সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছেলের মৃত্যুর পরদিনই এল দুঃসংবাদ! করোনা আক্রান্ত ওয়াজিদ খানের মা। রবিবার গভীর রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলিউডের খ্যাতনামা সংগীতকার ওয়াজিদের। তবে তাঁর মৃত্যু ঘিরে বলিউডের অন্দরে নানারকম জল্পনা চলছে। কিডনির সমস্যায় ভুক্তভোগী হলেও শেষবেলায় করোনার কোপেই নাকি ওয়াজিদের মৃত্যু হয়েছে। এমনকী, গায়ক সোনু নিগমও সেকথা জানিয়েছিলেন। তবে সেসব জল্পনার রেশ কাটতে না কাটতেই প্রকাশ্যে এল আরও এক খবর। ওয়াজিদের মা রেজিনা খানের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ।
ওয়াজিদ (Wajid Khan) হাসপাতালে ভরতি থাকাকালীন রেজিনা তাঁর ছেলের দেখভাল করছিলেন। সেই সূত্রেই দু’বেলা হাসপাতালে যাতায়াত ছিল তাঁর। সেখান থেকেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন রেজিনা। বিশিষ্ট সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, কিডনি এবং গলায় ইনফেকশন নিয়ে হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন ওয়াজিদ। ঠিক সেই সময়েই হাসপাতালের অন্য কোনও রোগীর থেকে করোনা সংক্রমণ ঘটে তাঁর মা রেজিনা খানের। পরবর্তীতে জানা যায়, সেখান থেকেই ওয়াজিদও সংক্রামিত হন। তবে বলিউড সংগীতকারের মৃত্যুর কারণ নিয়ে যদিও ধোঁয়াশা রয়েছে। তবে মা রেজিনার কোভিড (COVID-19) রিপোর্ট পজিটিভ আসতেই ফের বলিমহলে জল্পনা শুরু হয় যে, তাহলে কি সত্যিই করোনার জন্যেই মৃত্যু হয়েছে ওয়াজিদ খানের!
সূত্রের খবর, সাজিদ-ওয়াজিদের মা রেজিনা খানের (Rejina Khan) শারীরিক অবস্থার অনেকটাই উন্নতি হয়েছে এবং বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, রেজিনার করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন বলিউডের খ্যাতনামা সেলিব্রিটি ফটোগ্রাফার ভাইরাল ভায়ানিও।
প্রসঙ্গত, বছর সাতেক আগে সাজিদ-ওয়াজিদের বাবার মৃত্যু হয়েছিল জুন মাসেরই ৩ তারিখে। গতবছর বাবার উদ্দেশে লেখা ৩জুনের একটি টুইট এই মূহূর্তে বেশ ভাইরাল। যেখানে ওয়াজিদ লিখেছেন, “বাবা, প্রতিক্ষণে তোমার শূন্যতা অনুভব করি। তোমার সঙ্গে আবার দেখা হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি।”
Six years hv just passed away without you PAPPA… Not a single day goes without thinking of you… Life has changed a lot but I miss you more n more as days passes… Aap ki kami bahut Mehsoos hoti hai… waiting till I meet you again…Love you miss you forever pic.twitter.com/vo9L1xopD7
— Wajid Khan (@wajidkhan7) July 3, 2019
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.