শম্পালী মৌলিক: ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল। হাসপাতালে ভর্তির কদিন আগেও সুরেলা আড্ডা জমে উঠেছিল। উস্তাদ রাশিদ খানের মৃত্যু (Ustad Rashid Khan Death) বাবুল সুপ্রিয়র কাছে পরিবারের কাউকে হারানোর মতো, ব্যক্তিগত ক্ষতি। প্রিয় মানুষটার সঙ্গে ‘শেষ দেখা হল না…’, এই আক্ষেপ বাবুলের (Babul Supriyo)।
মুম্বইয়ে রয়েছে বাবুল সুপ্রিয়। সেখান থেকে ফোনের মাধ্যমে বলেন, “১১ তারিখ পর্যন্ত শিডিউল কাজ রয়েছে। কাজেই আমি ওঁকে দেখতে পাবো না। এটা নিজের ব্যক্তিগতভাবে খারাপ লাগছে, কারণ ওঁর সঙ্গে সম্পর্কটা খুব ব্যক্তিগত ছিল। কদিন আগেও আমরা ওঁর বাড়িতে গিয়ে গান-বাজনা করেছি। সবাই মানে আমি, জয় সরকার আরও কয়েকজন। খুব মজা করেছিলাম সারা সন্ধ্যা ধরে। তার পরও গিয়েছিলাম রেওয়াজ করতে। নিজের হাতে খাবার তৈরি করতে ভালোবাসতেন। এরকম একজন শিল্পী। মানে কী বলব!”
মাত্র ৫৫ বছর বয়সে উস্তাদ রাশিদ খানের (Ustad Rashid Khan) প্রয়াণ শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের জগতে ইন্দ্রপতন বললেও কম বলা হয়। এমনটাই জানান বাবুল। তাঁর কথায়, “সবদিক থেকে অপূরণীয় ক্ষতি। এত কম বয়সে এভাবে চলে যাওয়া। হয়তো বড় শিল্পীরা এমনই ক্ষণজন্মা হয়। পাঁচ মিনিট আগে খবরটা শুনেছি। কলকাতা আসার পরে ওঁর সঙ্গে সম্পর্ক আরও গাঢ় হয়েছিল। আফসোস রয়ে গেল শরীর খারাপ হওয়ার পরে যদি দেখা করার সুযোগ থাকত। হাসপাতালে যদি দূর থেকেও যেতে পারতাম… অ্যাটলিস্ট হাসপাতালেও যদি যেতে পারতাম। হয়তো দেখা করতে দিল না বা দূর থেকে হয়তো দেখলাম। ওটাও করতে পারলাম না। নানারকম কারণে সেটা আমাদের পারমিশন দেওয়া হল না। ওটা একটা আফশোস রয়ে গেল। আর এটাই বলব যে আমি ‘বহুযুগের ওপার হতে’ আসার কদিন আগে ওঁকে নিয়ে একটা গান করেছিলাম। খুবই আড্ডাবাজ আর খুব ভালো একজন মানুষ ছিলেন। কঠিন পরিশ্রমে নিজেকে তৈরি করেছিলেন। ওঁর চলে যাওয়া সঙ্গীত জগতের বিরাট বড় ক্ষতি।”
ক্যানসারের মতো মারণ রোগের সঙ্গে লড়ছিলেন উস্তাদ রাশিদ খান। তার মধ্যেই আবার সেরিব্রাল স্ট্রোক। প্রায় দুমাস কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মঙ্গলবার বেলা ৩.৪৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। শিল্পীর প্রয়াণে শোকাহত তাঁর অনুরাগীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.