সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যশরাজ ফিল্মস মানে একটাই শর্ত- ‘নো শো পলিসি’। প্রেক্ষাগৃহে তাঁদের ছবি চললে, অন্য কোনও সিনেমা অন্তত ৩ সপ্তাহ চালানো যাবে না। আর এই শর্তে রাজি থাকলে সংশ্লিষ্ট হলে একচেটিয়া যশরাজ রাজত্বই চলবে! ‘টাইগার ৩’র ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয়নি। বাংলাতেও এই নির্দেশিকার কোনও হেরফের হয়নি। কিন্তু ‘টাইগার’-এর গর্জনের কাছে মাথা নোয়াতে নারাজ কলকাতার দুই প্রেক্ষাগৃহ।
সংবাদ প্রতিদিন ডট ইন-কে গত অক্টোবর মাসেই নবীনা সিনেমা হলের মালিক নবীন চৌখানি সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, “‘টাইগার’ সব শো চেয়েছিল। কিন্তু আমি সেই শর্ত মেনে নিইনি। পুজোর বাংলা ছবিই দিনভর চালাব। আর সেগুলো চললে ‘টাইগার ৩’ কেন নেব?” নিজের কথার কোনও নড়চড় করেননি তিনি। এবার চলতি ‘টাইগার ৩’ ঝড়ে তিনি জানালেন, “আমার হলে এখনও বাংলা ছবি চলছে। আগামী শুক্রবার থেকে তার সঙ্গে একটা করে হিন্দি ও ইংরেজি ছবি চলবে।” যদিও দক্ষিণ কলকাতার প্রিয়া সিনেমা হলে সকাল ৭.৩০টার শো রাখা হয়েছে। শাহরুখের ‘পাঠান’-এর সময়ও সব শো দেওয়া হয়েছিল প্রিয়ার তরফে।
এদিকে উত্তর কলকাতায় স্টার থিয়েটারও নবীনা সিনেমা হলের পথে হেঁটেছে। সংবাদ মাধ্যমের কাছে হল কর্তৃপক্ষের দাবি, স্টার দুটো শো দিতে রাজি হয়েছিল। কিন্তু তাতে টাইগার ৩-এর ডিস্ট্রিবিউটার রাজি নয়। এদিকে বাংলা ছবি তোলারও বিপক্ষে স্টার কর্তৃপক্ষ। যশরাজের শর্তে রাজি না হওয়ার জন্যই ‘টাইগার ৩’ দেখাবেন না তাঁরা বলে খবর।
প্রসঙ্গত, পুজোর আগেই বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন টলিপাড়ার প্রযোজক-পরিচালকরা। দিওয়ালির বাজারে ‘টাইগার’-এর দাদাগিরি মানতে নারাজ ছিলেন তাঁরা। কারণ চলতি বছরেই বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর শাহরুখ খানের ছবি ‘পাঠান’-এর জন্য নিজের রাজ্যের হল মালিকদের একাংশের কাছে কোণঠাসা হতে হয়েছিল খোদ বাংলা সিনেমাকে। তাই এবার আগেভাগেই প্রতিবাদের ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছিলেন। যদিও এই মরশুমে কোনও বাংলা সিনেমা রিলিজ করছে না। তবে যশরাজের ‘নো শো পলিসি’ মানতে নারাজ অনেকেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.