Advertisement
Advertisement
তুষার কাপুর

‘বাবার নাম জিতেন্দ্র হলে, তুলনা তো হবেই’, একান্ত সাক্ষাৎকারে বললেন তুষার কাপুর

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল-এর সঙ্গে এক্সক্লুসিভ কথোপকথনে অভিনেতা৷

Tusshar Kapoor’s exclusive interview with Sangbad Pratidin Digital
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:July 3, 2019 9:52 pm
  • Updated:July 4, 2019 12:17 pm  

সদ্য অল্ট বালাজির ওয়েব চ্যানেলে শুরু হয়েছে ‘বু সবকি ফাটেগি’র স্ট্রিমিং। ওয়েব সিরিজের মুখ্য ভূমিকায় তুষার কাপুর। সেই সুবাদেই পাওয়া গেল অভিনেতাকে। নিজের অভিনয় জীবনের ওঠাপড়া, থেকে সিঙ্গেল পেরেন্টিং-এর স্বাদ, সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল-এর প্রতিনিধির সঙ্গে ভাগ করে নিলেন জীবনের নানা অভিজ্ঞতা। শুনলেন সন্দীপ্তা ভঞ্জ।

ডিজিটাল ডেবিউ করলেন দিদি একতার হাত ধরে… আলাদা কোনও অভিজ্ঞতা হল?

Advertisement

আর পাঁচটা সিনেমার শুটিংয়ের থেকে ওয়েব সিরিজে কাজ করার অভিজ্ঞতা একেবারেই আলাদা নয়, বিশ্বাস করো৷ গোটা একমাস ধরে ‘বু সবকি ফাটেগি’র শুটিং করেছি আমরা। সিনেমার মতোই অভিজ্ঞতা। কিন্তু নিঃসন্দেহে ভাল লাগছে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম আজকাল পরিচালক এবং অভিনেতাদের কাজের পরিসর অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে। তাই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজের সুযোগও বাড়ছে। অবশেষে, আমিও যুক্ত হলাম ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে।

মল্লিকা শেরাওয়াতও রয়েছেন ওয়েব সিরিজে, ওঁর সঙ্গে তো এটাই আপনার প্রথম কাজ?

হ্যাঁ। আগে ওঁর সঙ্গে সেরকম আলাপ ছিল না। ‘বু সবকি ফাটেগি’র সেটেই আলাপ জমল। বলিউডে ফিরল প্রায় দীর্ঘ বিরতির পর। মল্লিকাও তো আমার সঙ্গেই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে পদার্পণ করল। খুব সৎ মানুষ। সেটে দেখতাম, কোনওরকম তারকাসুলভ হাবভাব নেই ওঁর।

আচ্ছা, হরর কমেডি ওয়েব সিরিজ এটা, তো মল্লিকার মতো ‘সেক্সি ভূতনি’কে কেমন লাগল?

(হেসে) এই প্রশ্নটা সঞ্জয় মিশ্রকে করো দয়া করে। ওঁর সঙ্গে ‘ভূতনি মল্লিকা’র প্রচুর দৃশ্য রয়েছে। তবে, দর্শকরা ‘সেক্সি ভূতনি’কে উপভোগ করবেন। 

[আরও পড়ুন: বাইকে হেলমেটহীন শাহরুখ, ফিল্মি কায়দায় সতর্ক করলেন মাস্টার ব্লাস্টার ]

এর আগে ‘গোলমাল এগেইন’, এখন ‘বু সবকি ফাটেগি’, তারপর আবার ‘লক্ষ্মী বম্ব’… বলিউডে ভূতূড়ে ছবি হলেই আপনার ডাক পড়ে নাকি?

কোথায়? না তো! একটা হরর-কমেডি ছবিতে অভিনয় করেছি। আর একটা ভূতুড়ে ওয়েব সিরিজে এই অভিনয় করলাম।

আর ‘লক্ষ্মী বম্ব’-এ কী হল? দেখলাম, কিয়ারা আডবাণী প্রথম দিন সেটের ছবি তুলে আপনাকে ট্যাগ করেছিল ইনস্টাগ্রামে?

আরে, ওই ছবিটা তো আমি প্রযোজনা করছি। ‘লক্ষ্মী বম্ব’ ছবির অন্যতম প্রযোজক আমি।

এবার তাহলে অভিনয়ের পাশাপাশি দিদির মতো প্রযোজনাতেও এলেন…

হ্যাঁ, এই প্রথম ছবির প্রযোজনা করছি, এটা ঠিক। কিন্তু, প্রযোজক একতা কাপুরের সঙ্গে তুলনা টেনো না প্লিজ৷

মাঝখানে তো ‘লক্ষ্মী বম্ব’ নিয়ে পরিচালকের সঙ্গে একটা সমস্যা হয়েছিল…

হ্যাঁ, ওসব মিটে গিয়েছে। ঠিকঠাক কাজ চলছে।

 

আচ্ছা, আর ওই ভূতুড়ে জঁরের কী হল?

