সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “মোদি বায়োপিকের ট্রেলার দেখেই বুঝেছিলাম সিনেমাও যে ভোটের ক্ষেত্রে বিস্তর প্রভাব ফেলতে পারে”- এমনটাই বললেন পরিচালক বিশাল ভরদ্বাজ। একদিকে, মোদি বায়োপিককে ঘিরে যখন জল্পনা এবং বিতর্ক তুঙ্গে, তখন পরিচালক বিশালের এই মন্তব্যকে ঘিরে মোদি বায়োপিক নিয়ে যে এক নয়া ইস্যু খাড়া করতে পারে, তা বলাই বাহুল্য। সম্প্রতি, দিল্লির হংসরাজ কলেজের এক অনুষ্ঠানে গিয়ে এই মন্তব্য করেছেন বিশাল। ‘একটা ছবি সমাজের উপর কতটা প্রভাব বিস্তার করতে পারে’-এটাই ছিল পরিচালকের আলোচ্য বিষয়। সেই প্রসঙ্গে নিজের বক্তব্য পেশ করতে গিয়েই তিনি নরেন্দ্র মোদির বায়োপিকের কথা তুললেন।
[আরও পড়ুন : মোদির পর বিতর্কে মমতার ‘বায়োপিক’, নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ সিপিএম]
ভারতের ক্রিকেট এবং সিনেমা নিয়ে মানুষের উৎসাহ বরাবরই তুঙ্গে। ভারত যে ক্রিকেটপ্রেমী এবং সিনেমাপ্রেমীর দেশ, একথা একবাক্যে অনায়াসেই স্বীকার করে নেওয়া যায়। আর তাই ক্রিকেটার এবং অভিনেতাদের নিয়েও এদেশের উন্মাদনা সব সময়েই শীর্ষে। স্বভাকতই সাধারণ মানুষের জীবনেও তার প্রভাব ষোলো আনা। দিল্লিতে এদিন সেই প্রসঙ্গ টেনেই বিশাল ভরদ্বাজ বলেন, “ক্রিকেট এবং সিনেমা এই দুটো নিয়েই আমাদের সবার অনেক মতামত রয়েছে। ভাল খেলল, ভাল অভিনয় করল কিংবা পারফরম্যান্সটা একটু এদিক থেকে ওদিক হল, ব্যস.. সবাই ময়দানে নেমে যান নিজস্ব মতামত পেশ করতে। এই দেখুন না অনেক সময়েই লোকে বলে ফেলেন, ইশশ! নায়ক যদি এভাবে অভিনয় করত তাহলে ভাল হত। কিংবা ম্যাচের এই ওভারে অমুক খেলোয়ারকে নামালে খেলাটা আরও জমে যেত… এরকম ভিন্ন ধরনের মতামত শোনা যায়।”
তিনি আরও বলেছেন, ”তেমনই সাধারণ মানুষের উপরে সিনেমার প্রভাব কিন্তু বেশ অনেকটাই। বলা যেতে পারে, সিনেমা সমাজেরই আরেক প্রতিচ্ছবি কিংবা প্রতিফলন। আর তাই যখন থেকে মোদিজির বায়োপিকের ট্রেলার দেখেছি মনে হয়েছে নির্বাচনের উপরও সিনেমা প্রভাব ফেলতে পারে। যদিও সেই ছবি ভোটের মরসুমে আর মুক্তি পাচ্ছে না। তবে, আমরা যে দেশের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়েও ছবি বানাতে পারি, এটা কিন্তু বিশাল বড় একটা ব্যাপার! তাহলে, আগামী পাঁচ বছরেও তো ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির একটা অবদান থাকার কথা রাজনীতির ময়দানে। আর আমরাও (ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি) যে ছবি করেই কাউকে দেশের প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে দিতে পারি, সেটাও তো একটা বড় ব্যাপার, তাই না! কে বলতে পারে ভবিষ্যতে হয়তো আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকেই কেউ একজন প্রধানমন্ত্রী হয়ে যেতে পারে!” প্রসঙ্গত, ভোটের মরশুমে ‘পিএম নরেন্দ্র মোদি‘কে ঘিরে কম বিতর্ক হয়নি। দেশের একাধিক আদালত একগুচ্ছ জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। বিরোধীদের মতানুযায়ী, লোকসভা নির্বাচনের মরসুমে যদি এই ছবি মুক্তি পায়, তাহলে গেরুয়া রং যে আরও গাঢ় হবেই, তা নিশ্চিত। তাই তড়িঘড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয় ছবির মুক্তি।
[আরও পড়ুন : ‘৫৬ ইঞ্চি ছাতি’ নিয়ে মোদিকে কটূক্তি, রীতেশের মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক]
সেই সূত্র টেনেই হয়তো বিশাল এদিন আরও বলেন, “যাদেরই নিজেদের পাবলিসিটির দরকার, তারাই সিনেমাটাকে টার্গেট করেন। কাঠগড়ায় তো সবসময়ে সিনেমাই ওঠে। ‘পদ্মাবত’-এর কথাই ধরা যাক। আমাদের পরিচালকদের জীবনটা অত সহজ নয়। পাবলিসিটির দরকার পড়লে শিখণ্ডি হিসেবে দাড় করানো হয় সিনেমাকে। সঙ্গে আমাদের (পরিচালক) উপরও অনেক হামলা হয়।” ‘পিএম নরেন্দ্র মোদি’ বায়োপিক প্রসঙ্গে কৌতুক করেই কি বিশাল ভরদ্বাজের এই মন্তব্য? তাহলে, কি মোদি বায়োপিকের সমর্থনেই সুর চড়ালেন বিশাল? সিনেমহলে কিন্তু কান পাতলে এমন প্রশ্নও শোনা যাচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.