সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “ভেসে গেল আমার শহর, ভেসে গেল কত স্বপ্ন… চলে গেল কত জীবন, আর তোমরা বললে কই কিছু হয়নি তো!!…” বিধ্বস্ত বাংলা নিয়ে যারা উদাসীন, এভাবেই তাদের বাক্যবাণে বিঁধলেন সাংসদ অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী।
জলমগ্ন কলেজস্ট্রিটে চত্বরে ভাসমান হাজারও বই, কত টাকা লোকসান হল বই বিক্রেতাদের, তা এই মুহূর্তে ঠাহর করা দায়। পাটে ওঠার আগেই আমফানের জেরে বিসর্জন গিয়েছে কুমোরটুলির প্রতিমা। বিধ্বস্ত শহরের বিভিন্ন এলাকার ছবি তুলে ধরেছেন সাংসদ। মনে করিয়ে দিয়েছেন যে এই কঠিন সময়ে বাংলার পাশে থাকা খুব দরকার। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও অনেকে বাংলার ক্ষতি নিয়ে উদাসীন। তারই বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন সাংসদ অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী।
শুক্রবারই তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী আমফান বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তাঁর সংসদীয় এলাকার প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে। এদিন তিনি আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত বারুইপুর, সোনারপুর এবং ভাঙড়ের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন। সেখানকার মানুষজনের সঙ্গে দেখা করে, কথা বলে তাঁদের আশ্বস্তও করেন। আশ্বাস দেন যে, এই লড়াইয়ে সাংসদ ও তাঁর দলবল সবসময় তাঁদের পাশে আছেন। তাঁর কথায়, “আমরা আবার ঘুরে দাঁড়াবই, এই বিপর্যয় ঠিক কাটিয়ে উঠব।” সংসদীয় এলাকার মানুষজনজের হাতে ত্রাণ সামগ্রীও তুলে দেন সাংসদ মিমি চক্রবর্তী।
সংসদীয় এলাকা পরিদর্শনের পর একটি বৈঠকে যোগ দেন মিমি। কীভাবে পরিস্থিতি সামলানো হবে, তা নিয়ে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনাও করেন। সেলিব্রিটি হলেও তিনি যে নিজের রাজনৈতিক কর্তব্যে অবিচল, সেকথা একাধিকবার বুঝিয়ে দিয়েছেন মিমি চক্রবর্তী।
একে করোনা আবহ, উপরন্তু গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো আমফান সাইক্লোন। এককথায়, বিপর্যস্ত রাজ্যবাসীর জনজীবন। তবে এই পরিস্থিতিতেও উদাসীন মানসিকতা বহন করছেন অনেকে। বাংলার এমন বিধ্বস্ত পরিস্থিতির পরও ‘নূন্যতম ক্ষতি’র তকমা দেওয়া হয়েছে। তার জেরেই বোধহয় নাম না করে সংশ্লিষ্ট মনোভাবাপন্নদের বাক্যবাণে বিঁধলেন মিমি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.