প্রদীপ, মোমবাতি, টুনি, এলইডি-র আলোর ছটায় অমাবস্যা নিশি হয়ে ওঠে আলোকময়। ঝলমল করে ওঠে। আলো আলো রঙে ভরে ওঠে চারিদিক। সঙ্গে আতসবাজির ঝলকানি। দীপাবলি উদ্যাপন নিয়ে বললেন রুপোলি পর্দার তিন তারকা।
তনুশ্রী চক্রবর্তী
ছোটবেলা থেকেই আমার শব্দবাজিতে দারুণ ভয়। বাড়ির বড়রা বহু চেষ্টা করেও আমার ভয় কাটাতে পারেনি। তাই ছেলেবেলা থেকেই আলোবাজি পছন্দ। বাজির থেকেও দেওয়ালির আগের দিন চোদ্দো প্রদীপ জ্বালানো, চোদ্দো শাক খাওয়া, কালীপুজোর দিন প্রদীপ আর আলো দিয়ে সারা বাড়ি সাজানো আমার বেশি পছন্দের। আমাদের ছোটবেলায় এই রাইস লাইট্স ডেকরেটিভ লাইটের রমরমা ছিল না, তখন হলুদ বাল্ব বা প্রদীপ-মোমবাতি দিয়েই ঘর সাজানো হত। আমার ছোটবেলায় দেখেছি মাকে নিজের হাতে প্রদীপ তৈরি করতে। এখন যদিও কেনা প্রদীপই জ্বালানো হয়। এখন দেওয়ালির দিন বাড়িতে পুজো করি। কাছের আত্মীয়-বন্ধুরা আসে। সকাল থেকে নানারকম মিষ্টি তৈরি করি বাড়িতে, রঙ্গোলি দিই, প্রদীপ আর আলো দিয়ে সারা বাড়ি সাজাই। বাজি সেভাবে আর পোড়ানো হয় না, হলেও ছোটখাট তারাবাজি বা চরকির মতো আলোবাজি। দেওয়ালির সন্ধেবেলায়ও বন্ধুরা আসে, সবাই মিলে আড্ডা আর খাওয়াদাওয়াতেই কেটে যায় দীপাবলি।
[ ‘ওর বিয়ে তো আমার কী?’ প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে এমনটাই বললেন শাহরুখ ]
অপরাজিতা আঢ্য
কালীপুজো, দেওয়ালি আমার খুব পছন্দ। কালীপুজোর দিন আমার শ্বশুরবাড়িতে খুব বড় করে কালীপুজো হয়। হোম করি, চণ্ডীপাঠ হয়। প্রথমদিকে আমাদের বাড়িতে বাজির উৎসব হত। সারা পাড়া দেখতে আসত। এখনও হয়, তবে এখন অনেকটা কমিয়ে ফেলেছি। কারণ বাজি নিয়ে অনেক রেসট্রিকশন, সেটা আমরা সবাই মানি। আমার বাপের বাড়িতেও ছোট থেকে প্রচুর বাজি পোড়ানো হত, এখনও বাজি পোড়ানো হয়। যদিও আমি নিজে কখনও হাতে করে পোড়াই না, প্রচণ্ড ভয় করে। কারণ রংমশালে একবার ছোটবেলায় আমার হাত পুড়ে গিয়েছিল। ছোটবেলায় আমার কাকা বিরাট বড় বড় বাজি আনত। বাপের বাড়ির খুব বড় ছাদ। সেখানে পোড়ানো হত আবার বাজি নিয়ে ঝামেলাও হত। জয়েন্ট ফ্যামিলি ছিল, অনেক মাথা থাকলে যা হয়। এ বলত এটা আমার বাজি, ও বলত ওটা আমার। কালীপুজোর আলোও দারুণ লাগে। এখনই গোটা বাড়িতে আলো লেগে গিয়েছে। রঙ্গোলিও করি আমি প্রতি বছর। আমার ভীষণ শখ। সেই রঙ্গোলি দিয়ে ওর ওপর প্রদীপ দিয়ে সাজাই। এত পরিশ্রমের পরেও আমার এতটুকু ক্লান্তি হয় না।
[ মহানায়ককে ঘিরে সেজে উঠছে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চ ]
পাওলি দাম
আমার কালীপুজো ছোটবেলা থেকেই ভীষণ ইন্টারেস্টিং কেটেছে। তার কারণ আমার বাপের বাড়িটা একেবারে ফিরিঙ্গি কালীবাড়ি লাগোয়া। ওখানেই আমার জন্ম এবং বড় হয়ে ওঠা। ফলে কালীবাড়িতে কালীপুজোর দিন সকাল থেকে পুজো দেওয়ার লাইন পড়ত। আমি এই পুজোটা এত কাছ থেকে দেখেছি নিয়মরীতি সব আমার জানাচেনা। ওইদিন প্রচুর বাজি পোড়ানো হত। বাবা আনতেন অনেক বাজি। ছাদে সেগুলো রোদে দিতাম। তারপর ভাইবোন, আশপাশের বাচ্চারা ছাদে উঠে একসঙ্গে পোড়াতাম। এখনও বাজি আমার ভীষণ পছন্দ। সুযোগ থাকলে বাজি পোড়াই। কালীপুজোর আলোও আমার ভীষণ পছন্দ। মোমবাতি, প্রদীপের আলো সবচেয়ে ভাল লাগে। টুনি দিয়ে আমার বাপের বাড়ি, শ্বশুরবাড়ি দুই সেজে ওঠে। কলকাতায় বাবা সাজায় আর অসমে অর্জুন টুনি দিয়ে বাড়ি সাজায়। আমি পার্সোনালি প্রদীপ দিয়ে সাজাই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.