সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাইক, কমেন্টের মোহে টিকটকের (TikTok) নেশায় বুঁদ জেনওয়াই। দিনরাত এক করে টিকটকে ভিডিও পোস্ট! তবে এখন থেকে টাইমলাইন বেয়ে আর সেই টিকটকারদের ভিডিও পাওয়া যাবে না! বন্ধ সেই উপায়। কারণ, সোমবারই তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৯এ ধারায় অ্যাপটি নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। তবে অনেকেই যে এই প্ল্যাটফর্মের দৌলতে রাতারাতি স্টার হয়ে গিয়েছেন, তা বোধহয় অস্বীকার করার কোনও জায়গা নেই। অনেক তারকারই আবার টিকটকে অ্যাকাউন্ট ছিল। ফলোয়ারের সংখ্যাও প্রায় লক্ষাধিক। অনুরাগীরা অধীর আগ্রহে বসে থাকতেন তারকাদের টিকটক ভিডিও দেখার জন্য! কিন্তু এবার? কিছুটা হলেও কি জনপ্রিয়তায় ভাঁটা পড়বে টিকটক না থাকার জন্য? কী মনে করছেন টলিউড তারকারা?
সম্প্রতি এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন ভাস্বর চট্টোপাধ্যায় (Bhaswar Chatterjee), ইন্দ্রাণী হালদার, রূপাঞ্জনা মিত্রের মতো তারকারা। ভাস্বরের অবশ্য টিকটক অ্যাকাউন্ট ছিল। কিন্তু সীমান্তে গুলিবর্ষণের পর থেকেই টিকটকে ভিডিও শেয়ার করতে মন সায় দেয়নি তাঁর। অভিনেতা অবশ্য আর পাঁচজনের মতো ট্রেন্ডে গা ভাসাতেই এই পন্থা অবলম্বন করেছিলেন। তবে তাঁর কাছে দেশ আগে। তাই কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের টিকটক অ্যাপ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ততে সায় দিয়েছেন তিনিও।
প্রসঙ্গত, টিকটক নিষিদ্ধ হওয়ায় সদ্য শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra) দুই অভিনেত্রী তথা তৃণমূল সাংসদ- নুসরত জাহান এবং মিমি চক্রবর্তীর উদ্দেশে বাণ তাক করেছেন। বলেছিলেন, “টিকটক তো বন্ধ, এবার যাদবপুর, বসিরহাটের সাংসদদের কোথায় দেখতে পাবেন?” আর শ্রীলেখার এই মন্তব্যেই সায় দিয়ে অভিনেত্রীকে সেলাম ঠুকেছেন রূপাঞ্জনা মিত্র (Rupanjana Mitra)। যিনি গতবছরই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। পোস্ট শেয়ার করেই তিনি লিখেছেন, “ভাগ্যিস কোনওদিন টিকটকে ছিলাম না! কিন্তু এই পোস্টটা শেয়ার না করে পারলাম না!”
অন্যদিকে, টলিউডের আরেক জনপ্রিয় অভিনেত্রী, যিনি কিনা দর্শকদের কাছে এখন ‘শ্রীময়ী’ বলেই পরিচিত, ইন্দ্রাণী হালদার (Indrani Haldar), তিনিও কিন্তু এই অ্যাপ বন্ধ হওয়ায় ভীষণ খুশি। মাঝেমধ্যে অবশ্য অন্যান্য বন্ধুদের অ্যাকাউন্ট থেকে তাঁর উপস্থিতি নজরে এলেও, সেটা যে নিছক মজার ছলেই সেকথা একেবারে স্পষ্ট জানিয়েছেন অভিনেত্রী। তবে এই অ্যাপের জোরেই যে অনেকে রোজগার করতেন, সেকথাও কিন্তু অস্বীকার করছেন না টলিউডের নবপ্রজন্ম।
দেশবাসীর সুরক্ষার্থে গালওয়ান সীমান্তে লড়ছেন ভারতীয় জওয়ানরা। ইন্দো-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় সোমবারই চিনের বিরুদ্ধে বড়সড় পদক্ষেপ করে ভারত। ডিজিটাল স্ট্রাইকের পথে হেঁটে টিকটক, শেয়ার ইট, ইউসি ব্রাউজার, লাইকি, হেলো, ক্লাব ফ্যাক্টরি, বিউটি প্লাস, জেন্ডার, ক্যাম স্ক্যানার-সহ মোট ৫৯টি জনপ্রিয় অ্যাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, চিনের ওই অ্যাপগুলি সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা, দেশের সুরক্ষার জন্য ক্ষতিকারক। সে কারণেই তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৯এ ধারায় অ্যাপগুলি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত। তবে বিনোদন বন্ধ হলেও টলিপাড়া কিন্তু সমর্থন জানিয়েছেন এই সিদ্ধান্তকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.