দর্শক যদি আমায় দু’-চারটে ভূতুড়ে ছবিতে দেখেন, আর তাঁদের ভাল লাগে। তারপর যদি এসে বলেন যে ‘ভূতুড়ে জঁর স্পেশ্যালিস্ট’ হয়ে গিয়েছি, আমার কোনও আপত্তি নেই তাতে।

কমেডি থেকে হরর জঁর… আর কোনও জঁর এক্সপ্লোর করতে ইচ্ছে করে না?

অবশ্যই। ইচ্ছে রয়েছে নাচ এবং থ্রিলার ঘরানার কোনও ছবিতে অভিনয় করব। আজকাল তো নাচ নিয়ে বলিউডে আস্ত একেকটা ছবি তৈরি হচ্ছে। আর থ্রিলার ভেঞ্চার দর্শকদের বেশ পছন্দের। তাই সুযোগ হলে এই দুটো ঘরানার ছবিতে অভিনয়ের অফার লুফে নেব৷

ইন্ডাস্ট্রিতে প্রায় ১৯ বছর কাটালেন। বলিউডে স্টারকিড হিসেবে আলাদা কোনও ফ্যাক্টর কাজ করে? নাকি বাবার সঙ্গে তুলনায় পড়তে হয় বলে অস্বস্তি হয়?

দেখো আমি মনে করি জীবনে ওঠাপড়া থাকেই। ওটা নিয়ে আলাদা করে এখন আর ভাবি না। অনেক ভাল মুহূর্ত রয়েছে। যেগুলো স্মৃতির সরণীতে হেঁটে সারা জীবন উপভোগ করব। বাবার নাম ‘জিতেন্দ্র’ হলে, তুলনা তো টানবেই লোক। কেরিয়ারের প্রথমদিকে ভাবতাম। এখন ওসব নিয়ে ভাবি না।

[আরও পড়ুন: মাঠে ব্যাট হাতে তাপসী! ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক এই অভিনেত্রীই ]

কেরিয়ারের এই জায়গায় এসে ‘ব্যর্থতা’কে কীভাবে দেখেন? মানে, এই ধরুন ছবি ‘ফ্লপ’ করল, তখন মনকে সামলান কীভাবে?

অভিনেতা মানেই তাঁর জীবনে ওঠাপড়া থাকবে। সেটাই স্বাভাবিক। আর এরকম পরিস্থিতিতে নিজেকে কীভাবে সামলাতে হয়, সেটা শিখেছি বাবার কাছ থেকে। এর পুরো কৃতিত্বটাই বাবার। ছোট থেকেই সিনেমা, গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ড.. এই পরিবেশে বড় হয়েছি। যার জীবনে সাফল্য থাকবে, তাঁকেও তো কখনও না কখনও ব্যর্থতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে, তাই না? ব্যর্থতা না থাকলে সাফল্যের স্বাদ উপভোগ করা যায় না।

ছবির অফার পেলে আগে বাবা জিতেন্দ্রর সঙ্গে আলোচনা করেন, না দিদি একতা?

কোনও ছবির অফার এলে নিশ্চয় ওঁদের জানাই। অবশ্যই ওঁদের মতামতটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ আমার কাছে।কিন্তু সিদ্ধান্ত আমিই নিই। 

লক্ষ্য কেমন আছে? সিঙ্গল ফাদার হিসেবে বলিউডে ট্রেন্ড সেট করলেন আপনি.. কেমন চলছে বাবা-ছেলের জীবন?

খুব ভাল। লক্ষ্য আমার কাছে আশীর্বাদের মতো। কাজ থেকে ফিরে ওকে দেখলেই সব ক্লান্তি দূর হয়ে যায় আমার। আজকাল লক্ষ্য আবার একটু একা থাকতেও পছন্দ করে। ওর একটু স্পেস-এর দরকার হয় বোধহয় (হেসে)…বড় হচ্ছে তো!

শেষ কবে কলকাতায় এসেছেন?

এই রে.. অনেক দিন হবে, ঠিক মনে নেই। বাঙালি খাবারের কথা অনেক শুনেছি। দুর্ভাগ্যবশত, কখনও চেখে দেখার সুযোগ হয়নি৷    

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement