতে।
মিঠুন : (বিষণ্ণ হাসি) না, মোর্চা বা মিছিল আমার জন‌্য কেন হবে? আমি প্রত‌্যাশাও করি না। বাট এখনও আমার অবাক লাগে আমি তো নিয়মবিরুদ্ধ কিছুই করিনি। একটা সংস্থার হয়ে আমি অনুষ্ঠান করেছি। তারপর তার পারিশ্রমিক পেয়েছি। এমনও নয় যে আমি তাদের ব্র‌্যান্ড অ‌্যাম্বাসাডর। আমি একজন অভিনেতা। অ‌্যাক্টিং ছাড়া আর কিছু জানি না। তার পরেও আমার মনে হয়েছে টাকাটা নৈতিকভাবে রাখা উচিত নয়। ফেরত দিয়ে দিয়েছি।
প্রশ্ন : সব বোঝা গেল, কিন্তু আপনি বিজেপি-র মধ্যে কী দেখলেন যে মনে হল তারা আপনার স্বপ্ন পূর্ণ করতে পারবে?
মিঠুন : মোদিজির সঙ্গে আমার সেদিন কথা হয়েছে। উনি বলছিলেন যে গ্লোরিয়াস বেঙ্গল বানাতে চান এই রাজ‌্যকে। আমার ইদানীং বারবার মনে হয় যে আর কত বছর ধরে আমরা কেন্দ্রের বিরোধিতা করে আসব? হিসাব করে দেখুন, গত পঞ্চাশ বছরের চুয়াল্লিশ বছর আমরা কাটিয়েছি স্রেফ কেন্দ্রের বিরোধিতা করে। এতে কী লাভ? বরঞ্চ এবার একটা সোনার সুযোগ বিজেপি-কে এনে বাংলাকে উজ্জ্বল করে তোলার। বিরোধিতা অনেক হয়েছে। এবার স্বরধিতা হোক।
প্রশ্ন : মানে ডাবল ইঞ্জিন কেন্দ্র এবং স্থানীয় সরকারে?
মিঠুন : বললাম তো স্বরধিতা। খাপে খাপ হয়ে যাবে। ক্রমাগত বিরোধিতা করে গেলে কোনওদিন রাজ্যের উন্নতি হতে পারে না। আমি ব্রিগেডে এটাই বলার চেষ্টা করেছি। হয় উন্নয়নের ডাকে সাড়া দাও, নইলে জলছবি হয়ে যাও।

[আরও পড়ুন: রক্ষকই ভক্ষক! রহস্যের জটিল গল্পের ঝলক ‘সন্দীপ ভার্সেস পিংকি ফারার’ ছবির ট্রেলারে]

