সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মায়ানগরী মুম্বইয়ের পর JNU কাণ্ডে উত্তাল তিলোত্তমা কলকাতা। রবিবার রাতে জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের গার্লস হোস্টেলে হামলার পর সোমবার থেকেই পথে নেমেছেন কলকাতার পড়ুয়ারা। ঘটনার তীব্র নিন্দা করে টুইটারে ইতিমধ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন টলিউডের একাংশ। পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, অপর্ণা সেন, অঞ্জন দত্ত, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, আবির চট্টোপাধ্যায়, সৃজিত মুখোপাধ্যায়, গায়ক অনুপম রায় থেকে তৃণমূলের তারকা সাংসদ মিমি চক্রবর্তী-সহ অনেকেই প্রতিবাদে সরব হয়েছেন। এগিয়ে এসেছে টলিউডের নতুন প্রজন্মও। ছাত্র সমাজের উপর নিন্দায় সরব হয়েছেন ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়, বিরসা দাশগুপ্তের মেয়ে মেঘলা দাশগুপ্ত, ঋদ্ধি সেন, সৌরসেনী মৈত্র, উজান গঙ্গোপাধ্যায় প্রমুখ।
দেশজুড়ে নিন্দার ঝড়। অপর্ণা সেন, অঞ্জন দত্ত, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, আবির চট্টোপাধ্যায়, প্রত্যেকের সোশ্যাল মিডিয়ায় বইছে নিন্দার ঝড়। জামিয়াতে CAA প্রতিবাদে পড়ুয়া আক্রান্তের সময়ও পরমব্রত রাজ্যপাটকে কটাক্ষ করে আখ্যা দিয়েছিলেন ‘হীরক রাজার দেশ’। এবার খানিক সেই সুরেই আক্রমণ করলেন। বললেন, “হীরক রাজার সেনারা একের পর এক পাঠশালা আক্রমণ করে যাবে, মগজ ধোলাই মেশিন চলছে, চলবে। উদয়ন মাস্টার কোথায় আপনি? আর লুকিয়ে থাকবেন না! আপনাকে, গুপি আর বাঘাকে খুব দরকার!”
টলিউডের ইয়ং ব্রিগ্রেড সমস্বরে ধিক্কার জানিয়েছে জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় কাণ্ডে। প্রশ্ন তুলেছে, “বারবার কেন ছাত্রসমাজকে বাকরুদ্ধ করা হচ্ছে?” অশোক বিশ্বনাথনের মেয়ে অনুষা ‘জেনারেশন আমি’র অভিনেত্রী আদতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। তিনি বলেছেন, ‘‘যে স্থান আমাদের কাছে দ্বিতীয় বাড়ির মতো, সেখানে অকারণে হিংসার পরিবেশ তৈরি করা মানে তো নিজের বাড়িতে আঘাত করার শামিল।’’ বিরসাকন্যা তথা অভিনেত্রী মেঘলার কথায়, ‘‘পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে, তাতে বলার মতো কিছু নেই।’’ ঋদ্ধির সপাট প্রশ্ন, “মানুষ হিসেবে এই পুরো ঘটনা থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকাটাও একটা অপরাধ। এখনও যাঁরা মুখ ফিরিয়ে রয়েছেন, তাঁরা কি চোখে ঠুলি পরেছেন?’’ যুবশক্তিকে সমর্থনে অভিনেতা আবির চট্টোপাধ্যায় টুইটারে লেখেন, “এ দেশের বুকে আঠেরো নেমে আসুক!”
গায়ক অনুপম রায়ও মুখ খুলেছেন। তাঁর কথায়, “মানুষ আর কোনও কাজ করতে পারবে না। সারাদিন এই সন্ত্রাস নিয়েই ভাবতে থাকবে। আমাদের তো আর শান্তি রইল না। একের পর এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আক্রমণ হচ্ছে। থামছে তো না-ই, বরং উলটে বেড়েই চলেছে। দরকার আরও জোরালো প্রতিবাদের।” সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর মন্তব্য,“শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর এমন আঘাত, কখনোই মেনে নেওয়া যায় না!” অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় লিখেছেন, “একে অ্যাক্সিডেন্ট বা পড়ুয়াদের সঙ্গে দুষ্কৃতীদের লড়াই বোলো না। এটা জঙ্গি হামলা। সন্ত্রাসবাদ। মুখ ঢেকে পড়ুয়াদের উপর হামলা করা হল। কী হচ্ছে এসব?”
পরিচালক সৃজিত JNU ছাত্রদের সমর্থনে একটি শায়েরি শেয়ার করে পাশে থাকার বার্তা দিলেন। যার বাংলা মানে করলে দাঁড়ায় খানিক, যতই ঝড়-জল আসুক এই দিনও একদিন পেরিয়ে যাবে। ফুটবে আশার আলো। প্রসঙ্গত, পরিচালক সৃজিত কিন্তু জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.