নতুন থ্রিলারে হাত দিচ্ছেন অরিন্দম শীল। লিড রোলে সায়নী গুপ্ত। থাকছেন আবির চট্টোপাধ্যায়, আদিল হুসেন, তনুশ্রী শঙ্কর, জুন মালিয়া, ইন্দ্রাশিস রায়, সৌরভ দাস। লিখলেন শম্পালী মৌলিক।
আবারও মাঠে নামতে তৈরি পরিচালক অরিন্দম শীল।
বিগেস্ট গ্রসার ‘ব্যোমকেশ গোত্র’-র পর নিয়ে আসছেন শিরদাঁড়া টানটান করা থ্রিলার। ছবির সম্ভাব্য নাম ‘খেলা যখন’। কেন্দ্রচরিত্রে ‘মার্গারিটা উইথ আ স্ট্র’, ‘ফ্যান’, ‘জগ্গা জাসুস’ খ্যাত সায়নী গুপ্ত। যিনি আদতে কলকাতার কন্যা হলেও খ্যাতি তাঁর মুম্বইয়ে কাজের সূত্রে।
তাঁকেই এবার দেখা যাবে অরিন্দমের ছবিতে। পরিচালক বলছিলেন “এর আগে পর্যন্ত যা যা করেছি, তার থেকে কোথাও তো ইভলভ করতে হয়, সেটাই করতে চলেছি। ‘খেলা যখন’-কে বলতে পারেন আমার প্রিয় পরিচালক ট্যারান্টিনোর প্রতি ট্রিবিউট। মেকিংয়ে সেই ভাবনাই থাকবে। সাহিত্যধর্মী কাজ করলাম, তারপর গোয়েন্দা ছবি করলাম। ‘ব্যোমকেশ’, ‘শবর’ করেছি অডিয়েন্স গ্রহণ করেছে। শেষ পর্যন্ত ‘ব্যোমকেশ গোত্র’-তে এসে একদম নতুন ইন্টারপ্রিটেশন আনলাম। যেটা দর্শক দারুণভাবে গ্রহণ করেছে, সকলেই জানেন। এই ভেঙে নতুন করে গড়ায় সাফল্য পেয়েছি দর্শকের জন্যই। অডিয়েন্স সেই সাহস দিয়েছে বলেই ‘খেলা যখন’-এর মতো থ্রিলারে হাত দিচ্ছি। থ্রিলারের তো বিভিন্ন জনার আছে, সেগুলো ব্যবহৃত হয় না। আমার এবারের ছবিটায় সেইরকম অনেকগুলো স্তর থাকবে।”
[ ‘চিট ইন্ডিয়া’-র ট্রেলারে মন কাড়ল ইমরানের জালিয়াতি ]
তো গল্পটা কেমন? জানা গেল কোমা স্টেজ থেকে এক মহিলার উঠে আসা এবং তারপর তার সামনের পৃথিবীতে কিছু কন্ট্রাডিকশন ঘটতে থাকে। কন্ট্রাডিকশন যত ভায়োলেন্ট হয় পৃথিবীটাও তত হিংস্র হয়ে উঠতে থাকে। এই নিয়েই ছবি। বলা যায় শান্তভাবে ছবিটা শুরু হয়ে চরম ভায়োলেন্সের দিকে এগিয়ে যাবে।
সায়নী ছাড়া আর কারা থাকছেন? অরিন্দমের ফেভারিট আবির চট্টোপাধ্যায় অবশ্যই আছেন। কথা হয়েছে আদিল হুসেনের সঙ্গেও। এবারে ডেট চূড়ান্ত হবে। থাকছেন তনুশ্রী শঙ্কর, জুন মালিয়া, সৌরভ দাস, ইন্দ্রাশিস রায় এবং জয়ন্ত কৃপালনি। আরও একটি চরিত্রে অরিন্দম ভেবেছেন রাইমা সেনের কথাও।
২০১৯-এর ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে শুটিং শুরু। ওড়িশা, কলকাতা, কার্শিয়াং ও তার আশেপাশে শুটিং হবে। ক্যামেরায় শুভঙ্কর ভড়। মিউজিকের দায়িত্বে বিক্রম ঘোষ। আর বড় চমক হল এ ছবির গল্প ও চিত্রনাট্য লেখায় অরিন্দমের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ‘বদলাপুর’, ‘অন্ধাধুন’, ‘এজেন্ট বিনোদ’ খ্যাত চিত্রনাট্যকার অরিজিৎ বিশ্বাস। অরিন্দম বলছিলেন, ‘‘আমরা পাঁচ মাস ধরে এই স্ক্রিপ্টটা করেছি। শোনার পরেই শ্রীকান্ত বলে যে, বহু বছর এমন স্ক্রিপ্ট শোনেনি। অ্যাকচুয়ালি ‘থ্রি বিলবোর্ডস’ দেখার পরেই আমার মনে হয়, আমরা শুধু ডিটেক্টিভে আটকে থাকব কেন? অরিজিতের সঙ্গে কথা হয়। ইতিমধে্যই আমরা অন্য একটা ছবির গল্প রেডি করে ফেলি। যেটা আগামী বছর পুজোর পরে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় করবে। ওই কাজটা করতে করতেই খুব ছোট একটা ভাবনা থেকে ‘খেলা যখন’ বড়ভাবে শেপ পায়। যেখানে বলতে পারেন প্রত্যেকটা চরিত্রই খেলছে। আরও একটা কথা বলতে চাই সায়নী গুপ্তর মতো অভিনেত্রী কেন কলকাতা ছেড়ে মুম্বইয়ে কাজ করবে। তাদের তো তেমন চরিত্র দিতে হবে, যেন তারা সেই আকর্ষণে টলিউডে আসে। অরিজিতের ক্ষেত্রেও আমি একই কথা বলব।’’ প্রসঙ্গত, সায়নী গুপ্ত এই প্রথমবার বাংলা থ্রিলারের লিড রোলে। ছবির প্রযোজনায় এসভিএফ।
[ জারিনের গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ গেল যুবকের ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.