প্রশ্ন : বলা হচ্ছে বিভিন্ন দল ঘুরেটুরে আপনি বিজেপি-তে। প্রথমে নকশাল। তারপরে সিপিএম। মাঝে বালাসাহেব ঘুরে তৃণমূল। তারপর এখন মোদি।
মিঠুন : আমি একস্ট্রিম পলিটিক্স কম বয়েসে করেছি ঠিক কথা। কিন্তু কখনও সিপিএম করিনি। পার্টির মেম্বারশিপ নিইনি। আমি জ্যোতি বসুর ফ‌্যান ছিলাম। মারাত্মক ফ‌্যান ছিলাম। ঠিক যেভাবে লোকে চে গুয়েভারার ফ‌্যান হয় কি ফিদেল কাস্ত্রোর। সুভাষ চক্রবর্তীর কথা লোকে তোলে। আরে সুভাষদার সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক। মাঝখানে খবর রটেছিল আমি মারা গেছি। বাংলাদেশ থেকে একটা গ্রুপ বদমায়েশি করে এসব করছিল। বউদি শোনামাত্র কেঁদে ফেলেন। বউদি আর মোমো-র জন‌্য আমি সারাজীবন দাঁড়িয়ে থাকব। এটা আমার কমিটমেন্ট। আমি প্রণবদাকেও খুব সম্মান করতাম। প্রণবদার জন‌্যও এক কথায় আমি প্রচার করেছি। কই তখন তো কেউ বলেনি কেন প্রচার করছ? বালাসাহেব ঠাকরেকে আমি ড‌্যাডি বলতাম। উনি অসম্ভব ভালবাসতেন আমায়। একদিন উনি আমায় ডেকে বলেছিলেন, মিঠুন একটু ছগন ভুজবলের জন‌্য প্রচার করে দাও তো। আমি এক কথায় করেছি। কেউ তো এসব জানেই না। আপনি কি জানেন বিজেপি-র জন‌্য কবে আমি প্রথম প্রচার করেছি? প্রকাশ জাভড়েকরকে জিজ্ঞেস করুন। উনি জানেন। এমন সময়ে সেটা করা যখন বলিউডের স্টাররা মনে করত এই বিজেপি-শিবসেনা এদের জন‌্য প্রচার করা মানে গ্ল‌্যামার কমে যাওয়ার ঝুঁকি নেওয়া। স্টারডম চলে যাবে। এবার আসি মমতাদির কথায়। উনি তো দারুণ কাজ করছিলেন। তারপর হঠাৎ যে কী হল। সামথিং ওয়েন্ট রং। টেরিবলি রং। সব গন্ডগোল হয়ে দলা পাকিয়ে গেল।
প্রশ্ন : আপনি মমতা বন্দ্যোপাধ‌্যায়ের সম্পর্কে হতাশ? না তাঁর আশপাশের অনুগামীদের নিয়ে হতাশ।
মিঠুন : টোটালিটিতে। কোথাও একটা কিছু হয়ে গিয়েছে।
প্রশ্ন : মমতার সঙ্গে শেষ কবে কথা হয়েছে?
মিঠুন : গত ইলেকশনের আগে।
প্রশ্ন : কী বলছেন? লাস্ট ইলেকশনের পর আপনার সঙ্গে ওঁর কথা হয়নি?
মিঠুন : না, হয়নি। রিসেন্টলি উনি একটা ব‌্যাপারে আমাকে উইশ করেছিলেন। ওই পর্যন্ত।
প্রশ্ন : কী হবে যদি ২ মে রাতে দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ‌্যায়ই জিতে সরকার গড়ছেন? তখন নিজের প্রতি ক্ষোভ হবে না তো যে খাচ্ছিল তাঁতি তাঁত বুনে। কাল হল এঁড়ে গরু কিনে।
মিঠুন : ভাল তো। যদি বাংলার মানুষ ঠিক করেন উনিই ওঁদের ভালবাসার মানুষ। অবশ‌্যই আবার ফিরবেন। জনতা জনার্দনই নির্বাচনে শেষ কথা। আই উইশ হার অল দ‌্য বেস্ট। তবে আমি যেটুকু নিজের চোখে দেখেছি তাতে মনে হয়েছে বিজেপি এই রাজ্যে একটা বিশাল প্রভাব তৈরি করে ফেলেছে। কাল ব্রিগেডে যা দেখেছি অবিশ্বাস‌্য! চারপাশে মানুষের ঢল।
প্রশ্ন : স্বতঃস্ফূর্ত জোয়ার বলছেন?
মিঠুন : ইয়েস। কাল যে জোয়ার আমি দেখেছি সেটা টাকা দিয়ে কেনা যায় না। ওই ক্রাউড কিনে নেবে এমন টাকা কোনও পলিটিক‌্যাল পার্টির নেই।
প্রশ্ন : বিজেপি ক্ষমতায় এলে?
মিঠুন : বিজেপি ক্ষমতায় এলে পরের ছ’মাসে পশ্চিমবঙ্গের চেহারা বদলে যাবে।
প্রশ্ন : শোনা যাচ্ছিল সৌরভ বিজেপি-র প্রার্থী হতে পারেন। তারপর শোনা গেল, না।
মিঠুন : আই ক‌ানট কমেন্ট। ওর ডিসিশন নিজের ডিসিশন। আমার কিছু বলাটা ঠিক নয়।
প্রশ্ন : টালিগঞ্জ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি নির্বাচন ঘিরে কার্যত দু’ভাগ হয়ে গিয়েছে। ফুটবলের সাতের দশকের দলবদলের মতো রোজ কেউ না কেউ দল ছাড়ছেন। যোগ দিচ্ছেন।
মিঠুন : এগেন পার্সোনাল। আমি কিছু বলব না।
প্রশ্ন : কালকে আপনার বক্তৃতার পর থেকে যেমন সাড়া পড়ে গিয়েছে তাতে মনে হচ্ছে এবারের নির্বাচনে আপনিই সবচেয়ে বড় নিউজ মেকার। সোশ‌্যাল মিডিয়াতেও অভূতপূর্ব সাড়া। কেউ বিপক্ষে কেউ পক্ষে। কিন্তু প্রতিক্রিয়া সাংঘাতিক।
মিঠুন : আমিও তাই শুনছি। আমি তো সোশ‌্যাল মিডিয়া নিজে করি না। ওসব বুঝিও না। মিডিয়ার নানা লোকের থেকেই শুনছি। ১০ লাখ টুইট নাকি হয়েছে আমার জয়েনিং নিয়ে। তার পরে এই যে শহরে আজ পোস্টার। আমি তো বুঝতেই পারছি না এসব কী হচ্ছে।
প্রশ্ন : কেন?
মিঠুন : আমি কনফিউজড হয়ে যাচ্ছি। এই এরা বলছে আমার কোনও গ্রহণযোগ‌্যতা নেই। আমি অতীত দিনের স্টার। তাহলে এসব হচ্ছে কেন? আমি রিয়েলি কনফিউজড।

সম্পূর্ণ সাক্ষাৎকার দেখুন –

[আরও পড়ুন: মুক্তির আগে ফের বিতর্কে ‘গাঙ্গুবাঈ কাঠিয়াওয়াড়ি’, নাম নিয়ে আপত্তি কংগ্রেস বিধায়কের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement